Wednesday, September 30, 2020

আজ আমি আপনার কাছ থেকে শিক্ষণীয় কী জানতে পারি? ঘটনা?


ঘটনা ১..

এক লোক ইমাম শাফেয়ী (রহ.)কে বলল, ‘অমুক ব্যক্তি আপনার সম্পর্কে খারাপ কথা বলেছে।’ জবাবে তিনি বললেন, ‘যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে তুমি চুগলখোর, আর যদি মিথ্যাবাদী হও, তবে লোকটির উপর অপবাদ আরোপকারী ফাসেক। একথা শুনে লোকটি লজ্জা পেল এবং চলে গেল।’

ঘটনা ২..

এক লোক এসে খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.) কে বলল, ‘অমুক ব্যক্তি আপনাকে গালি দিয়েছে।’ তিনি বললেন, ‘সে তার আমল নামা যেভাবে ইচ্ছা ভর্তি করুক, তাতে আমার কি??

ঘটনা ৩..

এক ব্যক্তি এসে ওয়াহাব বিন মুনাব্বেহ (রহ.) বলল, ‘অমুক ব্যক্তি আপনার সমালোচনা করেছে।’ তিনি বললেন, ‘শয়তান তোমাকে ছাড়া কাউকে পিয়ন হিসেবে পেল না?’

ঘটনা ৪..

এক ব্যক্তি জনৈক আলেমকে বলল, ‘অমুক ব্যক্তি আপনার সম্পর্কে এই বাজে কথা বলেছে।’ তিনি বললেন, ‘দেখ লোকটি আমাকে একটি তীর ছুঁড়েছিল, কিন্তু তা আমাকে বিদ্ধ করেনি। কিন্তু তুমি নিজ হাতে সেটা নিয়ে এসে
..

প্রতিটা ঘটনা থেকে কি শিখলেন? কখনো গীবত কারী, চুগলখোর, ইন্ধন দেয় এমন মানুষগুলাকে বিশ্বাস করবেন না.. এদের কথায় প্রভাবিত হয়ে এমন কিছু করবেন না যেনো কাছের মানুষগুলোর সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়..

Friday, September 25, 2020

ধৈর্য্য কিভাবে বাড়ানো যায়? Safe Media.24.


নাহ, আর পারছি না”
“আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না”
আমাদের সকলের জীবনেই এমন একটি সময় আসে, যখন আমরা কোনো না কোনো সময় এই কথাগুলোর সম্মুখীন হই। জীবনের উঁচু নিচু পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। প্রত্যেক সফল মানুষের জীবনের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যর্থতা। কিন্তু তাদের সফলতার রহস্য হলো, প্রবল ধৈর্যের সাথে ইচ্ছা শক্তি।
অনেকেই খুব অল্পতেই হতাশ হয়ে পরেন বা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। ধৈর্যের পরীক্ষা সাধারণত বন্ধ দরজার ভেতরেই ঘটে থাকে। ধৈর্য না থাকলে দীর্ঘমেয়াদী কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।
আপনার ধৈর্য যদি কম হয়ে থাকে তাহলে তা কয়েকটি উপায়ে ধীরে ধীরে অনুশীলনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে পারেন। জেনে নিন উপায়গুলো।

১। আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন

নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধু ধৈর্য বাড়ায় তা নয়, সফলতা অর্জনেও সাহায্য করবে।
নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেললে মানুষ ধৈর্যহারা হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, “আমি পারব”। যেকোনো কঠিন সময়েই নিজের ওপর আস্থা রাখলে, যেকোনো সমস্যা সমাধান হবেই।

২। নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস করুন

ডায়েরি লেখার অভ্যাস ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন- যেকোনো একটি দিনের একটি ঘটনা খুব ভাবাচ্ছে বা যা আপনাকে অস্থির করে তুলছে। একান্তে বসে তা লিখে ফেলুন ডায়েরিতে
দেখবেন লেখার সাথে সাথে ব্যাপারগুলো খুব পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, আর ভাবতেও সাহায্য করছে। যেকোনো ঘটনা বিস্তারিত লিখতে ধৈর্যের প্রয়োজন। তাই নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস করবেন।

৩। ধীরে ধীরে খাবার খান

প্রশ্ন আসতে পারে, খাবারের সাথে মনের কি কোনো সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। দ্রুত খেলে আপনার পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক হয়ে স্থূলতার কারণ হবে।বড় ব্যাপার, এতে আপনার অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। তাই খাবার ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৪। সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন

সঠিক খাদ্যাভাস দেয় সুস্থ দেহ। শরীর ভাল থাকলেই আমাদের মনের অস্থিরতা কমে যায়। মন ফুরফুরে থাকে।

৫। মেডিটেশন (ধ্যান) করুন

মেডিটেশন বা ধ্যান ধৈর্য বাড়ানোর একটি অনন্য কার্যকরি উপায়। যেকোনো মানসিক চাপ থেকে মুক্তি লাভের উপায় হলো মেডিটেশন। ধৈর্যহীন মানুষের মধ্যে খুব অল্পতেই রেগে ওঠার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। মেডিটেশন আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে মানুষ সহজেই রেগে ওঠে না।ধ্যান শরীর মন দুই ই ভালো রাখে, তাই প্রতিদিন স্বল্প সময় মেডিটেশনের জন্য ব্যয় করা উচিত। মেডিটেশন শুধু মাত্র ধৈর্য শক্তি বাড়ায় তা নয়, শরীরে এক প্রকার প্রশান্তির আগমন ঘটায়। প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে দশ মিনিট মেডিটেশন করা উচিত।

৬। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বই পড়া মানসিক চাপ কমায়। মনকে ধীর স্থির করে তোলে। ভালো বই কেবল ধৈর্য শক্তিই বাড়ায় না, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও পালটে দেয়।

৭। বাস্তববাদী হয়ে উঠুন

বাস্তবতা কঠিন আমরা সবাই জানি। এবং তা মেনে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। নিজেকে বোঝাতে হবে, যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে।যা ভবিষ্যতে হওয়ার, তাই হবে। এ নিয়ে হা-হুতাশ করে লাভ নেই। তবে চেষ্টায় কোন ত্রুটি রাখা চলবে না।

৮। নেগেটিভ চিন্তা করবেন না

যেকোন কাজে অগ্রসর হওয়ার আগে চিন্তা করে নিতে হবে কাজের সুফল ও কুফল। ইংরেজী তে বলা হয় “ Expect the Unexpected”। শুধুমাত্র লাভের কথা ভেবে অগ্রসর হলেই হবে না। মাথায় রাখতে হবে কী কী লোকসান হতে পারে এবং সে সাথে রাখতে হবে তা থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা। তাহলেই, হুট করে কোনো সমস্যা সামনে এসে দাঁড়ালেও ধৈর্য হারাতে হবে না,পরিকল্পনা অনুযায়ী সমাধান করা যাবে।

৯। তুলনা করবেন না

নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। অন্যরা কি করল তাতে নজর না দিয়ে নিজের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।আমরা ছোটবেলা থেকেই প্রতিযোগিতা পূর্ণ মনোভাব নিয়ে বড় হই। তাই সবসময় সামনের জনকে টপকে যাওয়ার চিন্তায় অস্থির হয়ে থাকি। আমাদের সম্পূর্ন ধ্যান-জ্ঞ্যান যেন সামনের জনকে হারানোর মাঝেই। এই মনমানসিকতা তৎক্ষণাৎ দূর করতে হবে। নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে। হতে পারে তাতে সময় বেশি লাগবে, কিন্তু ধৈর্যের এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেই ধরা দিবে সফলতা। আর ধৈর্যের এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে বদলাতে হবে মন মানসিকতা।

১০। নিজেকে সময় দিন

মাঝে মাঝে নিজেকে সময় দেওয়া খুব জরুরী। দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে আমরা নিজেকে ভুলে যাই। ভুলে যাই আমাদেরও দরকার বিশ্রাম।তাই ছোট কোন ছুটি নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। দেখে আসতে পারেন সমুদ্র, ঝর্ণা কিংবা পাহাড়। প্রকৃতির বিশালতা মনকে শান্ত করে। সাথে নিতে পারেন পরিবার , বন্ধুমহল বা দিতে পারে সলো ট্যুর।

H.M Arif hossain 

Tuesday, September 22, 2020

এমন একটি গোপন বিষয় কি যা আপনার জীবনকে বদলে দিয়েছে।

আমি যখন নিম্নলিখিত বিষয়গুলি লক্ষ্য করি -

(1) যদি আমি মাইক্রোসফ্ট বলি তবে এটি আপনাকে বিল গেটসের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।

(২) আমি যদি ফেসবুক বলি তবে এটি আপনাকে মার্ক জুকারবার্গের কথা মনে করিয়ে দেবে।

(3) আমি যদি আমাজন বলি তবে এটি আপনাকে জেফ বেজোসকে স্মরণ করিয়ে দেবে।

(4) আমি যদি আলিবাবা বলি তবে এটি আপনাকে জ্যাক মা'কে স্মরণ করিয়ে দেবে।

(5) যদি আমি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে বলি তবে এটি আপনাকে ওয়ারেন বাফেটের কথা মনে করিয়ে দেবে।

(৬) যদি আমি অ্যাপল বলি তবে এটি আপনাকে স্টিভ জবসের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে

(৭) যদি আমি টেসলার কথা বলি তবে এটি আপনাকে অ্যালেন মাস্কের কথা মনে করিয়ে দেবে।

যদি আমি আমার নাম বলি তবে আপনি কি স্মরণ করবেন ?

কিছুইনা, জানি।

সুতরাং এই পৃথিবীতে যতগুলি প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিবর্গ আছে তারা সবাই তাদের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।

  • মানুষ যদি আপনাকে জানে, তবে আপনার কাজের জন্যই জানবে। তা না হলে কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না।

এটি ১০০% সত্য, বাস্তবতা।

প্রকৃত পক্ষে কোনো গোপন রহস্যই নাই যেটি আপনার জীবনকে সরাসরি বদলাতে সক্ষম হবে। কারণ এটি জীবন, কোনো ফ্যান্টাসি জগতের সিনেমা নয়।

Friday, September 18, 2020

হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফী আর নেই


হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফী আর নেই
হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। এরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

H.M.Arif Hossain. 

Thursday, September 17, 2020

কী কী গুণের অধিকারী হলে ভালো মানুষ বলা হয়?


  1. ভালো মানুষদের কথা বার্তায় রুডনেস প্রকাশ পায় না।আর ভুল বশত কখনও প্রকাশ পেলেই তারা ক্ষমা চেয়ে নেয়। তারা মানুষদের সাথে কথা বলার সময় অতি নম্র ভাবে কথা বলে।
  2. তারা তাদের রাগকে কন্ট্রোল করতে সক্ষম।
  3. যাই ঘটুক না কেন তারা সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে।
  4. অন্যের ভুলকে তারা ক্ষমা করে দেয় এবং অহংকার থেকে দূরে থাকে।
  5. তারা তাদের পিতা মাতার সাথে অসম্মান সূচক ভাবে কথা বলে না।
  6. তারা অন্ধ ভাবে কাউকে অনুসরণ করে না।
  7. যদি কোন মানুষ তার জীবন যাত্রায় কঠিন সময় পার করে তখন তারা তাদের সাহায্য করে বা করার চেষ্টা করে।
  8. ঘুষ খাওয়ার মতো জঘন্য কাজে তারা সম্পৃক্ত হয় না। দুর্নীতি দিয়ে দূরে থাকে।
  9. তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে বদ্ধ পরিকর।
  10. অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
  11. এতিমদের সাথে ভালো ব্যবহার করে। তাদের যত্ন নেয়ার চেষ্টা করে।
  12. দুজন মানুষের মাঝে মনোমালিন্য থাকলে তা মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করে।
  13. গোয়েন্দা গিরি থেকে বিরত থাকে।
  14. কুকুরের মতো পিছন থেকে কাউকে কামরায় না।
  15. তারা তাদের সম্পত্তি বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান এ ব্যয় করে থাকে।
  16. তারা তাদের মেহমানকে সম্মান করে। ইত্যাদি

Friday, September 11, 2020

জীবন সম্পর্কে কোন বিষয়গুলো সবার জানা উচিত


  1. আপনি আজকে ব্যর্থ হতেই পারেন। ব্যর্থ সবাই হয়। কিন্তু কালকে যে আপনি সফল হবেন না তার গ্যারান্টি কি।
  2. আপনি একটি দিন নষ্ট করলে সেটা আর কোনোদিনই ফিরে পাবেন না। তাই প্রতিদিনই নতুন উদ্যমের সঙ্গে শুরু করুন।
  3. জীবনে কোনো কিছুই নিশ্চিত না। তাই সব কিছু নিয়ে বেশি চিন্তা করা বন্ধ করুন।
  4. সব সময় আনন্দ খুঁজে বেড়ানো ঠিক না। এতে আপনি মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়বেন। এর চেয়ে বরং আত্মসংযমী হওয়ার চেষ্টা করুন।
  5. আপনি যদি আপনার নিজেকে সম্মান না করেন তাহলে প্রথমত কেউ আপনাকে সম্মান করবে না। নিজের মূল্য বুঝতে শিখুন।
  6. মাঝে মধ্যে কিছু কিছু ব্যাপার থেকে আপনার নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে হবে আপনার নিজের ভালোর জন্যে।
  7. জীবনে অনেক কিছু আসবে আবার চলেও যাবে । সব কিছুতে অত বেশি মনোযোগ দেবার দরকার নেই।
  8. নিজেকে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে শিখুন।
  9. একটি সুযোগ চলে গেলেই যে আপনি নতুন কোনো সুযোগ পাবেন না এমন না। জীবন আপনাকে অগণিত সুযোগ দেবে।
  10. আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। আত্মবিশ্বাস হারানো আর জীবনকে হারিয়ে ফেলা একই কথা। একমাত্র আত্মবিশ্বাস ই পারে জীবনের কঠিন কোনো লড়াইয়ে আপনাকে জিতিয়ে দিতে।
  11. আপনার সুখের জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন। বেঁচে থাকার আনন্দ পাবেন।
  12. আপনার সময়কে অসম্মান করবেন না। সময়ের মূল্য বুঝতে শিখুন।
  13. মানুষকে সাহায্য করুন। জীবন আপনাকে তিনগুণ ফিরিয়ে দেবে।
  14. নিজের জন্যে বাঁচুন। তাহলে জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাবেন।
  15. নিজের জীবনকে ভালোবাসুন।  H.M.Arif

Saturday, September 5, 2020

দৈনন্দিন জীবনের রুটিন তৈরি কেমন হওয়া উচিত?


ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য।

এক একজনের দৈনন্দিন রুটিন এক একরকম হয়।আমরা যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন রুটিন কাজ এবং প্রয়োজন অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়।

আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে একটা রুটিন তৈরি করা উচিত সেটাই আমি জানতাম না।তখন ঘন্টার পর ঘন্টা আমি গল্প করে সময় কাটিয়েছি।এবং খাওয়া দাওয়া করেছি,আর ঘুরেছি।বাইরের জগতের সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ ই ছিলো না। তখন ভাবতাম জীবনের সব সীমাবদ্ধতা শুধু আমার নিজের ছোট্ট পরিসরের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত।

আর এই ভাবনায় ভাবিত মানুষের সংখ্যা সর্বাধিক।এখনো প্রচুর মানুষ আছে যাঁরা জানেন ই না, জীবন কে কিভাবে পরিচালনা করতে হয়,এবং কী কী নীতি অবলম্বন করলে জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়।অথচ প্রতিটা মানুষই কিন্তু জীবনে সফলতা চাই।তবে বেশির ভাগ মানুষ ই সফলতা অর্জন করার পন্থা জানেন না।

এই কারণেই আমি প্রথমেই উল্লেখ করেছি, আমরা যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন রুটিন কাজ এবং প্রয়োজন অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়। দেখুন, প্রচুর মানুষ আছে যাঁরা নিজের ইচ্ছা মতো দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করে,এবং তাঁর রুটিন অনুযায়ী তাঁর মতো সফলতা ও লাভ করে।

যেমন প্রচুর মানুষ আছে যাঁদের, জীবনের সব কিছুই প্রায় অগোছালো কিন্তু নিজের কাজ টা রুটিন মেনে করে ,ফলে তাঁর সাফল্য ঐ টুকুর মধ্যেই ঘোরাফেরা করে।

আবার কিছু মানুষ আছে যাঁরা জীবনের অন্য বিষয় গুলিকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করে কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ততটা দক্ষতা অর্জন করতে পারে না।কারণ এই ব্যক্তি ও তাঁর নিজের সুবিধা অনুযায়ী দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করেছে।ফলে তাঁর পরিকল্পনা অনুসারে সে ফল পাচ্ছে।

পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ ই এই দুই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত।কিন্তু জীবনে কাঙ্খিত সাফল্য পেতে গেলে অনেক কিছু আগে ত্যাগ করতে হবে।আপনি সাফল্য পেতে আপনার প্রিয় কোন জিনিস বা বিষয় ছাড়তে কতটা আগ্রহী? আপনার মন মতো চলতে আপনি শীর্ষতম স্থানে পৌঁছাতে পারবেন না।আপনাকে চলতে হবে সাফল্যের মর্জি অনুসারে।

আমরা কে না জানি বলুন, যে আজ যদি আমি নিজেকে একটু সময় দিই,সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কর্মসূচি তৈরি করে এগিয়ে চলি, আজ যদি বাজে সময় নষ্ট না করি,বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে গল্প করার নেশা টা ত্যাগ করে,স্রেফ তিন থেকে চার বছর শুধু নিজেকে সময় দিই তাহলে তো আমার জীবনে সফলতা অবশ্যম্ভাবী।

এটা কিন্তু একটা বাচ্চা ও জানে, কিন্তু তবুও আমরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করি না কেনো?

আসলে মানুষের মতো জোম কুঁড়ে প্রাণী এই পৃথিবীতে আর একটাও নেই। তার প্রথম উদাহরণ - মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতেই প্রায় দেড় বছর লাগিয়ে দেয়। নিজের পায়ে চলতে এতো টা সময় কোন প্রাণী ই নেয় না।

তাই আমরা সব জানি, বুঝি, এবং এটাও লক্ষ্য করি ,যে আমার পাশের বাড়ির ই হয়তো একজন কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্য অর্জন করেছে কিন্তু আমরা কখনোই তাঁর দিকে তাকায় না, আমরা তাকায় আমার পাশে যে ব্যর্থ ব্যক্তি আছে তাঁর দিকে।এবং নিজেকে সান্ত্বনা দিই তাঁকে দেখে, আর যে ব্যক্তি সাফল্য অর্জন করেছে তাঁর দিকে তাকায় সন্দেহের নজরে,এবং মন কে বলি ওর নিশ্চয়ই দাদা,কাকা, মামা কেউ না কেউ সাহায্য করেছে,তাই ও এতো কিছু করতে সক্ষম হয়েছে।

আর পৃথিবীর সামান্য সংখ্যক মানুষের রুটিন হয় প্রায় একি ধাঁচের। আপনি পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত ব্যক্তি বর্গের দিকে লক্ষ্য করুন, তাহলে বুঝতে পারবেন আমাদের সমস্যা টা আসলে কোথায়!

আপনি আমাকে দৈনন্দিন রুটিন কেমন হওয়া উচিত জানতে চেয়েছেন মানে , আমি নিশ্চিত আপনি আপনার সময়ের মূল্য দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন।আপনি আপনার বিষয়ে সতর্ক হতে চাইছেন।

তাই আমি আপনাকে প্রথমেই নজর দিতে বলব সময়ের দিকে।

হ্যাঁ, একমাত্র আপনি যদি সময়ের মূল্য দিতে পারেন তাহলে সময় একদিন আপনার মূল্য দেবে।

তাই————

1.সূর্য ওঠার আগে আপনি উঠুন।প্রথম প্রথম ঘড়িতে ওঠার সময় সেট করে রাখুন।আমাদের মস্তিষ্ক ভীষণ ই সতর্ক, কিছু দিন পরে সে দায়িত্ব নিয়ে নেবে আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে তুলে দেওয়ার জন্য।এবং চোখ খোলার পরে আর এক মিনিট ও বিছানায় থাকবেন না।

2.ধ্যান করুন প্রতিদিন কমপক্ষে আধঘণ্টা।সঙ্গে প্রনায়ম।

3.আপনি জীবনে কী কী অর্জন করতে চান তার একটা তালিকা তৈরি করুন।এবং এই তালিকা টা আপনার চোখের সামনে টাঙিয়ে রাখুন, যাতে আপনি সেটা সব সময় দেখতে পাবেন।এবং অবশ্যই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে ঐ তালিকা টি জোরে জোরে পড়ুন।যাতে প্রতিটা কথা আপনার সচেতন মন আপনার অবচেতন মনের কাছে পৌঁছে দেয়।

4.আপনি আপনার সারা দিনের কাজের একটা তালিকা তৈরি করুন।সময় মেপে চলুন, এক ফোঁটা সময় বাজে ভাবে নষ্ট করবেন না।ঠিক ঠিক সময়ে আপনার কাজ সম্পন্ন করুন।

5.দরকার ছাড়া সোস্যাল মিডিয়া য় সময় নষ্ট করবেন না।আপনি যদি অনলাইনে কাজ করেন তাহলে আপনি আপনার কাজ টুকু করে ওখান থেকে বেড়িয়ে আসুন। মানুষের জীবন নষ্টের একটা ফাঁদ হল সোশ্যাল মিডিয়া।তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।

6.প্রতিদিন প্রচুর বই পড়ুন।পারলে বিদেশী লেখকদের বই পড়ুন। বইয়ের মধ্যেই জীবন পরিচালনার গুপ্ত রহস্য লুকিয়ে আছে।

তাই তো Goeth(গোথ)বলতেন——

" তুমি কি বই পড়ো? আমাকে বলো।তাহলে আমি বলে দেবো যে,তুমি কি ধরনের মানুষ।"

7.আপনার রুটিনের মধ্যে কিছুটা সময় প্রতিদিন প্রকৃতির সঙ্গে কাটানোর জন্য রাখুন।আকাশ দেখুন,এই সময় বিশেষ করে বিকাল বেলা দেখবেন আকাশে মেঘ গুলো কি সুন্দর খেলা করে, সারা পৃথিবী ব্যাপী ছুটে বেড়ায় দেখতে কি অপূর্ব সুন্দর লাগে।এছাড়া গাছের দিকে কিছু টা সময় তাকিয়ে থাকুন।গাছের সবুজ পাতার মধ্যে ও কত রঙ খেলা করে।সব সবুজ কিন্তু এক নয়।

এতে করে মন টা খুব ভালো থাকে।

8.সকালে ওঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত পুরো সময় টাই থাকবে একটা ছকে বাঁধা।খুব সমস্যা না হলে নিয়মের বাইরে যাবেন না।

9.আপনার জীবনের যেটা লক্ষ্য সেই কাজে অনেক টা সময় ব্যয় করুন।এবং প্রতিদিন একটু একটু করে কাজ টা বাড়াতে থাকুন।

10.পরিশেষে আবার ও বলছি, প্রতিদিন প্রতিটা সেকেন্ডের মূল্য দিন।আপনি যতটা সময় কে মূল্য দেবেন সময় আপনাকে তার অধিক পরিমাণে আপনার কাজের দাম দেবে।

পৃথিবীর কিছু সংখ্যক মানুষ ই কেবল নিজেকে রুটিনে বাঁধতে পারে এবং তাঁরাই জীবনে যেটা চাই সেটাই অর্জন করতে পারে। আর সব বিখ্যাত মানুষের মধ্যে এই একটি বিষয়ে দারুণ মিল।

আর সব গড়পড়তা মানুষের মধ্যেও কিন্তু ঐ একটি বিষয়ে মিল সেটা হলো নিজের ইচ্ছা মতো, প্রয়োজন বুঝে রুটিন তৈরি করে।এবং সেটাই হয় তাঁদের জীবন।আপনি সারাদিন সবার সঙ্গে খোশ গল্পে মেতে থাকবেন আর এদিকে আশা করবেন ভাগ্য একদিন না একদিন ঠিক আমার সহায় হবে। দুঃখের বিষয় ভাবনাই সার হবে ওমন দিন কখনোই আসবে না।

আপনি আজ যেভাবে দিন টা অতিবাহিত করছেন, ওটাই আপনার জীবন।এর বাইরে কিছু নয়।

আপনার ভবিষ্যত জীবন সুখের হোক এই ইচ্ছায় পোষণ করি।এবং আপনি নিজেকে রুটিনের মধ্যে প্রবেশ করাবেন এই আশা রাখি ।

ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।😊

H.M.Arif hossain.