- লাভের হিসাব কে কেবলমাত্র অর্থের মাপকাঠিতে নয়, জ্ঞানভিত্তিক অর্জনের মাপকাঠিতেও দেখুন।
- যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভেবে চিন্তে নিন, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার পর কিন্তু ভাবার সুযোগ নেই।
- ঘন্টার পর ঘন্টা পাবজি, ফ্রি ফায়ার সহ ভিডিও গেমের পিছনে ব্যয় না করে, ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, হকি, কাবাড়ি ইত্যাদির মতো বাস্তব গেমের পিছনে সময় কাটান।
- জীবনের ছোট ছোট প্রাপ্তিগুলোকে উপভোগ করুন, আর নিজেকে সুখী ভাবতে শিখুন।
- আপনার হাতের স্মার্টফোন, ব্যবহৃত পিসির বাইরেও একটা জগৎ আছে, শুধুমাত্র ভার্চুয়াল জগতে না থেকে প্রাকৃতিক জগতেও আসুন।
- আপনার মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে এমন বই পড়া, সিনেমা দেখা, বিষয়বস্তু দেখা থেকে বিরত থাকুন।
- আপনার এলাকায় পরিবেশ দূষণ নিয়ে সচেতন থাকুন।
- পাশের বাড়ির ছেলেটা সরকারী চাকরী পেয়ে গেছে, আমাকেও পেতে হবে, সবাইকে দেখিয়ে দেব! আরে থামুন মশাই, এমন প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন।
- "না" বলতে শিখুন। খারাপ বন্ধুদের সঙ্গ ত্যাগ করুন।
- ধ্যান করুন, ব্যায়াম করুন। নিজ নিজ নৈতিক বিশ্বাস ও রীতিনীতিতে আবদ্ধ থেকে জীবনকে পরিচালনা করুন, পাবজি বা ফ্রি ফায়ারের ক্যারেক্টারকে পরিচালনা না করে।
Tuesday, October 27, 2020
জীবনে সফলতার ১০টি মূলমন্ত্র কী কী?
কোনো পেশায় সাফল্য এমনি এমনি ধরা দেয় না। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে পরিশ্রম করে যেতে হয়। তবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা ছাড়া বেশি দূর যাওয়াটা কঠিন। সাফল্য অর্জনের জন্য অনুসরণ করতে পারেন এমন ১০টি পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো:-
- অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অগ্রসর হন: নিজেকে আজীবন ছাত্র ভাবতে হবে। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা থেকে যা কিছু শিখবেন, তার সবই কোনো না কোনোভাবে আপনার সাফল্যের নেপথ্যে রসদ জোগাবে। অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি অন্যদের কাছে আপনাকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তাই নিজের পেশা জীবনকে মনে করতে হবে ধারাবাহিক অভিজ্ঞতার সমষ্টি।
- অপছন্দের চাকরি করবেন না: পড়াশোনা শেষ করেই অনেকে যেনতেন একটা চাকরিতে ঢুকে পড়েন। ‘পছন্দের চাকরিটা পরেও খুঁজতে পারব, আপাতত একটা কিছু শুরু করি’ এমন ভাবনার ফলে সাময়িক কিছু রোজগার হলেও পরে অনেক মাশুল গুনতে হয়। কারণ, যে কাজের প্রতি আপনার আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে, সেই পেশায় আপনি সর্বোচ্চ সাফল্য আশা করতে পারেন না। আর কেবল টাকা আয়ের জন্য কাজ করে, এমন কর্মীরা সৃষ্টিশীল কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে কাঙ্ক্ষিত নয়। তাই সাময়িক প্রয়োজনে হলেও অপছন্দের চাকরিতে না যাওয়াই ভালো।
- দ্রুত নিজেকে প্রমাণ করুন: কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর যত দ্রুত নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবেন, আপনার সার্বিক পেশাজীবন তত গতিময় ও সমৃদ্ধ হবে। ধীরে-সুস্থে এগোনো যাবে, এমন ভাবলে ভুল করবেন। বরং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজের গুরুত্ব শিগগির তুলে ধরুন। এতে আপনার বেতনের অঙ্ক ও পদমর্যাদার উন্নতি হবে এবং আরও বড় পরিসরের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হবে। তাই আর দেরি নয়, এখনই শুরু করে দিন।
- ঝুঁকি নিয়ে কাজ করুন: ঝুঁকি নেওয়াটা সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ না-ও হতে পারে। অনেক কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে গতকাল যা করেছি, আজ ও আগামীকাল যদি সেই একই কাজ করে যেতে থাকি, আমরা এগোতে পারব না। ঝুঁকি নেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজেকে একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন, যেখানে সাফল্য ও ব্যর্থতা-দুটোই থাকতে পারে। উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঝুঁকিই হতে পারে আপনার বড় সাফল্যের সিঁড়ি।
- মানুষের সান্নিধ্যে আরও বেশি সময়: ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকেন যতক্ষণ, তার চেয়ে বেশি সময় কাটান অন্যদের সঙ্গে কথাবার্তা ও আলাপচারিতায়। সবকিছু অনলাইনে হয় না। স্মার্টফোন ও ট্যাবের মতো যন্ত্রগুলো আপনাকে বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে ঠিকই, কিন্তু মুখোমুখি আলোচনার সময়-সুযোগ কেড়ে নেয়। মনে রাখতে হবে, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে খুঁজছে, প্রযুক্তিকে নয়। এ যুগে প্রযুক্তিতে দক্ষ লোকজনের চেয়ে মুখোমুখি যোগাযোগে দক্ষ মানুষের চাহিদা মোটেও কম নয়।
- নিজের কাজের মূল্যায়ন করুন: চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার আগে ভেবে দেখবে, আপনার কাছ থেকে কী কী পাওয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসানির্ভর। আপনি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সার্বিক আয় কতটা বাড়াতে পারবেন এবং ব্যয় কতটা কমাতে পারবেন-সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করা হবে। কাজেই নিজেই নিজেকে সেভাবে যাচাই করে দেখুন, আসলেই আপনি পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য কি না।
- আগামীর প্রয়োজনে আত্মত্যাগ: ভবিষ্যতে নিজেকে ভালো অবস্থানে দেখতে চাইলে আপনাকে এখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কাজটা পছন্দের হলে তাতে বেশি সময় দিতে ক্ষতি কী। পেশা জীবনের শুরুতে যত পরিশ্রম করবেন, পরবর্তী জীবনে তার সুফল তত বেশি পাবেন। আর তখন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর পর ধন্যবাদটা আপনি নিজেকেই দিতে পারবেন, অন্য কাউকে নয়।
- ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করুন: নিজের যাবতীয় অর্জন ও অভিজ্ঞতার তথ্য এক জায়গায় রাখতে হবে। নিজের পূর্ণ নামের শেষে ডট কম যুক্ত করে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এতে করে আপনি নিজের কাজকর্ম সম্পর্কে খুব সহজে অন্যদের জানাতে পারবেন। এভাবে নতুন নতুন কাজ ও উদ্যোগের সুযোগ অবারিত হয়। নিজের অর্জন ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়েবসাইটটি হালনাগাদ করতে হবে। ফেসবুক, লিংকডইনসহ সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমগুলোতেও নিজের প্রোফাইল হালনাগাদ রাখা উচিত।
- বেশি বেশি ঘুরে বেড়ান: অন্যদের সংস্কৃতি, ভাষা ও কাজের ধরন সম্পর্কে জানতে হলে বেশি বেশি ঘোরার বিকল্প নেই। এখন আমরা একটি বৈশ্বিক বাজারব্যবস্থার মধ্যে কাজ করি। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সেরা কর্মীটিকে খুঁজে বের করে নিয়োগ দিতে চায়। সে যোগ্য হলে অঞ্চল নির্বিশেষে মূল্যায়ন পাবে। যত বেশি ভ্রমণ করবেন, বিশ্ব সম্পর্কে তত বেশি বাস্তব অভিজ্ঞতার অধিকারী হবেন। একাধিক বিদেশি ভাষা জানলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আপনার চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
- সঠিক নেতা বাছাই করুন: পেশা জীবনে একজন যোগ্য ও দক্ষ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির অধীনে কাজ করা ভালো। সঠিক ব্যক্তিটিকে বাছাই করুন, যিনি আপনাকে সমর্থন, উৎসাহ ও সময় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁকে অবশ্যই আপনার পেশাসংশ্লিষ্ট হতে হবে। আপনি তাঁর অবস্থানে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখবেন এবং তাঁর পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা আপনার কাজে লাগবে। নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনাগুলো তাঁর সঙ্গে বিনিময় করতে হবে। তবে সব ক্ষেত্রে যে আপনাদের মতের মিল হবে, তা নয়।
সূত্র: ফোর্বস
Monday, October 26, 2020
বেশি রেগে গেলে নিজেকে কিভাবে সামাল (control) দেন?
কথায় আছে, রাগলেন তো হারলেন। অনেকেই আছে হঠাৎ করে রেগে যান। তবে রাগ কম-বেশি সবারই থাকে। কিন্তু কিছু মানুষের রাগের পরিমাণ একটু বেশিই থাকে। দেখা যায়, রাগের কারণে কখন যে কি করে নিজেরই ঠিক নেই। এই রাগের কারণে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। অনেকে আবার রাগের কারণে হাসির পাত্র হয়ে থাকেন। পরিবার-আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। তবে সব কিছুরই সমাধান রয়েছে। অতিরিক্ত রেগে গেলে নিম্নের কাজসমূহ করতে পারেন। ধীরে ধীরে কমে আসবে রাগের মাত্রা।
১) বলার আগে ভাবুন
রাগের মাথায় কোনো কিছু বলে ফেলা খুব সোজা। তারপরে সেই কথা নিয়ে অনুশোচনার শেষ থাকে না। কিছু বলার আগে কয়েক মুহূর্ত সময় নিন। একটু ভাবুন। অন্যদেরও ভাবার সুযোগ দিন।
২) মাথা ঠাণ্ডা হলে তবেই রাগের প্রকাশ করুন
যখন আপনি সাফ ভাবতে পারছেন, তখনই রাগ প্রকাশ করুন। বিরক্তি প্রকাশ করুন, কিন্তু যুদ্ধের মেজাজে নয়। যত রাগই হোক, অন্যকে অপমান করা কাজের কথা নয়।
৩) কিছু ব্যায়াম করুন
শরীর চর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
রাগও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যদি দেখেন চড়চড় করে বাড়ছে রাগের পারদ, তাহলে বরং কয়েক চক্কর হেঁটে আসুন।
৪) ছোট্ট একটা টাইমআউট নিন
টাইমআউট শুধু ছোটদের জন্য নয়। দিনের যে সময়টা ভয়ানক স্ট্রেসের সে সময় নিজেকে কিছুটা ব্রেক দিন। নিজের জন্য শান্ত কিছু সময় বিরক্তিকর অনেক কিছু থেকে মুক্তি দেয়। রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৫) সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন
কী কারণে আপনি রেগে যাচ্ছেন সে বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে মনোযোগী হোন। বাচ্চারা ঘর অগোছালো করে রাখে বলে বিরক্ত হচ্ছেন? দরজা বন্ধ করে দিন। আপনার পার্টনার কি রোজ ডিনারে দেরি করে আসেন? সন্ধ্যে বেলা একটু ভারী খাবার খেয়ে পেট ভরিয়ে রাখুন। রাতের খাওয়াটা মাঝে মাঝে একা একা খাওয়ায় প্রাকটিস করুন।
৬) নিজের বক্তব্য সাফ জানান
অন্যের নিন্দা বা সমালোচনা না করে নিজের পছন্দ-অপছন্দ পরিস্কার করে জানান। নির্দিষ্ট করে আপনার চাহিদাটা জানান। ‘তুমি বাড়ির কোন কাজই করো না’-র বদলে বলুন ‘আমাকে সাহায্য না করে বারবার তোমার খেয়ে দেয়েই উঠে যাওয়া আমাকে কষ্ট দেয়। ’
৭) রাগ পুষে রাখবেন না
ক্ষমা করতে শিখুন। মনের মধ্যে রাগ পুষে রেখে সবসময় খারাপ কথাই ভাবলে আখেরে ক্ষতি আপনারই। নিজের এই এক পেশে চিন্তায় ডুবে থাকলে ভাল কিছু ভাবার ক্ষমতাটাই না চলে যায়। ক্ষমা করতে শিখুন। নিজের ব্যবহার নিয়েও খুঁটিয়ে ভাবুন। সবাই সব সময় আপনার মতই ভাববে এতটাও আশা করা বোধহয় ঠিক নয়।
৮) টেনশন কমাতে হাসি-ঠাট্টার আশ্রয় নিন
টেনশন কমাতে হাসি ঠাট্টার জুরি মেলা ভার। তবে নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই ভাল।
৯) রিল্যাক্সড হওয়ার কিছু স্কিল প্র্যাকটিস করুন
যদি আপনার চড়া মেজাজে লাগাম পরাতে অসুবিধা হয়, তাহলে জোরে জোরে গভীর নিঃশ্বাস ফেলুন। মজার কোনও দৃশ্য ভাবুন। গান শুনুন, বই পড়ুন, আপনার আদতে যা যা করতে ভাল লাগে সে দিকে বেশি করে মন দিন।
১০) প্রয়োজন হলে সাহায্য নিন
যদি কোনও ভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, যদি আপনার রাগ আপনার বা অন্যদের লাগাতার ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
Thursday, October 22, 2020
আপনি কি জানেন, আপনি জীবনে খুব দেরীতে কী শিখলেন?
- আমাদের জীবনটা বই এর মত, কয়েকটা চ্যাপ্টারে বিভক্ত যেমনঃ হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ, জয়, পরাজয় । আপনি যদি একই চ্যাপ্টার বার বার উল্টান, আপনি কখনো লাস্ট চ্যাপ্টার পড়তে পারবেন না।
- আপনাকে, আপনার চেয়ে বেশি কেউ ভালবাসে না৷ আপনাকে, আপনার চেয়ে বেশি কেউ বোঝে না। ( Except God)
- আপনি যেমনটা চিন্তা করবেন, আপনার জীবন তেমনই হয়ে উঠবে। আপনি যদি মনে করেন হেরে গেছেন, এই হারার মনোভাবই আপনাকে হারিয়ে দিবে।
- আপনার জীবনটা কেউ পরিবর্তন করে দিবে না, আপনি যদি নিজে থেকে পরিবর্তনের চেষ্টা না করেন।
- স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে, আপনি যদি কাজে না নামেন।
- কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, আপনি জীবনে যদি তেমন কিছু করতে না পারেন, আপনাকে বিয়ে করবে কথা দেওয়া মানুষটিও হালকা করে আপনার হাতটি ছেড়ে দিবে।
- অতীতের একই ভুল আপনি যদি আবার করেন, আপনার জীবনটা ভুল পথে যাচ্ছে, এখনই সময় পদক্ষেপ নেওয়ার।
- অতিরিক্ত সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার, আপনার জীবনের হতাশার পরিমান বাড়িয়ে দিবে।
- দিন শেষে, আমরা সবাই একা।
Wednesday, October 21, 2020
Tuesday, October 20, 2020
গলের ৭ নীতি, অনুসরণে হতে পারে তোমার উন্নতি
পুরোটা পড়ার সময় নেই ? ব্লগটি একবার শুনে নাও !
বিধাতা পৃথিবীকে এমনভাবেই সৃষ্টি করেছেন যে প্রকৃতি থেকেই মানুষ শেখার জন্য খুঁজে পায় অসংখ্য উৎস। সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে মানুষ দাবিদার হলেও পশু-পাখিদের কাছ থেকেও কিন্তু শেখার আছে অনেক কিছু! নেতৃত্ব থেকে শুরু করে মিতব্যয়িতা, পারিবারিক বন্ধন ইত্যাদি অনেক কিছুই আমরা তাদের দৈনিক কার্যক্রম দেখে শিখতে পারি।
ঈগলকে আমরা চিনি শক্তিধর, দক্ষ একটি শিকারি পাখি হিসাবে। তবে পাখির রাজা ঈগল নিজ জীবনে মেনে চলে ৭টি মূলনীতি যা মানুষ হিসাবে আমাদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় ও অনুসরনীয়।
চলো দেখে আসি এই ৭টি নীতি এবং তা হতে প্রাপ্য শিক্ষাগুলো!
নীতি- ১:
ঈগল অনেক উঁচুতে উড়ে এবং কখনোই চড়ুই কিংবা অন্যান্য ছোট পাখিদের সাথে মেশে না, উড়েও না।
ঈগল যেই উচ্চতায় উড়ে বেড়ায়, সেই উচ্চতায় অন্য কোন পাখি পৌঁছাতেও পারে না। এজন্যেই ঈগল একা ওড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কারোর সাথে দল বেঁধে নয়।
প্রাপ্য শিক্ষা:
কাক-চড়ুই যেহেতু ঈগলের সমান এতো উঁচুতে উড়তে পারে না, তাই ঈগল তাদের সাথে দল বাঁধে না।
মানুষ হিসাবে তোমাকেও জীবনে চলার পথে এমন মানুষগুলোর সাথেই চলতে-ফিরতে-মিশতে হবে যারা তোমার সমান স্বপ্ন দেখে, যাদের সাথে তোমার দৃষ্টিভঙ্গি মিলে, যাদের সাথে থাকলে তোমার ব্যক্তিগত উন্নয়ন সম্ভবপর হবে।
বন্ধুত্ব করতে হবে সম-মানসিকতার মানুষের সাথে এবং এড়িয়ে চলতে হবে এই কাক ও চড়ুইদের, যাদের সাথে তোমার জীবনের লক্ষ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
নীতি- ২:
ঈগলের রয়েছে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি যার মাধ্যমে সে আকাশে থাকা অবস্থাতেই ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখতে পায়, তাও একদম স্পষ্ট! ঈগল যখন তার শিকার খোঁজে, সে তার সব ফোকাস সেটার ওপর নিয়ে যায় এবং বেরিয়ে পড়ে শিকারের জন্য। যত বাধাই আসুক না কেন, সেটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ঈগল কোনক্রমেই তার চোখ সরায় না।
প্রাপ্য শিক্ষা:
ঈগল যেমন খুব স্পষ্টভাবে সবই দেখতে পায়, কিন্তু ফোকাস করে শুধু একটি প্রাণীর উপরে, তেমন ভাবে তোমাকেও সব কিছু জানতে হবে, খোঁজ খবর রাখতে হবে তবে ফোকাস রাখতে হবে যেকোনো একটি কাজের উপর।
নিজেকে জানো, জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করো এবং সেই একটি লক্ষ্যের পিছনেই ছোটো। যত বিপত্তিই আসুক না কেন, ফোকাস হারানো চাই না!
নীতি- ৩:
পাখির রাজা ঈগল সর্বদা জীবন্ত প্রাণীকে খাবার হিসেবে খেয়ে থাকে। কখনোই কোন মৃত জিনিস তারা ভক্ষণ করে না।
প্রাপ্য শিক্ষা:
রোজ রোজ নতুন শক্তির চাহিদায় ঈগল পাখি কখনোই মৃত কিছু না খেয়ে বরং জীবন্ত ও নতুন কোন শিকারের পিছে ছুটে।
ঠিক একই ভাবে, গতিশীল পৃথিবীতে নিজেকে এগিয়ে রাখার লক্ষ্যে নিজেকে সর্বদা নতুন সব তথ্য দিয়ে আপডেটেড রাখতে হবে। প্রতি সেকেন্ডেই বদলে যাচ্ছে অনেককিছু। তাই সার্বক্ষণিক তোমাকে জানতে হবে সর্বশেষ তথ্য ও খবর। জীবনের লক্ষ্য আরও স্পষ্ট করার জন্য এসব নতুন তথ্য নতুন শক্তির যোগান দেয়।
তাছাড়াও, আশেপাশের কিছু মানুষ মৃত ও পচা মাংসের মতই। তারা সর্বদা এমন সব কথাই বলে যা আমাদের নিরুৎসাহিত করে। তবে এখানেই শিক্ষা নিয়ে হাজির হয় ঈগল পাখি। সে যেমন চড়ুই, কবুতরের মতো পাখিদের জন্য নিরুৎসাহিত না হয়ে আরও উঁচুতে উড্ডয়ন করে, তোমাকেও কোন কিছুতে কান না দিয়ে ঈগলের মতোই এগিয়ে যেতে হবে নিজের স্বপ্ন ছুঁতে।
নীতি- ৪:
ঝড় আসলে ঈগল পাখি তা এড়িয়ে না গিয়ে বরং ঝড়ের বেগকেই কাজে লাগিয়ে উঁচুতে উড়ে যায়। অন্যান্য পাখিরা যখন পাতা ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে, ঈগল তখন ঝড়ের বিরুদ্ধে তার ডানা ঝাপটে যায় এবং ঝড়ের বেগকেই কাজে লাগিয়ে মেঘকে ভেদ করে উপরে উঠে যায়। এমনকি একবার বাতাসের বেগ পেয়ে গেলেই ঈগল তার ডানা ঝাপটানো বন্ধ করে দেয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উপরে যেতে থাকে। ঝড়কে যেন সে খুব ভালবাসে!
প্রাপ্য শিক্ষা:
চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ নয়, সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে। অন্য সব পাখি যখন আশ্রয়ের জন্য জায়গা খুঁজে, ঈগল তখন ঝড়ের মাঝেও উড্ডয়নে মগ্ন থাকে। ঝড়ের বেগকে কাজে লাগিয়েই ঈগল টিকে থাকে বৈরি আবহাওয়ায়।
তাই সাফল্যপিপাসু একজন স্বপ্নবাজকেও প্রতিটি চ্যালেঞ্জ সাদরে গ্রহণ করতে হবে। একমাত্র প্রতিকূল পরিস্থিতিই পারে নতুন কিছু শেখাতে, সমস্যা সমাধানের দারুণ দক্ষতাটি বাড়াতে। অতএব, চ্যালেঞ্জ আসলে এড়িয়ে না গিয়ে তার মুখোমুখি হতে হবে, দৃপ্ত হাতে লড়তে হবে। বাধা নয়, শক্তিতে পরিণত করতে হবে, ঠিক যেভাবে ঈগল করে।
নীতি- ৫:
একটা মেয়ে ও ছেলে ঈগল যদি কখনো বন্ধু হতে চায়, মেয়ে ঈগলটি প্রথমেই ছেলে ঈগলটির কমিটমেন্টের পরীক্ষা নিয়ে নেয়। কীভাবে?
সাক্ষাৎ হওয়ার পর মেয়ে ঈগলটি মাটিতে নেমে এসে গাছের একটি ডাল তুলে নেয়। তার পিছে পিছে ছেলে ঈগলটিও উড়ে যায়। মেয়ে ঈগলটি সেই ডাল নিয়ে উপরের দিকে উড়ে যায় এবং একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় যাওয়ার পর গাছের সেই ডালটি নিচে ফেলে দেয়। তার পিছু নেওয়া সেই ছেলে ঈগলটি তা দেখে ডালটি ধরার জন্য দ্রুত নিচের দিকে যায়। ডালটি সে মেয়ে ঈগলের কাছে ফিরিয়ে আনে।
এই কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি কয়েক ঘণ্টা ধরে হতেই থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত মেয়ে ঈগল আশ্বস্ত হয় যে ছেলে ঈগলটি এই ডাল ফিরিয়ে আনার কাজটি আত্মস্থ করতে পেরেছে। এটা তার কাছে ছেলে ঈগলটির ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার’ পরিচয় তুলে ধরে। অর্থাৎ, ইংরেজিতে আমরা যেটাকে বলি Commitment। একমাত্র ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার’ পরিচয় দিতে পারলেই পরে তারা দুজন বন্ধু হতে পারে।
প্রাপ্য শিক্ষা:
এখান থেকে প্রাপ্য শিক্ষা এটাই যে, ব্যক্তিগত জীবনেই হোক আর পেশাগত জীবনেই হোক, কারোর সাথে কোন চুক্তিতে বা সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার আগে তার Commitment যাচাই করে নিতে হবে। এমন কারোর সাথে কাজে যোগ দিতে হবে যে কাজের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও মনোযোগী।
নিজের কর্মচারী বা জুনিয়রদের অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে এবং পরখ করতে হবে যে তোমার তত্ত্বাবধান ব্যতীত তারা কতটুকু ভালো কাজ করেছে, কত মনোযোগ ও গুরুত্বের সাথে কাজ করেছে।
ঈগল আমাদের এই শিক্ষাটা কত সুন্দর করেই না দিয়েছে!
নীতি- ৬:
ডিম পাড়ার সময় আসলে বাবা ও মা ঈগল পাহাড়ের এমন একটি জায়গা বেছে নেয় যেখানে কোন শিকারির হামলা করার সুযোগ থাকে না। বাসা তৈরির পালা আসলে ছেলে ঈগল এই বাসা নির্মাণের জন্য প্রথমে কিছু কাঁটা বিছায়, তার উপর গাছের ছোট ছোট ডালা, তার উপর আবার কিছু কাঁটা দিয়ে একদম শেষে কিছু নরম ঘাস বিছিয়ে দেয়। ছোট্ট আবাসটির নিরাপত্তার জন্য বাইরের দিকে তারা কাঁটা ও শক্ত ডালা বিছিয়ে রাখে।
বাচ্চা ঈগলগুলোর যখন উড়তে শেখার সময় হয়, মা ঈগল তাদেরকে বাইরে ছুঁড়ে দেয় কিন্তু পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছানাগুলো ফিরে আসে। মা ঈগল এবার সব নরম ঘাস সরিয়ে ফেলে পুনরায় তাদের বাইরে ছুঁড়ে দেয়। আর তাই ছানাগুলো যখন ফিরে আসে, কাঁটার সাথে আঘাত পেয়ে তারা নিজেই বাইরে ঝাঁপ দেয় এই ভেবে যে এতো প্রিয় মা-বাবা কেন এমন করছে?
এবারে বাবা ঈগল নিয়োজিত হয় তাদের উদ্ধারকার্যে। নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই সে তার পিঠে করে ছানাগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। যতদিন পর্যন্ত ছানাগুলো তাদের ডানা ঝাঁপটানো না শুরু করে, এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।
প্রাপ্য শিক্ষা:
এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেকগুলো বিষয় আছে।
- এরকম সুরক্ষিত আশ্রয় গড়ে তোলার এই প্রস্তুতি আমাদের শেখায় যেকোনো পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার।
- পরিবারের সব কাজে প্রত্যেকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সর্বদাই কাম্য। তা পরিবারের ছোট সদস্যদের কাছেও একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়।
- বাচ্চা ঈগলের গায়ে কাঁটা লাগায় তারা শেষ পর্যন্ত ডানা ঝাঁপটানো শুরু করে এবং তখনই প্রকৃতপক্ষে নতুন একটা বিষয় আবিষ্কার করে। তারা আবিষ্কার করে যে তারা উড়তে পারে!
অতএব এখান থেকে আমাদের শেখা উচিত যে, আমরা যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, সারা জীবন ওখানেই থাকলে আমরা নতুন কিছু শিখব না, জীবন নিয়ে জানবো না, নিজের ক্ষমতাগুলো নিয়ে অবগত হব না। এক কথায়, ‘Comfort Zone’ থেকে বের হতেই হবে! নচেৎ নতুন কিছু শেখা কখনোই সম্ভব নয়।
- বাচ্চা ঈগলের গায়ে কাঁটা লাগায় তারা শেষ পর্যন্ত ডানা ঝাঁপটানো শুরু করে এবং তখনই প্রকৃতপক্ষে নতুন একটা বিষয় আবিষ্কার করে। তারা আবিষ্কার করে যে তারা উড়তে পারে!
- পৃথিবীতে আর যা কিছুই হয়ে যাক, বাবা-মা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল কামনা করেন না। মা ঈগল তার ছানাগুলোকে ছুঁড়ে দিতে চায় যেন তারা উড়তে শিখে, বাবা ঈগল তাদের পড়ে যাওয়া হতে বাঁচায়- এটাই কি অনুসরনীয় নয়?
নীতি- ৭:
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঈগল পাখির ডানার পালকগুলো দুর্বল হয়ে পরে, যে কারণে সে আগের মত খুব দ্রুত গতিতে উড়তে পারে না। দুর্বল বোধ করলে সে এমন একটি জায়গায় আশ্রয় নেয় যেখানে পাথর রয়েছে। সেখানে সে তার শরীরের প্রতিটি পালক টেনে ছিঁড়ে ও উঠিয়ে ফেলে। নতুন পালক না গজানো পর্যন্ত সেই দুর্বল ঈগল কোথাও বের হয় না। নতুন পালক গজিয়ে গেলে সে পুনরায় বজ্র গতিতে উড়ে বেড়ায়।
প্রাপ্য শিক্ষা:
কাজ, দায়িত্ব, পড়াশোনার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে যখন হাঁপিয়ে উঠবে, সিদ্ধান্ত নাও একটু বিরতি নেওয়ার। ছোট্ট একটি ছুটি নাও, সময় বের করো নিজের জন্য। এ সময়টিতে একান্তে চিন্তা করো কোন কাজটি তোমার কাছে অর্থপূর্ণ এবং কোনটি তোমার করার একেবারেই প্রয়োজন নেই। ঈগলের মতো তুমিও ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলো সেসব অপ্রয়োজনীয় কাজের দায়িত্ব যা তোমার চলার গতিকে মন্থর করছে, এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সেই সাথে, নিজেকে যাচাই করে দেখো যে কোন কোন বদ অভ্যাসে তুমি বর্তমানে অভ্যস্ত। ঈগল পাখির মতই ঝেড়ে ফেলো সেসব বদ অভ্যাস; পুনরায় শুরু করো নতুন পথচলা।
সারাংশ:
১। সমমনা মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করো। তোমার জীবনে বন্ধুদের প্রভাব অনেক বেশি। তাই বন্ধু নির্বাচন করো বুঝে শুনে।
২। আশে পাশের সবকিছুর প্রতিই খেয়াল রাখো তবে পিছু নাও শুধু একটি লক্ষ্যের। সেই লক্ষ্য হতে কোন ভাবেই ফোকাস হারানো চাই না!
৩। সব সময় নতুন সংবাদ ও তথ্যের খোঁজ রাখো। পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলো এবং অন্য মানুষের কথা শুনে নিজের স্বপ্নের পিছু নেয়া ছেড়ে দিবে না কখনোই।
৪। চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ নয়, সুযোগ হিসাবে দেখো। একে মোকাবিলা না করলে নতুন কিছু কখনোই শেখা হবে না, যেই অবস্থানে রয়েছো তা হতে কখনোই উত্তরণ করতে পারবে না।
৫। কাউকে নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে তার Commitment যাচাই করো। ব্যক্তিগত হোক আর পেশাগত জীবনেই হোক, যাচাই করে নিতে ভুলবে না।
৬। যেকোন রকম পরিবর্তনের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকো। অভিযোজনে অভ্যস্ত হও অর্থাৎ যেকোন পরিস্থিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখো। আর ভুলে যেয়ো না যে: “Life begins at the end of your comfort zone.”
Comfort zone থেকে না বেরোলে জীবনে অগ্রগামী হওয়া প্রায় অসম্ভব।
৭। নিজের সকল বদ অভ্যাস হতে বের হয়ে আসো। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো হতে নিজেকে দায়মুক্ত করো। নাহলে জীবন থমকে যাবে!
একজন মানুষের কোন গুণ দেখে তাকে পছন্দ করেন?
- ভালো কথা বলতে জানলে সেই মানুষটিকে তৎক্ষণাৎ পছন্দ করি।
- বিনয়ী মানুষ পছন্দ করি।
- গোছানো স্বভাবের মানুষ আমার বরাবর পছন্দ।
- যে মানুষ নিজেই নিজেকে নিয়ে ঠাট্টা করতে পারে সে আমার বিশেষ প্রিয় মানুষ।
- যখন কেউ অন্যের কাজের প্রাণ খুলে প্রশংসা করেন তখন তাকে পছন্দ করি (কারণ এটা সবাই পারে না)।
- যারা কুকুর বেড়াল ভালোবাসেন তাদের প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করে। এর ব্যাখ্যা দিতে পারবো না।
- যারা নিজের মতামতে দৃঢ় ভরসা রাখেন আবার অন্যের মতকেও শ্রদ্ধা করেন তাঁদের পছন্দ ও শ্রদ্ধা করি।
- সবার সাথে মিলেমিশে চলা মানুষ ভালো লাগে। দেখবেন এমন কিছু মানুষ আছেন যারা আপনার বাড়িতে অতিথি হয়ে এলেও মনে হবে ইনি আপনার নিজের বাড়ির লোক, এতটাই সহজভাবে মিশে যাবেন। এমন মানুষকে খুব পছন্দ করি।
- কারো বিপদে যিনি তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন সেই মানুষকে পছন্দ করি।
- যিনি নিজে কথা বলেন, কিন্তু তার সাথে অন্যদেরকেও কথা বলতে দেন, তাঁকে পছন্দ করি।
Monday, October 19, 2020
ভালো বউ হওয়ার উপায়গুলো বলুন?
যেহেতু আমি বউ না বা ভবিষ্যতেও সেটি কোনোভাবেই সম্ভবনা নেই। তাই এই উত্তরটি আমি পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দিতে চলেছি। স্বাবাভিকভাবেই সবাই এর ইচ্ছা, বা চাওয়া সমান হতে পারেনা কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের জন্য এটি সত্যি।
- কাজ থেকে ফিরলে, নিজের স্বামীর সেবা করবে।
- প্রতিদিন নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াবেন।
- ঘরের মধ্যেই লক্ষী বউ এর মতন থাকবে।
- সবসময় রোমান্টিক মুডের সঙ্গী হবেন।
উপরিক্ত পয়েন্টগুলি কিন্তু কোনো পুরুষই চাইনা কিছু কুসংস্কারযুক্ত পরিবার ছাড়া ।
বউ হিসাবে নিজের স্বামীদের,
- একটু স্বাধীন থাকতে দিন, সারাক্ষন কোথায় আছো ? ওখানে কোনো গেছো ?এই পোশাক পড়বেনা, ওই রঙ তোমাকে মানাই না। এইগুলো থেকে একটু বেরিয়ে আসতে পারেন।
- আপনি কোনদিনে কি রঙের পোশাক পড়েছিলেন, বা কোন গহনা পড়েছিলেন এই রকম প্রশ্ন না করায় ভালো। পুরুষেরা এইসব মনে রাখতে পারেন না।
- স্বামীর কাজে উৎসাহ দিন, সে যাতে কাজকে ভালোবাসতে পারেন এতে অফিস এ খুশিতে কাজ করতে পারবেন ফলে অফিসের চাপ বাড়িতে আসবেনা।
- যে জিনিসগুলিতে আপনার স্বামীর আকর্ষণ ( ক্রিকেট, ফুটবল বা মুভি ) সেগুলি সম্পর্কে অল্পবিস্তর আলোচনা করুন।
- হটাৎ হটাৎ একটু রোমান্টিক হয়ে পড়ুন ( পরিস্থিতি বুঝে এমন নয় স্বামীর মন খারাপ তখন )।
আসলে মেয়েরা কোনো বিষয়কে ইমোশনালই চিন্তা করেন আর ছেলেরা কোনো বিষয়কে লজিকালি চিন্তা করেন।
ধরুন, আপনার অসুখ হয়েছে,বাবা বলবে ওষুধ খেয়ে নেবে সেরে যাবে। আর মা এসে পাশে বসবে মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে।
তাই পুরুষদের লজিক দিয়ে এবং মেয়েদের ইমোশনালভাবে সমর্থন করতে হয়।
Sunday, October 18, 2020
ধনী হওয়ার সুবিধা-অসুবিধাগুলি কী কী?
ধনী হওয়ার আগে দার্শনিক হওয়া ভাল নয়। ধনী হওয়ার সুবিধাই সবচেয়ে বেশী। KGF সিনেমার একটা লাইন খুব মনে পড়ে -- "অর্থের অভাব মানুষকে ভালভাবে বাচতে দেয় না, ভালভাবে মরতেও দেয় না"
আপনি কোরাতে এই প্রশ্ন করেছেন, কিন্তু ধনীদের কোরা চালানোর সময় কই ? তারা ব্যাস্ত আছে, তাদের ব্যবসা আরও বড় করার জন্য, আরও বেশী মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করার জন্য।
ধনী হবার সুবিধা বলে শেষ করা যাবে না। যেমন —
১. আপনি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন এবং খুবই আত্নতৃপ্তি পাবেন।
২. আপনার মুখের কথা,চিন্তাভাবনা সবাই অনেক গুরুত্ব সহকারে নিবে।
৩. বিপদে-আপদে আপনি মানুষকে বেশী বেশী সাহায্য- সহযোগিতা করতে পারবেন।
৪. মানুষ সন্মান করবে।
৫. আপনাকে কখনো চিকিৎসা ব্যায় নিয়ে ভাবতে হবেনা।
৬. আপনি পরিবারের মানুষদের ছোট ছোট সকল চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
৭. আমাদের জীবন যেহেতু একটাই, এই ছোট্ট জীবনে আপনি দুনিয়ার যেখানে খুশি সেখানে, যখন ইচ্ছা তখন, যেভাবে খুশি সেভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। টাকা আপনার জন্য বাধা হয়ে দাড়াবে না।
৮. আপনাকে কখনো বাজেট করে চলতে হবে না। নিজের পছন্দকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে পারবেন।
আসলে ধনী হওয়ার সুবিধা বলে শেষ করা যাবে না। আমি ধনী হওয়ার অসুবিধাই বরং খুজে পাই না।
জীবনে যদি কখনো কাদতে হয়, নিজের কোটি টাকার গাড়িতে বসেই কাদুন।