আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তন সেটা ভালো কিংবা মন্দ যাই হোক না কেন সেটা এক সময় জীবনে বড় প্রভাব ফেলে। আর সেটাকে কেন্দ্র করে জীবন পাল্টানোর দশটি উপদেশ শেয়ার করছি।
- তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন। সকালে প্রথম প্রতিযোগিতা শুরু করুন সূর্যের সাথে যে কে আগে ওঠে।
- প্রচুর বই পড়ুন। এটি আপনাকে সর্বক্ষেত্রে কাজে দেবে। এর আগে সকালে ওঠার যে উপদেশ দিলাম এমন সস্তা উপদেশ আপনি অনেক শুনেছেন কিন্তু সেটা তেমন কাজে দেয়নি। এর একটা কারণ হলো সহজেই আমরা যেটা পেয়ে যায় সেটাকে তেমন মূল্যায়ন করি না। তাই বই পড়ে পরিশ্রম করে যে উপদেশটা শিখবেন সেটা অধিক ফলপ্রসূ হবে। সকালে ওঠা এটা এক বাক্যের উপদেশ এটা আয়ত্ত করতে যখন দ্য মিরাকল মর্নিং বইটা পড়বেন এ সম্পর্কে বিস্তর জ্ঞান অর্জন করবেন যেটা ঐ এক বাক্যের উপদেশের চেয়ে অধিক কার্যকরী।
- সকল প্রকার সোস্যাল মিডিয়া সীমীত ব্যবহার করুন। ভাবছেন ভাই ফেসবুক আসক্ত হয়ে পড়েছি বের হতে পারছি না। ভাই আপনি এই না শব্দটা মনে গেঁথে নিয়েছেন বলে বের হতে পারছেন না। সব কিছু ঝেড়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বলুন আমি পারবো।
- আমাদের মস্তিষ্ক বাবাজি দৈনিক ৫০ হাজার বার চিন্তা করে আর তার ৯৫-৯৭% ই নেতিবাচক। ভাবুন এবার আমাদের মস্তিষ্কের একটা বড় অংশ কি অকাজেই না ব্যয় করছি। তাই নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন।
- প্রতিদিন ডায়েরি লিখুন সেটা এক লাইন হলেও।
- শরীর চর্চা করুন এতে শরীর সুস্থ থাকবে আর মস্তিষ্কে অক্সিজেনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
- ছোট খাটো সমাজসেবা মূলক কাজে জড়িত থাকুন মনের খোরাক যোগাবে।
- অ্যান্ডয়েডের যুগেও কাছের মানুষ কিংবা বন্ধু বান্ধবদের চিঠি লিখুন। আর সেটা নিজে হাতে দিয়ে আসুন।
- গাছগাছালি লাগান, গৃহপালিত কোন পশু পাখি থাকলে তাদের আদর করুন তাদের সাথে আপন মনে কথা বলুন। বিড়াল পুষতে পারেন।
- নিজ নিজ ধর্মীয় বিধান মেনে চলুন, এতে বাকি উপদেশ গুলো পালন সহজ হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment