30 বছর অবধি কোনো মেয়ের যদি বিয়ে না হয় তাহলে কোন সমস্যা হয় না। সমস্যা হয় কুকুরের থেকেও বেশি ঘ্রান বিশিষ্ট প্রতিবেশীদের এবং আমাদের তৈরি সমাজের এবং সমাজের থাকা কিছু শিক্ষিতদের যারা শিক্ষিত হওয়ার ভান করে থাকে, যারা পড়াশোনা করেও সঠিক শিক্ষাটা পায়নি । আর অশিক্ষিতদের কথা বাদই দিলাম।
খুব কয়েকজন আপনজন ছাড়া কেউই চাইবেনা আপনি চাকরি পান ।আপনার জীবনটা ভালো হোক। সবাই ডিমটিভেট করবে। সমস্যা সৃষ্টি করে কিছু মানুষ তাদের অভদ্র কথাবার্তা দ্বারা। যারা নিজেদের জীবনের ফাসট্রেসান কে বের করতে আপনার সাফল্যের পথে বাধা দেবার চেষ্টা করে।
চাকরি না পাওয়া অবস্থায় আপনাকে বারবার জেনেশুনেও জিজ্ঞাসা করবে " কিরে কি করছিস এখন চাকরি পাসনি?" আবার যখন চাকরিটা অবশেষে পেয়ে যাবেন তখন তোদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনাকে একবারও জিজ্ঞাসা করবে না "কোথায় চাকরিটা পেলি?"
কিছু কমন ডায়লগ এর কথা বলি—
১. কিরে কবে বিয়ে করবি? তোর বয়সি সবার তো বিয়ে হয়ে গেল।
২. চাকরি বাকরি আর পাবি ? কত ভালো ভালো ছেলে মেয়েরা চাকরি পায়নি, তুই পাবি?
৩. প্রেম-টেম করছিস নাকি? যে এখন বিয়ে করবি না?
৪. বিয়ে করে নে তারপরে না হয় পড়াশোনা করবি। (আহা তাদের মতো শুভাকাঙ্ক্ষী আর হয় না।)
৫. কিছু কিছু অতি শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষ আবার বাবা মা এর কাছে এসে বলবে পাড়ায় তো ওই মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল ,ছেলে বিশাল চাকরি করে । সেই মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল। তোমার মেয়েটাকে কবে বিয়ে দেবে?
৬. বেশি বয়স হয়ে গেলে ছেলে পাবি না তখন বুড়ো ছেলেকে বিয়ে করতে হবে।
একটা চাকরি পাওয়ার পেছনে যে কতটা কষ্ট , কতটা স্ট্রাগেল, কত বছরের পরিশ্রম করতে হয় সেটা এইসব মানুষদের মাথায় জীবনেও ঢুকবে না ।বিশেষ করে একটা মেয়ের চাকরি পাওয়াটা যে কতটা জরুরী সেটা এরা বুঝবেও বুঝবে না , বুঝতে চাইবে না। এই মানুষেরা একবারও বলবেনা যে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়া , তারপরে বিয়ে করিস । একবারও আপনাকে সুপরামর্শ দেবেনা।
বিয়ের পর যদি খারাপ থাকেন তাহলে এইসব মানুষগুলো একবার ফিরেও তাকাবে না , উল্টে আপনার ভাগ্যের দোষ দেবে। হ্যাঁ তাকাবে , সমালোচনা করার জন্য। আর যদি ভাল থাকেন তাহলে এরাই আপনাকে এড়িয়ে চলবে।
কিছু মানুষদের থেকে দূরে থাকুন পারলে সম্পর্ক না রাখার চেষ্টা করুন। এরা কোনদিনই হাত ধরে উপরে তুলতে সাহায্য করবে না।
#একান্ত নিজস্ব মতামত
#ধন্যবাদ।
H.M Arif Hossain.
No comments:
Post a Comment