Friday, March 5, 2021

আলস্য ছেড়ে কর্মক্ষম হয়ে ওঠার সেরা উপায় কী?

কোন মানুষই অলস নয়। সবাই খুব কর্মঠ, ব্যবধান হলো পছন্দের কাজে।

  • অলস লোকটি, শীতের রাতে কম্বল ছেড়ে উঠে গেট তালা বন্ধ করতে যেতে চায় না। কিন্তু সেই গেটের পাশে দাড়িয়ে ৫-১০ মিনিট ধরে সিগারেট টানতে পারে।
  • অলস লোকটি, আধা ঘন্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করতে চায় না। কিন্তু সেই একই জায়গাতে, গার্লফ্রেন্ড এর জন্য তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারে।
  • অলস ছেলেটি ৩০ মিনিট ধরে চুপ করে ক্লাসে স্যারের লেকচার শুনতে চায় না। কিন্তু, ২-৩ ঘন্টা ধরে নিশ্চুপ হয়ে, সিনেমার পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে।
  • অলস মেয়েটি ড্রয়িং ক্লাসের জন্য সঠিক রঙের পেন্সিল খুজে কিনতে চায় না। কিন্তু সারাদিন ধরে সবুজ ও লালের মাঝামাঝি রঙের লিপস্টিক খুজতে পারে।
  • অলস ছেলেটিকে জোর করলেও, সে ১২ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডার তুলতে চায় না। সেই ছেলেটি স্বপ্ন দেখে, পাশের বাড়ীর ৬০ কেজি ওজনের মেয়েটিকে, কবে দুই হাতে তুলতে পারবে।

কেউই অলস নয়। মানুষ তার পছন্দের কাজটিই করে। কাজ পছন্দ না হলে, অলসতা করে। আপনি অলসতা করছেন, তার একটই অর্থ - কাজটি আপনার পছন্দ হচ্ছে না। সমাধানের দুটি উপায় আছে।

  • কাজটি পছন্দ করা
  • পছন্দসই অন্য কোন কাজ করা

জোর করে কোন কিছু পছন্দ করা খুব কঠিন। কিন্তু এই কঠিন কাজটি করতে পারলে আপনার জীবনটাই বদলে যাবে।

সহজ উপায় হল, পছন্দের কাজটি করুন। ধার করা ডায়লগ হলো- যে কাজে আনন্দ পান, সেই কাজটিকে আপনার পেশা বানান। তাহলে কাজকে কাজ মনে হবে না, খেলা মনে হবে।

পছন্দের কাজটিকে পেশা বানান। কাজকে খেলার মতন সহজ বানান। অলসতা আপনার পথে বাধা হবে না।

এখানে প্রশ্ন থাকতে পারে। পছন্দের কাজে পেশা হয় কি? তাতে কি টাকা আসে?

আপনি মোখলেস কে চিনেন ? ইঞ্জিনিয়ার, বিল্ডিং এর ডিজাইন করে। আপনি কি বিলকিসকে চিনেন? ডাক্তার, প্রতি মাসে অপারেশন করে। আপনি কি মফিজকে চিনেন? শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায়। আপনি কি রুখসানাকে চিনেন? আইনজীবি, আদালতে মামলা লড়েন। আপনি কি সুব্রতকে চিনেন? সফটওয়্যার ডিজাইনার।

ওদের কাউকে চিনলেন না, তাই না ?

ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে সাকিব, আপনি কি তাকে চিনেন? গান গাইতে পছন্দ করে সাবিনা ইয়াসমিন, আপনি কি তাকে চিনেন? অভিনয় করতে পছন্দ করে মোশারফ করিম, আপনি কি তাকে চিনেন? গল্প লিখতে পছন্দ করতেন হুমায়ুন আহমেদ, আপনি কি তাকে চিনেন?

আপনি শুধুমাত্র তাদেরকেই চিনেন, যারা পছন্দের কাজকে পেশা বানিয়েছে।

No comments:

Post a Comment