Sunday, August 23, 2020
অসুখী মানুষের ১০টি অভ্যাস যা সবার জন্য বর্জনীয়
Saturday, August 22, 2020
সকাল-সন্ধ্যা বিপদমুক্ত থাকার দোয়া
Wednesday, August 19, 2020
আজ আমি আপনার কাছ থেকে কী শিখতে পারি?
উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন, আর ভাবতে থাকুন!
বাম পাশ থেকে
আজ আমি আপনার কাছ থেকে কী শিখতে
✏ ১ম জন - সারাজীবন শুধুমাত্র টাকার পিছনেই ছুটছেন। যার ফলে, টাকা উপার্জন করতে করতে তিনি এখন পৃথিবীর সৌন্দর্যটাই উপভোগ করতে পারছেন না।।
✏ ২য় জন- শুধুমাত্র শিক্ষা অর্জন করার কারনে পৃথিবীর পরিপূর্ণ সৌন্দর্যটাই উপভোগ করতে পারছেন না।।
✏ ৩য় জন - অপরদিকে, ইনি শিক্ষা ও অর্থ উপার্জন দুটা একসাথে করছেন তাই পৃথিবীর আসল সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারছেন।
✏ ৪র্থ জন- শেষ ব্যাক্তিটি শিক্ষা এবং অর্থ কোন কিছুর দিকে তিনি ছুটেননি। যার ফলে তিনি কিছু দেখার পরিবর্তে এখন পৃথিবীতে শুধু অন্ধকারই দেখছেন।
তার মানে, আমরা বুঝতে পারি শুধুমাত্র টাকা কিংবা জ্ঞানের পিছনে দৌঁড়িয়ে পৃথিবীর আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা অসম্ভব। তবে, দুটোর সমন্বয়ে পৃথিবীর আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা একেবারেই সম্ভব!
H.M Arif Hosaain
Saturday, August 15, 2020
যে ১৪টি আমলে রিজিক বাড়ে
কী করলে রিজিক বাড়ে?
সবাই চায় তার রিজিক বেড়ে যাক, জীবনে প্রাচুর্য আসুক। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রিজিক বৃদ্ধির ১০টি আমল বর্ণনা করা হয়েছে। সেগুলো হলঃ
১. তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল অবলম্বন করা
খোদাভীতি ও আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা স্থাপন রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ২-৩)
২. পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা
আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় করলে ইহকালেই সুফল পাওয়া যায়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কামনা করে যে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হোক এবং তার আয়ু দীর্ঘ করা হোক, সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে। (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫; মুসলিম, হাদিস : ৪৬৩৯)
৩. তওবা ও ইস্তিগফার করা
মুমিনের জীবনে তওবা ও ইস্তিগফারের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া রিজিক বৃদ্ধির কারণ। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৭৭)
৪. আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা
দানে ধন বাড়ে—এটা সর্বজনবিদিত। এ বিষয়ে কোরআনের বক্তব্য এমন—বলে দাও, ‘নিশ্চয়ই আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।’ (সুরা : সাবা, আয়াত : ৩৯)
৫. বারবার হজ-ওমরাহ করা
একের পর এক হজ-ওমরাহ পালনে রিজিক বাড়ে। ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা একের পর এক হজ ও ওমরাহ করতে থাকো, কেননা তা অভাব ও গুনাহ দূর করে দেয়, যেভাবে কামারের হাপর লোহা, সোনা ও রুপার ময়লা দূর করে দেয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৮১৫)
৬. অসহায়ের প্রতি সদয় আচরণ
বিপদ-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সামাজিক ইবাদত। মোসআব বিন সাদ (রা.) যুদ্ধজয়ের পর মনে মনে কল্পনা করলেন, তিনি বোধ হয় তাঁর বীরত্ব ও শৌর্যবীর্যের কারণে অন্যের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান। এমন প্রেক্ষাপটে মহানবী (সা.) তাকে বলেন, তোমাদের মধ্যে থাকা দুর্বলদের কারণে তোমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক প্রদান করা হয়। (বুখারি, হাদিস : ২৮৯৬)
৭. ইবাদতের জন্য নিজেকে ফারেগ করে নেওয়া
আল্লাহর ইবাদতের জন্য নিজেকে ফারেগ করার মাধ্যমে অভাব দূর হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ঝামেলামুক্ত হও, আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না করো, তবে তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব দূর করব না। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৫৪)
৮. আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করা
আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে হিজরত তথা স্বদেশ ত্যাগ করলে এর মাধ্যমেও রিজিকে প্রশস্ততা ঘটে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করবে, সে জমিনে বহু আশ্রয়ের জায়গা ও সচ্ছলতা পাবে। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উদ্দেশে মুহাজির হয়ে নিজ ঘর থেকে বের হয় তারপর তাকে মৃত্যু পেয়ে বসে, তাহলে তার প্রতিদান আল্লাহর ওপর অবধারিত হয়। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০০)
৯. বিয়ে করা
বিয়ের মাধ্যমে জীবনে বরকত ও প্রাচুর্য নেমে আসে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৩২)
১০. অভাব থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা
আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ বান্দার হাত ফিরিয়ে দেন না। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৬০)
ধন্যবাদ।
H.M.Arif hossain.
আপনি নিজের জীবন নষ্ট করছেন, এমন লক্ষণগুলি কী? insaf trust.com
একটা নষ্ট জীবনের দৈনন্দিন নিত্যকর্ম। যদি এইগুলোর সাথে আপনার অর্ধেক ও মিলে যায়, এখনই সময় পদক্ষেপ নেওয়ার,
- আপনি পর্ন দেখেন।
- আপনি, আপনার মোবাইল চার্জে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন।
- আপনি ঘুম থেকে দেরিতে ওঠেন৷
- ক্ষুধা ছাড়াই আপনি আহার করেন।
- আপনি বিছানাতে জান, সেই মোবাইল সাথে নিয়ে।
- পরবর্তীতে কি করবেন, এটা ভাবার চেষ্টা করেন কিন্তু কিছু মাথায় আসে না।
- আপনি মোটিভেশানাল ভিডিও দেখেন।
- জীবনে অর্থপূর্ন কিছু করার জন্য মোটিভেশন পান।
- ইউটিউব এ সুপারিশকৃত Masala ভিডিও ক্লিক না করে পারেন না।
- Facebook/ Instagram / WhatsApp, এইগুলোর যেটাতে নোটিফিকেশন টুস্কি মারে সেটাতে চলে যান৷
- আপনি নিরর্থকভাবে Scroll করেন, কারন আপনি করতে পারেন এমন ভাল কিছু নাই।
- আপনি আবার পর্ন দেখেন।
- সেই মোবাইল চার্জার খোজেন।
- আপনি যখন মোবাইল চার্জ দেন, চিন্তা করেন আমার কত সময় নষ্ট করছি।
- দশভাগের একভাগ সময় বন্ধুদের দেখেন, কিন্তু ঘুরা ফিরার জন্য প্রকৃত বন্ধু নাই।
- আপনি আবার শুয়ে থাকেন এবং চিন্তা করেন কেমন করিয়া আপনার জীবন নষ্ট করতেছেন৷
- আপনি ঘুমান৷
- আপনি জেগে ওঠেন এবং আহার করেন।
- আপনার মোবাইল আবার চার্জে দেন, আবার Scroll করা শুরু করেন।
- হঠাৎ করে একটি স্কুলের বন্ধুর ছবি সামনে আসে, তার প্রোফাইলে ঢোকেন, দেখেন সে কত সফল হয়েছে এবং তুলনা করেন।
- নিজের এবং পিতামাতার জন্য খারাপ অনুভব করেন।
- আবার Instagram এর নোটিফিকেশন টুস্কি মারে।
- আপনি আবার ইউটিউবে সুপারিশকৃত Masala ভিডিও দেখেন।
- রাতের সান্ধ্যভোজন করেন।
- আবার পর্ন দেখেন।
- মোবাইল চার্জে রেখে ঘুমিয়ে জান।
- জেগে ওঠেন।
এইগুলো পুনরায় করতে থাকেন।
প্রত্যেকেই এইগুলোর ভিতর থাকে। কখন এবং কীভাবে তারা বের হয়ে আসে এটা বিষয়।
H.M.Arif hossain
কিভাবে সুস্থ থাকতে পারি? Arif
ধন্যবাদ প্রশ্নটির জন্য।
আমি জানি আমার কোরার বন্ধুরা যথেষ্ট জ্ঞানী।তাও আমি এই উত্তরটি লিখছি কারণ এটি আমার খুব ভালো লাগার বিষয়বস্তু আর আমার এই নাতিদীর্ঘ জীবনে অনেক রকম অসুখের মুখোমুখি হয়েছি, মৃত্যুর মুখ থেকেও ফিরে এসেছি তাই উত্তরটি লেখার তাগিদ ভেতর থেকে অনুভব করছি।
***সুস্থ থাকার উপায় সমূহ :
১) সারাদিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস জল পান করুন।
২) প্রচুর সবুজ শাক সবজি খান।
৩) ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত খাবার খুব কম খান।
৪) সকাল বা সন্ধ্যায় ৪০ মিনিট সপ্তাহে ৫ দিন হাঁটুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠুন ও নীচে নামুন।
৫) পছন্দের গান শুনুন।
৬) দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনার যা ভালো লাগে তাই করুন(যেমন আঁকা,নাচ,গান, রান্না,ঘর সাজানো ইত্যাদি)।এরফলে আপনার মন আরো সতেজ হয়ে উঠবে।
৭) আপনার পরিবারের সাথে সময় কাটান। একসাথে খান,গল্প করুন,দুশ্চিন্তা ভাগ করুন। খুব ভালো থাকবেন।
৮) প্রাণখুলে হাসুন ও অপরকে হাসান।
পুচকুটাকে দেখে হাসতে ইচ্ছে করছে না?
আসলে আমরা সামান্য সচেতন হলেই কিন্তু জীবনটাকে আরো অনেক বেশি উপভোগ করতে পারবো। দরকার শুধু সামান্য চেষ্টার।:)
ভালো থাকুন সবাই,সবসময়। ধন্যবাদ সবাইকে উত্তরটি পড়ার জন্য।
H.M. Arif Hossain.
এমন কিছু উপদেশ দেবেন কি, যা আমাদের প্রতিনিয়ত মনে রাখা উচিত?
- নিজের বুদ্ধিতে ফকির হবার চেষ্টা করুন। ফকির হলেও নতুন কিছু শিখতে পারবেন।
- সব সময় নিজের মূল্য বুঝতে শিখুন। আত্মসম্মান বোধ অনেক বড় ব্যাপার ।
- কেউ যেতে চাইলে যেতে দিন। ধরে রাখতে চাওয়াটা খুবই বোকামি।
- প্রচুর পড়াশোনা করুন। মাস্টার্স পাস করলেই পড়াশোনা শেষ এমনটা ভাবা ঠিক না।
- অন্যের সঙ্গে আলোচনা করুন কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনিই নেবেন।
- লোকে আপনাকে নিয়ে কি ভাবলো কিংবা কি বললো এসবে একদম কান দেবেন না।
- প্রচুর পানি পান করুন। পানি পান করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটা আপনি ভাবতেও পারবেন না।
- নিজেকে ভালোবাসুন। নিজেকে ভালো না বসতে পারলে আপনি অন্যকে ভালো বাসতে পারবেন না।
- মাঝে মধ্যে নিজের সঙ্গে কথা বলুন। এটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় বিষয়।
- জীবনে অপ্রয়োজনীয় লোকের সংখ্যা কমিয়ে দিন।
- ইন্টারনেট বিতর্ক থেকে দূরে থাকুন।
- কারো মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করবেন না। মনোযোগ চাওয়ার বিষয় না মনোযোগ অর্জন করার ব্যাপার।
- মানুষকে সাহায্য করুন। একসময় তিনগুণ ফেরত পাবেন।
- নিজের সুস্থতা - কে প্রাধান্য দিন।
- যে আপনাকে বুঝবে না তাকে ব্যাখা দিতে যাবেন না।
- সময় এবং টাকা এই দুটো কে অসম্মান করবেন না।
- মাঝে মধ্যে সব কিছু থেকে বিরতি নিন। আপনি রোবট নন।
- যেকোনো মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরি করুন।
- মানুষকে সম্মান দিন। আপনিও সম্মান পাবেন।
- কোনো কিছুতে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করতে নেই।
- সহজে কোনো কিছুতে মুগ্ধ হবেন না ।
- জীবন অনিশ্চিত এটা সব সময় মনে রাখুন।
- বন্দুকের গুলি আর মুখের কথা এক বার বের হলে আর ফেরানো সম্ভব না। তাই কাউকে এমন কোনো কথা বলবেন না যেনো কষ্ট পায়।
- নেগেটিভ মেন্টালিটির মানুষজনকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
- কারো উত্তর পড়লে উত্তরে আপভোট দিন কিংবা মন্তব্য করে উৎসাহ দিন ।
( ধন্যবাদ পড়ার জন্যে)
H.M Arif hossain
Wednesday, August 5, 2020
নিজেকে কতটা সুখী মনে করেন? আপনার সুখের রহস্য কী?
আমি বেকার। না আছে চাকরি, না আছে পড়াশোনা। খাই আর ঘুমোই। তবু আমি সুখি কারণ-
- আমার মাথার ওপরে ছাদ আছে। রেল স্টেশনে, ওভারব্রিজের নিচে ঘুমোতে হয়নি এই জন্মে, তাই আমি সুখি।
- এই বেলা খেতে পেলে ওবেলা কী খাব তার চিন্তা করতে হয় না তাই আমি সুখি।
- হাঁটতে পারছি, কথা বলতে পারছি, স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারছি তাই আমি সুখি।
- আমি শিক্ষার আলো দেখেছি তাই আমি সুখি।
- আমি নিজে যা চেয়েছি তাই করেছি। আমার মা বাবা আমায় সবসময় আশীর্বাদ করেছেন, আমার ইচ্ছের মর্যাদা দিয়েছেন তাই আমি সুখি।
সুখি হতে প্রাথমিকভাবে যা দরকার তা সবই আমার আছে। তাই আমি সুখি। কিন্তু এগুলো তো ঈশ্বরের দান, আমি নিজে থেকে ঠিক করতে পারিনা যে আমি কোন পরিবারে জন্ম নেবো। তবু আমার কাছে যখন সুখের রহস্য জানতে চাওয়া হয়েছে তাহলে কিছু লিখতেই হয়। কথাগুলো আমার অন্যান্য উত্তরের কিছু কথার পুনরাবৃত্তি হবে, তবু আমি লিখছি।
- আমি একটা কাজ করার সময়ে তার আগে পরের দিকগুলো ভেবে কাজ করি- পাঁচ মিনিটের ভালো লাগার জন্য বা কাউকে খুশি করার জন্য এমন কিছু করবো না বা বলবো না যাতে সারা জীবন আফসোস করতে হয়। আরেকটা ব্যাপার হতে পারে। এই ধরুন কারো নিন্দে করতে ইচ্ছে হল খুব। কিন্তু তার আগে যখন ভেবে দেখবো যে সেই মানুষটি আমার প্রিয় মানুষ, বা তার নামে নিন্দে করার যোগ্যতা আমার নেই তখনই থেমে যাবো।
- ভুল করলে ক্ষমা চেয়ে ফেলি- আমি যতই ভেবে কাজ করি, মানুষমাত্রেই ভুল হয়। আমারও ভুল হয়। কিন্তু নিজের ভুল বুঝলেও একজন মানুষ দুটো কাজ করতে পারে- নিজের ভুলটা ঢাকতে গিয়ে অন্যকে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করতে পারে বা ক্ষমা চেয়ে নিতে পারে। আমি দ্বিতীয়টা করি। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেই। আমি আমার এক বন্ধুর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। এরকম হয়েছিল কয়েকদিন আগে, যে যার সাথে যত রুক্ষ ব্যবহার করেছি তার জন্য অনুশোচনা হচ্ছিল। তখন তাকে মেসেজ করে ক্ষমা চেয়ে নিলাম, অনেকদিন পর সেও আমাকে তার অনেক কথা বলে দিলো, দুজনেই হালকা হলাম।
- অন্যের কথায় আমল দেই না- যতক্ষণ না আমার মা বা কাছের মানুষ আমার কাজে কিছু বলছেন ততক্ষণ কারো কথায় আমল দেই না। সবাই তো সবার কাজে খুশি হয় না, সবার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা।
- স্বার্থপর হয়ে নিজের ভালোটা বুঝি- কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থত্যাগ করে হয় না। যদি দেখি এখানে কাউকে সাহায্য করলে সে তার মুল্য দেবে না তাহলে তার ভালো করতে যাই না।
- নেতিবাচক কথা বলা ও নেতিবাচক কথা বলা মানুষের সাথে থাকা এড়িয়ে চলি- Emotional contagion[1]বলে একটা শব্দ আছে যার মানে হচ্ছে যে আপনার ইতিবাচক বা নেতিবাচক কাজ ও কথা আপনার চারপাশের মানুষকে প্রভাবিত করে। যে মানুষ আমাকে সবসময়ে মনে করিয়ে দেবে যে আমি ভালো নই তার সাথে কথাবার্তা কম বলি। আমি নিজেও চেষ্টা করি positive vibe নিয়ে চলতে। কেউ দুঃখ পেলে যদি নিগেটিভ চিন্তা করে তাকে পজিটিভ দিকে নিয়ে আসতে চেষ্টা করি।
- যেটা ভালো লাগে সেটা করি- সবার তো হবি বা প্যাশন বলে কিছু থাকে। আমিও সেভাবে দিনের অন্তত আধ ঘন্টা সময় নেই যখন আমি সময়টা কাটাই বই পড়ে, লিখে, গান শুনে বা সেলাই করে।
- বাস্তব জীবনে বন্ধু ও পরিবারকে প্রাধান্য দেই- সারাদিন মোবাইলে এতটাই মগ্ন যে বাড়িতে কবে ভালো করে বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছি মনেই পড়ে না? এরকম করি না। ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে বাস্তব জগতটা বেশি জরুরি। সবার সাথে কথা বলতে হয়, সমস্যা থাকলে মাকে বলি, কোন বন্ধুকে বলি। বিপদে পড়লে ফেসবুকের ১০০০ জন ফ্রেন্ড নয়, বরং পরিবার ও বন্ধুরাই এগিয়ে আসে।
- অন্যের ব্যাপারে নাক গলাই না- কে কাকে কী বলল, কে সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখলো তাতে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাতে চাই না। এর কথা ওকে বলে ঝগড়া লাগিয়ে দেওয়ার অভ্যাসটাকে খুবই ঘৃণা করি। এইজন্য আমি অনেক উটকো ঝামেলা থেকে দূরে থেকে সুখি আছি।
- রোজ পড়তে বসি- নিজের যে প্রধান কাজ, সেটা পড়াশোনা বা চাকরি যাই হোক, মন দিয়ে করলে মনে প্রশান্তি আসে।
আমি লিখতে পারতাম যা আমার চাকরি নেই, আমাকে কেউ পাত্তা দেয় না তাই আমি সুখি নই। কিন্তু লিখতে বসে মনে হচ্ছে আমি খুব সুখি। মানে অনেক কিছু না থাকলেও মনের দিক থেকে পরিষ্কার তাই সুখি। শেষ করার আগে ইউটিউবে দেখা শ্রী গৌর গোপাল দাসের কিছু কথা ভাগ করে নিতে চাই-
একদিন একজন মা একটা কাপড়ে নক্সা করছিলেন। তার ছেলেটি সেটা দেখে, এবং সে কাপড়ের পেছনদিকটা দেখে বলে যে এখানে তো শুধু সুতোর কাটাকুটি ছাড়া কিছু নেই! তখন মা বলেন, "তুমি যখন তোমার দিক থেকে দেখছ তখন সেটা কাটাকুটি লাগছে, কিন্তু আমি যখন আমার দিক থেকে দেখছি তখন সেখানে দেখা যাচ্ছে একটা সুন্দর প্যাটার্ন, একটা পরিকল্পনা"। ঠিক তেমন জীবনকে আমরা যখন দেখে মনে করি সেটা অগোছালো অবস্থায় , অনিশ্চয়তা ভরা, জীবনের দিক থেকে দেখলে সেখানে লুকিয়ে আছে একটা সুন্দর পরিকল্পনা। [2]
আমি লিখছি আর আপনি সেটা পড়ছেন, এটা কি কম সুখ? এই সুযোগ বা কতজন পায়?
ফুটনোটগুলো
H.M Arif hossain.
জ্ঞানী মানুষদের বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী?
২। তারা সবসময় কল্পনায় মগ্ন থাকে। কল্পনা ছাড়া তাদেরকে চিন্তা করা যায় না।
৩। তাদের মতের সাথে অসঙ্গতিপুর্ণ মানুষের সঙ্গ তারা পরিত্যাগ করে। কোন বিষয়ে বোকার মতো তারা তর্ক করে না।
৪। তারা সাধারণ নিয়ম মানতে খারাপ অনুভব করে।
৫। তারা তাদের কাজে সংগ্রাম করে। এটা করে তারা সুখ পায়।
৬। তারা নিজেদের আত্মসম্মান বজায় রেখে চলে।
৭। তারা খুশি ও অন্তরে শান্তি অনুভব করে যখন তারা নীরবে থাকে।
৮। সকল কিছুর মাঝে ভালোবাসা তাদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে।
৯। কৌতূহলপুর্ণ মানুষের সঙ্গ তারা পছন্দ করে।
১০। তারা কথা বলার চেয়ে কথা শুনেন বেশি। তাড়াহুড়া করে কোন উত্তর দেন না। অনেক ভাবার পর তারা কোন বিষয়ে মন্তব্য করে।
১১। তারা নিরহংকারী হয়। অন্যের ভালো দেখে তারা খারাপ অনুভব করে না।
১২। অন্যদের ভুল দেখার চেয়ে নিজেরদের ভুলগুলো ঠিক করার প্রতি বেশি মনোযোগী হয়।
১৩। আত্ম সফলতার চেয়ে সামগ্রিক বা দলগত সফলতা তাদের কাছে বেশি মূল্যবান।
ধন্যবাদ লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপভোট করে যাবেন। কত নং বাক্যটি আপনার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা মন্তব্য করুন। আপনার কোন পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন মন্তব্য করে। পাঠকই আমার লেখার প্রেরণা।
H.M Arif Hossain.