আমি নিজেই এই প্রশ্নের কারণে জীবনে অনেক হতাশায় ভুগেছি। মুহাম্মদ (সঃ) থেকে এই বিষয়ে কুরআন বেশি বলা হয়েছে। শুধু এই প্রশ্নের কারণে ইসলামে ঈমান এনেও সন্দেহ জাগে😢😢 যাহোক নিম্নের আয়াতগুলো দেখেন-
সুরা মায়েদা ৫:৫১ = হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
* সুরা ইমরান ৩:২৮ = মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা'আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।
* সুরা নিসা ৪:৮৯ = তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।
* সুরা নিসা ৪:১৩৯ = যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।
* সুরা নিসা ৪:১৪৪ = হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?
* সুরা মুমতাহিনা ৬০:১৩ = মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে।
এছাড়া কুরআনে অমুসলিদের নাপাক বলা হয়েছে।
*হে ঈমানদারগণ, নিশ্চয় মুশরিকরা নাপাক, সুতরাং তারা যেন এ বছরের পর থেকে মসজিদুল হারামের নিকটবর্তী না হয়। [কুরআন- ৯ঃ২৮]
দয়া-মায়ার ছিটে ফোটা থাকা আমার মতো মানুষেরও যদি এই আয়াতগুলো দেখে খারাপ লাগে তাহলে ৯৯টি রহমতের অধিকারী মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কি একটুকুও খারাপ লাগেনি এই সাম্প্রদায়িক আয়াতগুলো নাযিল করতে? কেউ কি পারবেন উত্তর দিতে?
আপনার প্রশ্নের এক উত্তর হচ্ছে 'না পারবেন না।' ইসলামে অমুসলিম মানেই নাপাক। "তবে শুধু কিছু ক্ষেত্রে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারবেন।" [সূরা মুমতাহিনা আয়াতঃ ৮] তবে তা যেন বন্ধুত্ব পর্যায়ে না চলে যায়। সর্বপরি এই প্রশ্ন মূলত আমাকেও হতাশায় ভুগায়। আল্লাহ্ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment