১। অন্যের কথা শুনতে গিয়ে, নিজের কথা বলা শুরু করে দেয়ার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
২। অন্যের ত্রুটি, বিচ্যুতি নিয়ে সমালোচনা করার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
৩। পোষাক পরিচ্ছদ দেখে, কাউকে মূল্যায়ণ করার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
৪। অন্যের সার্থকতা, নিজের সাথে তুলনা করে ঈর্ষান্বিত হয়ে, বিমর্ষ হয়ে পড়ার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ ।
৫। সময়ানুবর্তিতা (punctuality) কে গুরুত্ব না দেয়ার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
৬। বাস্তবকে অনুধাবন না করে, কল্পনায় ভেসে বেড়ানোর অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
৭। কাউকে প্রশংসা করতে গিয়ে, অন্যের সাথে তুলনা করে, অন্যকে ছোট করার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
৮। নিজের কথা বলতে গিয়ে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, আত্মপ্রচারের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
৯। নিজের দু:খ কষ্টের কথা অন্যকে বলে, সহানুভূতি আদায় করার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
১০। অন্যের ধর্ম, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক পরিচ্ছদ, সংস্কৃতি, নিজের পছন্দ না হলেই, সে সম্পর্কে নিন্দা, সমালোচনা করার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
১১। কাউকে কথা দিয়ে নিশ্চিন্ত করে, কথা না রাখার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
১২। অন্যের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারে, অহেতুক কৌতুহলী হওয়ার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
১৩। ঘরোয়া আসরে, কাউকে, "প্লিজ, প্লিজ, একটা গান করুন, একটা গান শোনান, প্লিজ" বলে, জোর জবরদস্তি করে, তাঁকে দিয়ে গান শুরু করিয়ে দিয়েই, নিজেদের মাঝে, গল্প, হাসি, ঠাট্টা, চালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
১৪। অধিক রাত করে কোনো একটি মেয়ে বাড়ীতে ফিরছে দেখলেই, মেয়েটির অত রাতে বাড়ী ফেরার কারণ না জেনেই, মেয়েটি সম্পর্কে, একটি নেতিবাচক ভাবনা, চিন্তা, করার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
১৫। উচ্চশিক্ষিত, ডক্টরেট হলেই, বিশাল জ্ঞানী বলে, ভাবার অভ্যাস বন্ধ করা উচিৎ। (একজন অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত রিকশা চালক বা ঝাড়ুদার ও, একজন উচ্চ শিক্ষিতের চাইতে অধিক জ্ঞানী হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যাবে না।)
১৬। কেউ খুবই কম কথা বলেন বলেই, তিনি অহংকারী, বা কিছু বুঝেন না, জানেন না, ভাবার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
১৭। হঠাৎ করেই কেউ রাগ করে কথা বললেই, তিনি রাগী বা বদমেজাজি ভাবার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ। (কারণ, ফোন করে সাধারণ কথা বলতে গিয়ে, যাঁর কাছ থেকে খুবই বিরক্তিকর উত্তর পেলাম, পরে জানতে পারলাম, তাঁর সন্তান সে সময়, হাসপাতালে, আই, সি, ইউ তে, শুয়ে, লড়াই করছে)।
১৮। হাতে টাকা থাকলেই, অপ্রয়োজনে খরচ করার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
১৯। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে, অবহেলা, খামখেয়ালিপনা করা, শারীরিক অসুবিধা বা অসুখ, বিসুখের উপসর্গ কে, পাত্তা না দেয়ার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
২০। "না" এর সাথে মিত্রতার অভ্যাস। "এই কাজটা বোধ হয় আমি পারবো না, মনে হচ্ছে পরীক্ষা টা ভালো হবে না, চাকরী বোধ হয় পাবোই না, ব্যবসাতে মনে হচ্ছে টিকে থাকতে পারবো না, প্রেমের প্রস্তাব দিলে, বোধ হয় রাজী হইবো না,"।
এই "না" এর জন্য, জীবনে অনেক "হ্যাঁ" এসে, চুপিসারে পালিয়ে যায়। "না" এর সাথে, এই চিরসখ্যতা বজায় রাখার অভ্যাস, বন্ধ হওয়া উচিৎ ।
২১। নিজের সমস্যা সমাধানে, নিজে উদ্যোগী না হয়ে, অন্যের ভরসায়, বসে থাকার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
২২। কেউ সাহায্য করলেন না বলেই, তাঁর প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
২৩। নিজের ভুল কখনোই স্বীকার না করার মতো মানসিকতা রাখার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
২৪। কোরাবাংলায় আছি ভেবে, অন্যান্য মাধ্যমকে তুলনার মাধ্যমে, সমালোচনা, অবহেলা করার অভ্যাস, বন্ধ করা উচিৎ।
২৫। আর উচিৎ হবে না, গুনমানের নিরিখে সমৃদ্ধ নয়, বা অকাঙ্খিত কিছু প্রশ্ন, উত্তর বা মন্তব্য দেখেই, কোরাবাংলার পরিবেশ এক্কেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে, ভাবার অভ্যাস বজায় রাখা।
কারণ, নিজের জীবনে ও অনভিপ্রেত বা অকাঙ্খিত পরিস্তিতি আসে এবং এ ধরণের পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করে, ছেঁটে ফেলতে হয়, সে সব পরিস্থিতিকে, থাকতে হয় বেঁচে।
বাদ দিয়ে ফেলা যায় না, জীবনকে।
ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment