Saturday, March 27, 2021

আল্লাহ কি মুসলিমদের বেশি পছন্দ করেন না, খ্রিস্টানদের বেশি পছন্দ করেন?

আল্লাহর কাছে মুসলমান খ্রিস্টান বলে কিছু নেই। আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন, যারা আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলে। এই আদেশ নিষেধ কি? সেসব কোথা থেকে জানা যায়?

আল্লাহ মানুষের মধ্য থেকে রাসুল (বার্তা বাহক) মনোনীত করেন। সেই রাসুলের কাছে বাণী পাঠান, সেটা সম্পূর্ণ একটি বই হয়ে যায়। মুসা (আ) পেয়েছিলেন তাওরাত, যেটা ছিল ইহুদি ধর্মগ্রন্থ। তখন তাওরাতের আদেশ-নিষেধ যারা মেনেছে, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন। এর পরে, ইসা(আ) পেলেন ইঞ্জিল (বাইবেল)। এই সময়, মুসা (আ) এর বই তাওরাত বাতিল হয়ে গেল। তখন ইঞ্জিলের আদেশ-নিষেধ যারা মেনেছে, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন।

অবশেষে মুহাম্মদ (সা) কোরআন পেলেন। এই সময়, ইসা (আ) এর ইঞ্জিল বাতিল হয়ে গেল। এখন কোরআনের আদেশ-নিষেধ যারা মানেছে, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন।

Wednesday, March 24, 2021

হজরত মহম্মদ কি সত্যিই অ-মুসলিমদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন?

আমি নিজেই এই প্রশ্নের কারণে জীবনে অনেক হতাশায় ভুগেছি। মুহাম্মদ (সঃ) থেকে এই বিষয়ে কুরআন বেশি বলা হয়েছে। শুধু এই প্রশ্নের কারণে ইসলামে ঈমান এনেও সন্দেহ জাগে😢😢 যাহোক নিম্নের আয়াতগুলো দেখেন-

সুরা মায়েদা ৫:৫১ = হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।

* সুরা ইমরান ৩:২৮ = মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা'আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।

* সুরা নিসা ৪:৮৯ = তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।

* সুরা নিসা ৪:১৩৯ = যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।

* সুরা নিসা ৪:১৪৪ = হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?

* সুরা মুমতাহিনা ৬০:১৩ = মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে।

এছাড়া কুরআনে অমুসলিদের নাপাক বলা হয়েছে।

*হে ঈমানদারগণ, নিশ্চয় মুশরিকরা নাপাক, সুতরাং তারা যেন এ বছরের পর থেকে মসজিদুল হারামের নিকটবর্তী না হয়। [কুরআন- ৯ঃ২৮]

দয়া-মায়ার ছিটে ফোটা থাকা আমার মতো মানুষেরও যদি এই আয়াতগুলো দেখে খারাপ লাগে তাহলে ৯৯টি রহমতের অধিকারী মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কি একটুকুও খারাপ লাগেনি এই সাম্প্রদায়িক আয়াতগুলো নাযিল করতে? কেউ কি পারবেন উত্তর দিতে?

আপনার প্রশ্নের এক উত্তর হচ্ছে 'না পারবেন না।' ইসলামে অমুসলিম মানেই নাপাক। "তবে শুধু কিছু ক্ষেত্রে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারবেন।" [সূরা মুমতাহিনা আয়াতঃ ৮] তবে তা যেন বন্ধুত্ব পর্যায়ে না চলে যায়। সর্বপরি এই প্রশ্ন মূলত আমাকেও হতাশায় ভুগায়। আল্লাহ্ হাফেজ।

জী না ভাই আমরা ভন্ড মুসলিম না!

আমাদের দেশে রমজান মাস আসলেই সমস্ত জিনিসপত্রের দামটা হুট করে বেড়ে যায়, এই কথাটা আপনার ১০০% সত্য। এখন দাম বেড়ে গেলেই যে আমরা ভন্ড মুসলিম হয়ে গেলাম বিষয়টা তেমন নয়, কারন ভন্ড মুসলিমের সংজ্ঞাটা একটু ভিন্ন । ভন্ড মুসলিম তাকেই বলে, যার মুখে এক আর অন্তরে আরেক।

আমাদের যেটা সমস্যা, সেটা হলো আমাদের দেশের মোল্লা থেকে শুরু করে সাধারণ মুসুল্লিদের ইমান এতই দূর্বল যে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়!

হুট করে দাম বাড়িয়ে দেয়াটা অন্যায়, এখন কোথাও অন্যায় হলে একজন মুসলিম হিসেবে তার প্রাধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো মুখে বলে বাঁধা দেয়া আর শক্তি ও সামর্থ থাকলে প্রতিবাদ করা। এই জায়গাটায় এ দেশের মুসলিমদের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের। অন্যায় হচ্ছে মুখ বুঝে সয়ে যাচ্ছে , শক্তি এবং সামর্থ থাকা সত্যেও প্রতিবাদ করছে না কারন তাদের ইমান দূর্বল ।

ধন্যবাদ

Monday, March 15, 2021

সুখী দাম্পত্য জীবনের পরামর্শ কী কী?


১/ বাসর রাতেই I Love YOU বলে দিয়েন।

২/ প্রতিদিন ভালোবাসা বিনিময় করুন। অভিমান করলে চিরকুটে লিখে দিন," আমি তোমাকে ভালোবাসি "।

৩/ সঙ্গী খুশি হয় এমন কাজ করুন। যদি সে চা পছন্দ করে না চাইতে এককাপ এনে দিন।আর স্ত্রীর জন্য অফিস বা বাহির থেকে আসার সময় ফুল,চকলেট, তার পছন্দের খাবার নিয়ে আসুন।

৪/ একজন রেগে গেলে আরেক জন চুপ থাকবেন, দুজন একসাথে রেগে যাবেন না।আর কারো কথা শুনে সাথে সাথে অ্যাকশনে যাবেন না, যাচাই করবেন কিংবা জিজ্ঞেস করবেন।

৫/ বিশ্বাস। পরষ্পরকে বিশ্বাস।

৬/ দুজনেই চাইতে হবে যাতে তার সঙ্গী সুখ বা আনন্দ পাক।

৭/ হাতে তুলে খাটইয়ে দিবেন, এতে ভালোবাসা বাড়ে।

৮/ সঙ্গীর ঠোঁটের চাইতে কপালে চুমু বেশি খাবেন।

৯/ মধ্য রাতে তাকে নিয়ে হাঁটতে বের হবেন। মনোবিজ্ঞান বলে এতে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।

১০/ তাকে মজা দিবেন।


১/ বাসর রাতেই I Love YOU বলে দিয়েন।

২/ প্রতিদিন ভালোবাসা বিনিময় করুন। অভিমান করলে চিরকুটে লিখে দিন," আমি তোমাকে ভালোবাসি "।

৩/ সঙ্গী খুশি হয় এমন কাজ করুন। যদি সে চা পছন্দ করে না চাইতে এককাপ এনে দিন।আর স্ত্রীর জন্য অফিস বা বাহির থেকে আসার সময় ফুল,চকলেট, তার পছন্দের খাবার নিয়ে আসুন।

৪/ একজন রেগে গেলে আরেক জন চুপ থাকবেন, দুজন একসাথে রেগে যাবেন না।আর কারো কথা শুনে সাথে সাথে অ্যাকশনে যাবেন না, যাচাই করবেন কিংবা জিজ্ঞেস করবেন।

৫/ বিশ্বাস। পরষ্পরকে বিশ্বাস।

৬/ দুজনেই চাইতে হবে যাতে তার সঙ্গী সুখ বা আনন্দ পাক।

৭/ হাতে তুলে খাটইয়ে দিবেন, এতে ভালোবাসা বাড়ে।

৮/ সঙ্গীর ঠোঁটের চাইতে কপালে চুমু বেশি খাবেন।

৯/ মধ্য রাতে তাকে নিয়ে হাঁটতে বের হবেন। মনোবিজ্ঞান বলে এতে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।

১০/ তাকে মজা দিবেন।

Tuesday, March 9, 2021

আসুন ছোট ছোট শিরক সম্পর্কে জানি ও এগুলো থেকে বিরত থাকি।



আসুন ছোট ছোট শিরক সম্পর্কে জানি ও এগুলো থেকে বিরত থাকি।

🔘শরিরে যে কোন প্রকার তাবিজ ঝুলানো শিরক।
__(মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫৮, সহিহ হাদিস:৪৯২)

🔘আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক।
__(আবু দাউদ:৩২৩৬(ইফা)

🔘কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক।
__(বুখারি :৫৩৪৬, আবু দাউদ:৩৯১০)

🔘মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক।
__(সুর জীন: ২০, মুসলিম:১০৭৭,আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই)

🔘আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পির আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে মানত করা শিরক।
__(সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির)

🔘কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই ধারনা বিশ্বাস করা শিরক।
__(বুখারি, আবু দাউদ:৩৯১০)

🔘কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে "ও মা, ও বাবা" ইত্যাদি বলে এইরকম গায়েবি ডাকা শিরক।
বিপদে পড়লে "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন" বলতে হয়।
__(সুরা বাকারাহঃ ১৫৬)

🔘তোর ভবিষ্যত অন্ধকার', 'তর কপালে বহুত কষ্ট আছে',এই ধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক।
__(সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯)

🔘হোচট খেলে কিংবা পেচা ডাকলে সামনে বিপদ আছে এই ধারনা শিরক
__(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস:১০৭)

🔘রোগ ব্যাধি বা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে শরীরে পিতলের বালা, শামুক, ঝিনুকের মালা, সুতা, কিংবা যেকোন প্রকারের বস্তু লটকানো শিরক।
__(তির্মিযি, আবু দাউদ ও হাকেম)

🔘সকালে বেচাকেনা না করে কোন কাষ্টমারকে বাকি দিলে কিংবা সন্ধ্যার সময় কাউকে বাকি দিলে ব্যাবসায় অমঙ্গল হয় এই ধারনা করা শিরক!।
__(আবু দাউদঃ৩৯১০)

🔘সফলতা কিংবা মঙ্গল লাভের জন্য এবং অমঙ্গল থেকে রক্ষা পেতে যেকোন প্রকার আংটি ব্যবহার করা শিরক।
__(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস :১০৭)

🔘যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো তথা তাযীম করা বা তার সামনে নিরবতা পালন করা শিরক
যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার কিংবা মাজার ইত্যাদি।
__(সুরা বাকারাহ:২৩৮, আহকাফ:৫, ফাতহুল বারি ৭/৪৪৮, আবু দাউদ:৪০৩৩)

🔘আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক।
__(সুরা আনাম:১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫, কাহফ:১১০,ইমরান:৬৪, ইবনে মাজাহ হা নং৫২০৪)

🔘আল্লাহ্ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক
__(সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৬, আনাম:৫৯)

🔘পায়রা/ কবুতর উড়িয়ে শান্তি কামনা করা শিরক,
কারণ শান্তিদাতা একমাত্র আল্লাহ্
__(সুরা হাশরঃ ২৩)

🔘আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক।
__(সুরা ফাতিহা:৪, আশ শোআরা:২১৩, গাফির:৬০, তির্মিযি)
এইরকম আরো অসংখ্য শিরক সমাজে বিদ্যামান।
আল্লাহ্ বলেন, অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে শিরকও করে।
__(সুরা ইউসুফঃ ১০৬)

মনে রাখবেন,,
শিরক এমন একটি গুণাহ যা করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ যেকোন গুণাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুণাহ ক্ষমা করবেন না।

আল্লাহ্ বলেন,,
নিসন্দেহে আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে যেকোন গুণাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুণাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।__(সুরা নিসা :৪৮,১১৬)

নিশ্চয় যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন।
__(সুরা মায়িদাহ:৭২)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ছোট ছোট শিরক হতে রক্ষা করেন,, আমীন

*সহজ দশটি আযকার (যিকির) যার সাওয়াব অনেক বেশি*

*সহজ দশটি আযকার (যিকির) যার সাওয়াব অনেক বেশি*

🌷(১) ‘প্রতিদিন ১০০ বার “سبحان الله” পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়।‘ [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]

🌷(২) ‘الحمد لله” মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’।‘ [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]

🌷(৩) ‘لا اله الا الله” হলো সর্বোত্তম যিকর।‘ [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]

🌷(৪) ‘سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبر” এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সঃ) বলেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চাইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়।‘ [সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২]

🌷(৫) ‘যে ব্যক্তি “سبحان الله وبحمده” প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে।‘ [সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১]

🌷(৬) নবী (সঃ) বলেনঃ ‘سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم” এই কালীমাগুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ , মীযানের পাল্লায় ভারী ,দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয়।‘ [সহিহ আল- বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]।

🌷(৭) ‘যে ব্যক্তি “سبحان الله العظيم وبحمده” পাঠ করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতী)খেজুর গাছ রোপন করা হবে।‘ [আত-তিরমিযী-৫/৫১১,আল-হাকীম-১/৫০১, সহীহ আল-জামে’-৫/৫৩১, সহীহ আত-তিরমিজী-৩/১৬০ ]

🌷(৮) ‘নবী (সঃ) বলেনঃ “لا حول ولا قوة الا بالله” হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন।’ [সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম- ৪/২০৭৬]

🌷(৯) নবী (সঃ) বলেনঃ “سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبرو لا حول ولا قوة الا بالله” এই কালীমাগুলি হচ্ছে “অবশিষ্ট নেকআ’মল সমুহ।” [ আহমাদ (সহীহ)-৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ-১/২৯৭ ]
🌷(১০) নবী (সঃ) বলেনঃ ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআ’লা তার প্রতি দশ বার রহমত বর্ষণ করবেন। এবং তিনি (সঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে।‘ [তাবারানী,মাজময়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩]

নিজেকে পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু পারছি না,কিভাবে শুরু করবো?"

★★★নিজেকে পরিবর্তন  করতে চাই কিন্তু পারছি না,কিভাবে শুরু করবো?" 
-- এভাবে করতে পারেন-
১. স্মার্টফোন থেকে একটা লম্বা বিরতি নিন।
২. সালাত জামায়াতে আদায়ের চেষ্টা করুন।
৩. বড় আর ছোট, সবার সাথে মানবিক, দয়ালু, বিনয়ী হোন।
৪. সবাইকে সালাম দিতে শিখুন। হোক সে রিকশাওয়ালা কিংবা আপনার বাসার ঝাড়ুদার।
৫. টিভি দেখা অবশ্যই ছাড়তে হবে।
৬. যেসকল বন্ধুরা গার্লফ্রেন্ড, মুভি, নাটক, গান কিংবা দুনিয়াবি বিষয়ে আলোচনা করে, তাদের সঙ্গ ছেড়ে, যারা বেশি আখিরাত মুখী এবং যাদের আড্ডাগুলো হয় দ্বীন-মুখরিত, তাদের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করুন।
৭. রাগ কন্ট্রোল করুন।
৮. সবকিছুর ওপরে দ্বীনকে প্রাধান্য দিন।
৯. বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়দের হক আদায় করুন।বাবা-মা'কে কষ্ট দেওয়া যাবে না কোনোভাবেই।
১০. কুরআন তিলাওয়াত, যিকির আর দুয়া ভর্তি দিন পার করুন। 

--ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর সাহায্য আসবেই!!

©©

Monday, March 8, 2021

আসুন ছোট ছোট শিরক সম্পর্কে জানি ও এগুলো থেকে বিরত থাকি।

আসুন ছোট ছোট শিরক সম্পর্কে জানি ও এগুলো থেকে বিরত থাকি।
🔘শরিরে যে কোন প্রকার তাবিজ ঝুলানো শিরক।
__(মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫৮, সহিহ হাদিস:৪৯২)
🔘আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক।
__(আবু দাউদ:৩২৩৬(ইফা)
🔘কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক।
__(বুখারি :৫৩৪৬, আবু দাউদ:৩৯১০)
🔘মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক।
__(সুর জীন: ২০, মুসলিম:১০৭৭,আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই)
🔘আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পির আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে মানত করা শিরক।
__(সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির)
🔘কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই ধারনা বিশ্বাস করা শিরক।
__(বুখারি, আবু দাউদ:৩৯১০)
🔘কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে "ও মা, ও বাবা" ইত্যাদি বলে এইরকম গায়েবি ডাকা শিরক।
বিপদে পড়লে "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন" বলতে হয়।
__(সুরা বাকারাহঃ ১৫৬)
🔘তোর ভবিষ্যত অন্ধকার', 'তর কপালে বহুত কষ্ট আছে',এই ধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক।
__(সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯)
🔘হোচট খেলে কিংবা পেচা ডাকলে সামনে বিপদ আছে এই ধারনা শিরক
__(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস:১০৭)
🔘রোগ ব্যাধি বা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে শরীরে পিতলের বালা, শামুক, ঝিনুকের মালা, সুতা, কিংবা যেকোন প্রকারের বস্তু লটকানো শিরক।
__(তির্মিযি, আবু দাউদ ও হাকেম)
🔘সকালে বেচাকেনা না করে কোন কাষ্টমারকে বাকি দিলে কিংবা সন্ধ্যার সময় কাউকে বাকি দিলে ব্যাবসায় অমঙ্গল হয় এই ধারনা করা শিরক!।
__(আবু দাউদঃ৩৯১০)
🔘সফলতা কিংবা মঙ্গল লাভের জন্য এবং অমঙ্গল থেকে রক্ষা পেতে যেকোন প্রকার আংটি ব্যবহার করা শিরক।
__(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস :১০৭)
🔘যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো তথা তাযীম করা বা তার সামনে নিরবতা পালন করা শিরক
যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার কিংবা মাজার ইত্যাদি।
__(সুরা বাকারাহ:২৩৮, আহকাফ:৫, ফাতহুল বারি ৭/৪৪৮, আবু দাউদ:৪০৩৩)
🔘আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক।
__(সুরা আনাম:১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫, কাহফ:১১০,ইমরান:৬৪, ইবনে মাজাহ হা নং৫২০৪)
🔘আল্লাহ্ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক
__(সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৬, আনাম:৫৯)
🔘পায়রা/ কবুতর উড়িয়ে শান্তি কামনা করা শিরক,
কারণ শান্তিদাতা একমাত্র আল্লাহ্
__(সুরা হাশরঃ ২৩)
🔘আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক।
__(সুরা ফাতিহা:৪, আশ শোআরা:২১৩, গাফির:৬০, তির্মিযি)
এইরকম আরো অসংখ্য শিরক সমাজে বিদ্যামান।
আল্লাহ্ বলেন, অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে শিরকও করে।
__(সুরা ইউসুফঃ ১০৬)
মনে রাখবেন,,
শিরক এমন একটি গুণাহ যা করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ যেকোন গুণাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুণাহ ক্ষমা করবেন না।
আল্লাহ্ বলেন,,
নিসন্দেহে আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে যেকোন গুণাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুণাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।__(সুরা নিসা :৪৮,১১৬)
নিশ্চয় যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন।
__(সুরা মায়িদাহ:৭২)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ছোট ছোট শিরক হতে রক্ষা করেন,, আমীন।
সুবহানআল্লাহ

আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া কখন শিরক আর কখন শিরক নয়
 ▬▬▬◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: একজন মানুষ বেকার আছেন, তিনি তার আত্মীয় বা বন্ধু কে বললে হয়তো বা চাকুরীর ব্যবস্থা হয়ে যেতেও পারে কিন্তু তিনি ভয় পাচ্ছেন যে, এতে গুনাহ হতে পারে। কারণ হাদিসে পড়েছেন, মানুষের কাছে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ কর‍তে নেই এবং সাহায্য চাইলে একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইতে হয়। অন্যথায় শিরক হয়। এমতাবস্থায় কাউকে চাকুরীর প্রয়োজনীয়তার কথা বললে কি গুনাহ হবে?

উত্তর:
যেকোনো দুঃখ-দুর্দশা, অভাব-অনটন ও অক্ষমতার কথা মহান আল্লাহর দরবারে পেশ করা নিঃসন্দেহে উত্তম। তবে একান্ত নিরুপায় অবস্থায় পাশাপাশি আল্লাহ যাদেরকে সামর্থ্য, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি দিয়েছেন তাদের নিকট নিজের অভাব-অনটনের কথা তুলে ধরে সাহায্য চাওয়া মোটেও দোষণীয় নয়। 
আর কোন দুর্বল, অসহায় ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি যদি কোন সামর্থ্যবান ব্যক্তির নিকট সাহায্য চায় তাহলে তার উচিত, তাকে যথাসাধ্য সাহায্য করা। এতে আল্লাহ খুশি হন এবং তাকে উত্তম বিনিময় দান করেন।
আল্লাহ তাআলা ভালো ও আল্লাহ ভীতির কাজে একে অপরকে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ
"আর তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার কাজে একে অপরকে সাহায্য করো।" (সূরা মায়েদা: ২)
হাদিসে আছে,
اللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ
"কোনও ব্যক্তি যতক্ষণ তার কোনও ভাইকে সাহায্য করে ততক্ষণ আল্লাহও তাকে সাহায্য করেন।" [সহিহ মুসলিম]
 আর যে কাজ করা জায়েজ সে কাজে কারও নিকট সাহায্য চাওয়াও জায়েজ। আল হামদুলিল্লাহ।

সুতরাং "নিজের অক্ষমতা, অভাব, দু:খ-দুর্দশা ইত্যাদি বিষয় কারো কাছে প্রকাশ করা গুনাহের' এ কথা সঠিক নয়।‌ বরং আল্লাহ বান্দাকে যে ক্ষেত্রে সাহায্য করার ক্ষমতা ও সামর্থ্য দান করেছেন সে ক্ষেত্রে তার কাছে সাহায্য চাওয়া জায়েজ। 

কিন্তু যে বিষয়ে তিনি কাউকে ক্ষমতা দেন নি তার কাছে সাহায্য চাওয়া বড় শিরক। যেমন: কবরে শায়িত মৃত ওলি-আউলিয়ার কাছে সন্তান চাওয়া, মনের আশা পূরণ ও বিপদ থেকে মুক্তির প্রার্থনা জানানো। কেউ জেনে-বুঝে এমনটি করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং 'মুশরিক' বলে গণ্য হবে। (নাউযুবিল্লাহ)

◉ আল্লাহ তাআলা বলেন,
 
وَلَا تَدْعُ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِنَ الظَّالِمِينَ وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ وَإِنْ يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهِ يُصِيبُ بِهِ مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَهُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
 
‘‘আল্লাহ ছাড়া এমন কাউকে ডেকো না, যে তোমার উপকার করতে পারবেনা এবং ক্ষতিও করতে পারবে না। তুমি যদি এমন কর, তাহলে নিশ্চয়ই তুমি জালিমদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন বিপদে ফেলেন, তাহলে একমাত্র তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না। আর তিনি যদি তোমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চান, তাহলে কেউ তাঁর অনুগ্রহকে প্রতিহত করতে পারেনা। স্বীয় বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে চান, তাকেই তিনি স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন; তিনিই ক্ষমাশীল, দয়ালু’’। [সূরা ইউনুস: ১০৬ ও ১০৭]

◉ তিনি আরও বলেন,
وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِنْ قِطْمِيرٍ -إِنْ تَدْعُوهُمْ لَا يَسْمَعُوا دُعَاءَكُمْ وَلَوْ سَمِعُوا مَا اسْتَجَابُوا لَكُمْ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكْفُرُونَ بِشِرْكِكُمْ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثْلُ خَبِيرٍ

‘‘তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা কিতমিরেরও [খেজুরের আঁটির গায়ে জড়ান পাতলা আবরণকে] মালিক নয়। তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনে না। শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেয়না। কিয়ামতের দিন তারা তোমাদের শির্ক অস্বীকার করবে। বস্তুতঃ আল্লাহ্‌র ন্যায় তোমাকে কেউ অবহিত করতে পারবেনা’’। [সূরা ফাতির: ১৩-১৪]

◉ আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
 
وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللَّهِ أَحَدًا
 
‘‘মসজিদ সমুহ আল্লাহর এবাদত করার জন্যই। অতএব তোমরা আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কাউকে ডেকোনা’’।
 যে কেউ আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কাছে এমন কিছু প্রার্থনা করবে, যার উপর তিনি ব্যতীত অন্য কেউ ক্ষমতাবান নয়-যেমন: বিপদে পড়ে মৃত ও অনুপস্থিত ব্যক্তিদেরকে আহবান করা। এটি সেই শিরকের অন্তর্ভুক্ত যা আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন না। কুরআন ও সুন্নায় এ ব্যাপারে অসংখ্য দলিল রয়েছে।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহি হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

দান-সদকার ২০টি আদব

দান-সদকার ২০টি আদব
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
প্রশ্ন: দান-সদকার কিছু আদব সম্পর্কে জানতে চাই। অনেকে দানের সময় অধিক কল্যাণের আশায় যাকে দান করবে তার গায়ে হাত দিয়ে বুলিয়ে তারপর দান করে। এটা কি জায়েজ?

উত্তর:
নিম্নে সাধারণ নফল দান-সদকার ২০টি আদব উল্লেখ পূর্বক এ সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হল:
আদব সমূহ:

১. একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য দান করা। এতে মানুষের প্রশংসা কুড়ানো বা দুনিয়াবি কোন স্বার্থে জড়িত না থাকা।

২. পবিত্র অর্থ দান করা। কেননা আল্লাহ নিজে পবিত্র। তিনি পবিত্র জিনিস ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করেন না।

৩. নিয়মিত দান করা যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়। এটি আল্লাহর নিকট প্রিয় আমল।

৪. সামর্থ্য অনুযায়ী দান করা এবং অল্প দানকে তুচ্ছ না ভাবা।

৫. প্রশস্ত মনে, উদার চিত্তে সওয়াবের নিয়তে দান করা।

৬. রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয় অভাবীদের দান করার সওয়াব দ্বিগুণ। দান ও আত্মীয়তা রক্ষার সওয়াব।

৭. আত্মীয়দের বাইরে দানের ক্ষেত্রে যার বাড়ি যত বেশি কাছে সে বেশি সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার হকদার।

৮. অত:পর বেশী অভাবীকে অগ্রাধিকার দেয়া। (যদিও বিশেষ প্রয়োজন ও জরুরি দরকার হলে এই ধারাবাহিকতা রক্ষা জরুরি নয়।)

৯. গোপনে দান করা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, গোপনে এমনভাবে দান করতে হবে যে, যেন ডান হাত দান করলে বাম হাত জানতে না পারে। এভাবে গোপনে দানকারীকে মহান আল্লাহর আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দান করবেন। তবে কেউ তাকে দান করতে দেখলে উৎসাহিত হবে বা অন্যরাও এগিয়ে আসবে এই নিয়তে প্রকাশ্যে দান করা জায়েজ আছে।

১০. আর্থিক সহায়তা পেলে কোন অমুসলিম ইসলামে দিকে আকৃষ্ট হবে বা কোন পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তি পাপাচার থেকে ফিরে আসবে এমন সম্ভাবনা থাকলে তাকে দান করা জায়েজ।

১১. যদি জানা যায়, যাকে দান করা হবে তার হাতে অর্থ গেলে সে তা হারাম ও গুনাহের কাজে ব্যয় করবে তাহলে তাকে দান কর জায়েজ নাই।

১২. বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে পূরণের নিয়তে মাজার, কবর, মৃত ব্যক্তি বা কোন মন্দিরে দান করা জায়েজ নাই।

১৩. দীনী প্রতিষ্ঠানে দান করার ক্ষেত্রে ঐ সব প্রতিষ্ঠানে দান করা উচিৎ, যেখানে তাওহিদ ও সুন্নাহ ভিত্তিক দীনী ইলম শিক্ষা দেয়া হয়। যে সব প্রতিষ্ঠানে শিরক-বিদআত শেখানে হয় সেগুলোতে দান করা হারাম। কারণ তাতে শিরক-বিদআত চর্চায় সহায়তা করা হয়।

১৪. দান করার পর খোটা দেয়া হারাম। এতে দানের সওয়াব নষ্ট হয়ে যায়।

১৫. দান করার পর ফিরিয়ে নেয়া হারাম।

১৬. নিজের প্রিয় জিনিস দান করা অধিক সওয়াবের।

১৭. পিতামাতা বা অন্যান্য মৃত মুসলিমদের পক্ষ থেকে দান-সদকা করা জায়েজ। এতে তারা কবরে থেকেও সওয়াব লাভ করে। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সম্পদ দান করা উত্তম যা দ্বারা মানুষ দীর্ঘদিন উপকৃত হয়। যেমন: জায়গা-জমি ওয়াকফ করা, মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ, টিউবওয়েলের ব্যবস্থা, দরিদ্র দীনী শিক্ষার্থীদের জন্য বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, পোশাক, বই-পুস্তক ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। এগুলো সব সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

১৮. সারা বছর দান করা যায়। তবে রমাযানে অধিক পরিমাণে দান করা সুন্নত। কারণ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে 'প্রবহমান বাতাস' এর চেয়ে বেশি দান করতেন।

১৯. সুস্থ-সবল অবস্থায় যখন সম্পদের প্রতি আকর্ষণ থাকে তখনকার দান আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় একান্ত মুমূর্ষ অবস্থায় জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে দানের চেয়ে।

২০. সমাজের অভাবী লোকদের খোঁজ নিয়ে তাদের বাড়িতে দানের সামগ্রী গোপনে পৌঁছিয়ে দেয়া উত্তম। কারণ এ শ্রেণীর মানুষেরা অভাবে কষ্ট পায় কিন্তু চক্ষুলজ্জায় কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারে না।

❖  যাকে দান করা হবে তার প্রতি স্নেহ ও মমতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তার গায়ে হাত বুলিয়ে দেয়ায় কোন আপত্তি নাই যদি তার গায়ে স্পর্শ করা জায়েজ হয়। সুতরাং কোনও নন মাহরাম গরিব-অসহায় নারীর গায়ে স্পর্শ করা জায়েজ নয়।

❖ অনেকে টাকা-পয়সা দান করার সময় তাতে চুমু খায় ও কপালে লাগায়। এটা কুসংস্কার পূর্ণ কাজ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের তার দেয়া নিয়ামত থেকে মানব কল্যাণে এবং দীনের খেদমত ও আল্লাহর পথে খরচ করে তার নৈকট্য অর্জনের তওফিক দান করুন। আমিন। আল্লাহু আলাম।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল দাওয়াহ, সৌদি আরব

Sunday, March 7, 2021

নফসকে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কিছু পরামর্শঃ-

নফসকে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কিছু পরামর্শঃ-

১. ফজরের পরে না ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কাইলুলা (দুপুরের হালকা ঘুম) করা যাবে।

২. দিনে ম্যক্সিমাম তিনবার খাবার অভ্যাস করুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে হাবিজাবি খাবার যেমন ফাস্টফুড, স্ট্রিটফুড খাওয়া যাবেনা ক্ষুধা লাগলে খেজুর, আপেল এগুলো খাওয়া যায়।

৩. প্রতিবেলা খাবার সময় যেটুকু খাবার যথেষ্ট বলে মনে হবে তার থেকে একটু কম খাবেন।

৪. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করুন এই কথাটা আপনি না বললে কি কোন লস আছে? বলা কি আবশ্যিক? উত্তর না হলে ওই কথা বলার দরকার নাই।

৫. সকাল সন্ধ্যার জিকির-আযকার করুন।

৬. ইশরাকের সালাত আদায়ের অভ্যাস করতে হবে।

৭. প্রতিদিন নিয়মত কুরআন পড়ার অভ্যাস করতে হবে। হতে পারে ১ রুকু থেকে ১ পারা - যেকোন পরিমাণ।

৮. ঘুমের পরিমাণ কমাতে হবে।

৯. ফজরের পরে কিছুক্ষণ ব্যায়ামের অভ্যাস করা। আর কিছু না পারলে ১৫-২০ মিনিট জগিং করে এসে গোসল করে ইশরাকের সালাত পড়ার অভ্যাস করা।

১০. দৃষ্টি অবনত রাখা। না পারলে ওইসব জায়গা এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।

১১. ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার (সোশ্যাল মিডিয়া) কম ব্যবহার করা।

১২. প্রতিদিন হিফজের একটা টার্গেট নেয়া। এটা প্রতিদিন এক আয়াতও হতে পারে৷ কিন্তু টার্গেট পুরা করতে হবে। এটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ।

১৩. বিশেষকরে রাতে ভরপেট খাওয়া পরিহার করতে হবে৷

১৪.রাতে ঘুমানোর পূর্বে অযু করে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে নিন এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকুন।

১৫.তাহাজ্জুদ সালাতের অভ্যাস করুন নিয়মিত। ইনশাআল্লাহ রাব্বে কারিম আপনার অন্তরকে প্রশান্ত করে দিবেন।

লেখাটার প্রতিটি কথার উপরে আমল করার তৌফিক আল্লাহ আমাদের দান করুক।

আমিন।
কপি করা।

কিভাবে একজন ভালো জীবন সঙ্গিনীর খোঁজ পাবো?

আলহামদুলিল্লাহ ওয়াসসলাতু ওয়াসসালামু আ’লা-রসুলিল্লাহ ওয়া বা’দ।

ভাই সুন্দর ও যুগপোযোগি প্রশ্ন করেছেন, মহান আল্লাহ তায়ালা এই ধরনীকে সাজিয়েছেন একজন নর ও একজন নারী

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

তাঁর নিদর্শনের মধ্যে হল এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিণী সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তার কাছে শান্তি লাভ করতে পার——

আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এর মাঝে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে সেই সম্প্রদায়ের জন্য যারা চিন্তা করে।

(সুরা রুম-২১)

প্রথমেই নিয়ত করবেন , আমি একজন দ্বীনদার ও পরহেজগার নারীকে বিয়ে করবো, যদিও তার ধন-সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য্য কম হয়, রাসুল (সাঃ) বলেন, তুমি দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দাও, তবে তুমি জিতবে। অতএব বাবা-মায়েরা মহান আল্লাহ ও তদিয় রাসুল (সাঃ) এর বিধি বিধান বাস্তবায়ন করলে এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করলে, সন্তান-সন্ততি নেককার হবে। তাই প্রত্যেক বাবা-মার উচিত বিয়ের পূর্বে নিয়তকে পরিশুদ্ধ করে নিতে হবে। এবং নেক সঙ্গিনী খোজ করবে।

Saturday, March 6, 2021

পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়েতে পরিবারকে রাজি করানোর ১০ উপায়

পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়েতে পরিবারকে রাজি করানোর ১০ উপায়

পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়েতে পরিবারকে রাজি করানোর ১০ উপায়
‘বিয়ে’ শব্দটির সঙ্গে একধরনের আনন্দের মিশ্রণ রয়েছে। পূর্ণবয়স্ক একজন নারী বা পুরুষ বৈধভাবে জীবনসঙ্গী বেছে নেয় বিয়ের মাধ্যমে। বিয়ের আয়োজনে পরিবারেও আনন্দ বয়ে যায়। কিন্তু সেই বিয়ে আবার অনেক সময় হয়ে ওঠে কষ্টের। কখনো কখনো পছন্দ-অপছন্দে দ্বন্দ্বে পিষ্ট হতে হয় ছেলে বা মেয়েকে।
তরুণ মন ঘুরে ফেরে ডানা মেলে। স্বপ্নের ডানায় ঘুরতে ঘুরতে হয়ে যায় প্রেম বা ভালোবাসা। ভালোলাগা থেকে শুরু হওয়া জীবনের এই অধ্যায়ে যারা পা রেখেছেন তাদের রয়েছে নানা অভিজ্ঞতা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রেম নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বিপত্তি বাধে।
হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন, ‘যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনোকিছু পরিকল্পনামতো হয় না’। জীবনে এমন বড় ঘটনা পরিকল্পনা ছাড়াই ঘটে যাওয়ায় পড়তে হয় বিপত্তিতে। বিপত্তি থেকে বিচ্ছেদের সাগরেও ভাসতে হয় অনেককে। অবশেষে দেবদাস বা কবিও হয়ে যান অনেক ব্যর্থ প্রেমিক। তাই হয়তো হুমায়ন লিখেছেন, ‘প্রতিটি সার্থক প্রেমের কবিতা বলতে বোঝায় যে কবি প্রেমিকাকে পায়নি, প্রতিটি ব্যর্থ প্রেমের কবিতা বোঝায় যে কবি প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে।’
তবে বিয়ের ক্ষেত্রে যে শুধু প্রেম বা ভালোবাসা নিয়েই জটিলতায় পড়তে হয় এমন নয়। প্রেম-ভালোবাসার বাইরেও পাত্র-পাত্রী পছন্দ হতে পারে। পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা যে কোনো পারিপার্শ্বিক কারণে বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী পছন্দ হতে পারে।
কিন্তু প্রেম-ভালোবাসা হোক বা যে কোনোভাবে হোক; পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় বেঁকে বসে পরিবার। এমন সমস্যায় যারা পড়েছেন বা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের জন্য আজকের রম্য প্রতিবেদনের এই আয়োজন। পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়েতে পরিবারকে রাজি করানোর কিছু উপায় তাদের জন্য:
১. আপনার বাবা-মা অথবা পরিবারের যিনি সিদ্ধান্ত দেন তিনি আপনার জন্য কেমন মেয়ে বা ছেলে পছন্দ করতে পারেন তা জানার চেষ্টা করুন। আপনার পছন্দের ছেলে বা মেয়ের মধ্যে সেই গুণগুলো থাকলে বুক ফুলিয়ে জোরে জোরে কয়েকবার হাঁফ ছাড়ুন। আর না থাকলে ভালা কোনো নাট্যদলে ভর্তি হয়ে অভিনয় শিখতে বলুন। যেন পরিবারের সামনে সেগুলো নিখুঁতভাবে অভিনয় করতে পারে।
২. আপনার মায়ের সঙ্গে বিশেষ খাতির জমিয়ে ফেলুন। তাকে পছন্দের পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে জানান। তাকে জানিয়ে দিন, এখানে বিয়ে না হলে আপনি মায়ের কোল ছেড়ে সন্যাসী হয়ে যাবেন। দেখবেন আপনার মা আপনাকে সহযোগিতা করবে।
৩. বাবার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের খুব ভালোভাবে বোঝান, কেন আপনাকে এই পাত্র-পাত্রী বিয়ে করতে হবে। ঘর থেকে মা আপনাকে সাপোর্ট দিলে এবং বাইরে থেকে বাবার বন্ধুরা তাকে বোঝালে দেখলে আপনি সুখের দরিয়া ডুবি-ডুবি করছেন।
৪. পরিবারের কর্তা যদি বড় ভাই হন তাহলে ভাবিকে পটানো একটু সহজ বটে। ভাবির পছন্দ বুঝে দু-একটা উপহার কিনে দিন। ভাবির গৃহাস্থলিতে হাতের কাজে একটু সহযোগিতা করুন। দেখবেন তিনি খুশি হয়ে গেছেন। এরপর ইনিয়ে-বিনিয়ে ভাবি রাজি করিয়ে ফেলতে পারবেন। তখন ভাইকে বোঝানোর দায়িত্ব ভাবির।
৫. আপনার পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বলুন, যেভাবেই হোক যে কোনো একটা চাকরি জোগাড় করতে। যাতে আপনার পরিবার এটিকে ভালোভাবে নেয় এবং বিয়ে-পরবর্তী জীবনে আর্থিক সংস্থান হয়।
৬. বেশি হতাশা লাগলে ফুটপথে ভাগ্য গণনাকারী হকার, জ্যোতিষী বা মুশকিলে আহসান কেন্দ্রের দাওয়াই নিতে পারেন। এবার আসা করা যায় বন্দুকের গুলি মিস হলেও দাওয়াই মিস না হয়ে পারবে না।
৭. এসবে কাজ না হলে বাবা-মাকে দেখিয়ে দেখিয়ে কিছুটা পাগলামি শুরু করুন। দেয়াল বা পিলারের সঙ্গে নিজের মাথায় আস্তে আস্তে আঘাত করুন। তবে ভাব ধরুন, যেন খুব জোরে আঘাত করছেন। যাতে তারা বুঝতে পারে, আর কোনোভাবেই আপনাকে ফেরানো সম্ভব হবে না।
৮. এর পরেও যদি পরিবার রাজি না হয় তাহলে দেশান্তরী হওয়ার হুমকি দিন। পরিবারকে জানিয়ে দিন, এখানে আপনার বিয়ে না হলে আপনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন। আর কখনো দেশের মানুষকে এই ব্যর্থ মুখ দেখাবেন না।
৯. এখনো যদি দেখেন পরিবার রাজি হচ্ছে না, তাহলে বলতে হবে আপনি একেবারে সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে হাল ছাড়া যাবে না। এবার আপনাকে শেষ চেষ্টা করতে হবে। শেষ চেষ্টার আগে পছন্দের পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে একবার দেখা করুন। কারণ, এটিই হতে পারে শেষ। দুজন মিলে শেষ চেষ্টার উপায় বের করুন।
১০. শেষ চেষ্টা হিসেবে আপনার পছন্দের পাত্র বা পাত্রীকে বলুন মিডিয়ায় খবর পাঠাতে। সাংবাদিকরা পৌঁছানোর আগেই ‘বিয়ের দাবিতে অনশন’, ‘আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত অনশন চলবে’, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ; বিয়ের দাবিতে অনশন’ বা এমন কোনো প্ল্যাকার্ড লিখে পাত্র বা পাত্রীকে আপনার বাড়ির সামনে বসতে বলুন। ব্যস সে ভাইরাল। এতক্ষণে আপনার সঙ্গে বিয়ে দিতে পরিবার রাজি না হলেও এবার ভাইরাল পাত্র বা ভাইরাল পাত্রীকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করবে না আপনার পরিবার।

Friday, March 5, 2021

আলস্য ছেড়ে কর্মক্ষম হয়ে ওঠার সেরা উপায় কী?

কোন মানুষই অলস নয়। সবাই খুব কর্মঠ, ব্যবধান হলো পছন্দের কাজে।

  • অলস লোকটি, শীতের রাতে কম্বল ছেড়ে উঠে গেট তালা বন্ধ করতে যেতে চায় না। কিন্তু সেই গেটের পাশে দাড়িয়ে ৫-১০ মিনিট ধরে সিগারেট টানতে পারে।
  • অলস লোকটি, আধা ঘন্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করতে চায় না। কিন্তু সেই একই জায়গাতে, গার্লফ্রেন্ড এর জন্য তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারে।
  • অলস ছেলেটি ৩০ মিনিট ধরে চুপ করে ক্লাসে স্যারের লেকচার শুনতে চায় না। কিন্তু, ২-৩ ঘন্টা ধরে নিশ্চুপ হয়ে, সিনেমার পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে।
  • অলস মেয়েটি ড্রয়িং ক্লাসের জন্য সঠিক রঙের পেন্সিল খুজে কিনতে চায় না। কিন্তু সারাদিন ধরে সবুজ ও লালের মাঝামাঝি রঙের লিপস্টিক খুজতে পারে।
  • অলস ছেলেটিকে জোর করলেও, সে ১২ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডার তুলতে চায় না। সেই ছেলেটি স্বপ্ন দেখে, পাশের বাড়ীর ৬০ কেজি ওজনের মেয়েটিকে, কবে দুই হাতে তুলতে পারবে।

কেউই অলস নয়। মানুষ তার পছন্দের কাজটিই করে। কাজ পছন্দ না হলে, অলসতা করে। আপনি অলসতা করছেন, তার একটই অর্থ - কাজটি আপনার পছন্দ হচ্ছে না। সমাধানের দুটি উপায় আছে।

  • কাজটি পছন্দ করা
  • পছন্দসই অন্য কোন কাজ করা

জোর করে কোন কিছু পছন্দ করা খুব কঠিন। কিন্তু এই কঠিন কাজটি করতে পারলে আপনার জীবনটাই বদলে যাবে।

সহজ উপায় হল, পছন্দের কাজটি করুন। ধার করা ডায়লগ হলো- যে কাজে আনন্দ পান, সেই কাজটিকে আপনার পেশা বানান। তাহলে কাজকে কাজ মনে হবে না, খেলা মনে হবে।

পছন্দের কাজটিকে পেশা বানান। কাজকে খেলার মতন সহজ বানান। অলসতা আপনার পথে বাধা হবে না।

এখানে প্রশ্ন থাকতে পারে। পছন্দের কাজে পেশা হয় কি? তাতে কি টাকা আসে?

আপনি মোখলেস কে চিনেন ? ইঞ্জিনিয়ার, বিল্ডিং এর ডিজাইন করে। আপনি কি বিলকিসকে চিনেন? ডাক্তার, প্রতি মাসে অপারেশন করে। আপনি কি মফিজকে চিনেন? শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায়। আপনি কি রুখসানাকে চিনেন? আইনজীবি, আদালতে মামলা লড়েন। আপনি কি সুব্রতকে চিনেন? সফটওয়্যার ডিজাইনার।

ওদের কাউকে চিনলেন না, তাই না ?

ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে সাকিব, আপনি কি তাকে চিনেন? গান গাইতে পছন্দ করে সাবিনা ইয়াসমিন, আপনি কি তাকে চিনেন? অভিনয় করতে পছন্দ করে মোশারফ করিম, আপনি কি তাকে চিনেন? গল্প লিখতে পছন্দ করতেন হুমায়ুন আহমেদ, আপনি কি তাকে চিনেন?

আপনি শুধুমাত্র তাদেরকেই চিনেন, যারা পছন্দের কাজকে পেশা বানিয়েছে।

Wednesday, March 3, 2021

আযান দেওয়ার সময় কুকুর আওয়াজ করে কেন?

[এই উত্তর টি শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য, যারা ইসলামের উপর বিশাস রাখে।]

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন সলাতের আযান দেয়া হয়, শাইতান পিছন ঘুরে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালিয়ে যায় যেন আযানের শব্দ সে শুনতে না পায়। আযান শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে আসে। আবার যখন ইকামাত দেয়া হয় তখন সে পলায়ন করে। ইকামাত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে আসে এবং সলাত আদায়কারীদের মনে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করতে থাকে। সে তাকে বলে, এটা স্মরণ কর, এটা স্মরণ কর। সে কথাগুলো সলাতের আগে তার স্মরণও ছিল না। শেষ পর্যন্ত সলাত আদায়কারী দ্বিধায় পড়ে যে, সে বলতেও পারে না যে, কত রাকা’আত পড়ল।

(ই. ফা. ৭৪৩, ই. সে. ৭৫৬) সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৪৫, হাদিসের মানঃ সহিহ।

________________________________________________

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত

তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যখন তোমরা রাতে কুকুরের চিৎকার এবং গাধার ডাক শুনতে পাবে, তখন আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান হতে আশ্রয় চাইবে। কেননা তারা এমন এমন কিছু দেখতে পায়, যা তোমরা দেখতে পাও না। আর রাতে যখন মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখন তোমরাও বাইরে যাওয়া কমিয়ে দাও। কেননা মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্ট কিছু জীবকে রাত্রিকালে ছেড়ে দেন। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ রাখো, আর আল্লাহর নাম স্মরণ করো। কারণ শয়তান এমন দরজা খুলতে পারে না যা আল্লাহর নাম নিয়ে বন্ধ করা হয়। আর তোমরা ঘটি, মটকা (খাদ্য-পাত্রসমূহ) ঢেকে রাখো, শূন্য পাত্র উপুড় করে রাখ এবং মশকের মুখ বেঁধে রাখো।

সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৫১৭, মুসনাদে আহমাদ ১৪২৮৩। হাদিসের মানঃ সহিহ

আশা করি উত্তর টি পেয়েছেন।

Tuesday, March 2, 2021

স্মার্ট বলতে কী বোঝায়? কীভাবে স্মার্ট হওয়া যায়?

স্মার্ট বলতে, সাধারণভাবে পোষাকে, আষাকে ফিটফাট, কথাবার্তায় দক্ষ, প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বকেই বুঝায়।

আপাতদৃষ্টিতে, এটাই স্মার্টনেসের সংজ্ঞা।

কীভাবে, স্মার্ট হবেন ?

১। পড়াশোনায় এমন হতে হবে, রেজাল্ট দেখে যেন, সবাই নিজে থেকেই, আপনাকে উদাহরণ করে ফেলার উৎসাহ দেখান,

২। প্রেম করতে হবে এমনভাবে, প্রেমিকা যেন, আপনার চাইতে শ্রেষ্ঠ কোনো প্রেমিক থাকতে পারে, সেটা ভাবতেই না পারে,

৩। পরিচিত, অপরিচিত, সবার সাথে অমন ব্যবহার করতে হবে, সবাই যেন আপনার ব্যবহারে, মুগ্ধ হয়ে থাকেন,

৪। পেশাগত ক্ষেত্রে এমন দক্ষতা দেখাতে হবে, সহকর্মী, কর্তৃপক্ষ যেন, আপনাকে শ্রদ্ধার আসনে রাখেন, আপনার দক্ষতা বা efficiency level কে যেন, তাঁরা show case করে ফেলার কথা ভাবেন,

৫। ব্যবসার ক্ষেত্রে, এমন হতে হবে, গ্রাহক যেন আপনাকে অন্ধবিশ্বাস করেন,

৬। মানুষের প্রয়োজনে, বিপদে, আপদে, আপনি যেন ঝাঁপিয়ে পড়েন, লোকে যেন আপনাকে, তাঁদের একটি পরম ভরসা স্থল বলে, বাস্তবিকভাবেই মনে করতে পারেন,

৭। যদি, সংসারী হন, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, তাঁরা যেন, আপনার মুখটি দেখা মাত্রই, 'দুশ্চিন্তা' শব্দটিকে, ঝেড়ে ফেলতে সক্ষম হন।

যদি, এসব করা যায়,

তবে, স্যুট, কোট, টাই, বুট, দামী ঘড়ি, সানগ্লাস, এসব ছাড়াই, আপনি স্মার্ট হয়ে উঠবেন এবং আপনার এই স্মার্টনেসকে লোকে প্রশংসা করবেন,

শুধু প্রশংসা নয়,

শ্রদ্ধার সাথেই, প্রশংসিত হবেন, আপনি।

ধন্যবাদ।