Saturday, February 27, 2021

পাঁয়ে ধরে সালাম করা কি শিরক?

আল্লাহ ছাড়া আর কার কাছে মাথা নত করা ইসলামে নিষেধ।

কিন্তু আপনি যখন কাওকে পা ঢোঁড়ে সালাম করতে যান, তখন কাওকে সিজদা করার উদ্দেশ্যে পা ধড়ে সালাম করেন না। আপনি শুধু বাংলাদেশের একটা ভ্রান্ত রেওয়াজ অনুসরণ করছেন যেটা কিনা হিন্দুদের কাছ থেকে বাঙ্গালি পরিবারে ঢুকে গেছে। বাঙ্গালি জাতীটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হিন্দু পরিবেষ্টনে। আর তাই মুসলিমদের ভিতরে অনেক হিন্দু প্রথাই ঢুকে গিয়েছে। আর এর প্রধান কারন ধর্মের পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা। এমন কি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও ইসলামের অনেক ভুল বিষয় বাংলাদেশী মুসলিমরা চর্চা করে গেছে।

এখন সময় পাল্টাচ্ছে। মানুষের ইসলাম সম্পর্কে পড়ার আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। আর এটা যুবকদের ভিতরে ব্যাপক প্রসার পাচ্ছে। আর তাই আপনার এই প্রশ্ন।

শিরক নয় , তবে পা ধড়ে সালাম করার কোন প্রয়োজন নাই। এমন হাত কপালে উঠিয়েও সালামের কোন প্রয়োজন নাই। সালাম একটি দোয়া। বরং যার জন্য এই দোয়া করছেন, মন থেকে করুন। আল্লাহ যেন আপনার অনুরোধ শুনেন এইভাবে সালাম দিন।

Sunday, February 21, 2021

ইসলামে কি ফ্রি ফায়ার গেম খেলা হারাম?

আল-কুরআনে "ফ্রি ফায়ার গেম"-এর উল্লেখ না থাকারই কথা। আল-কুরআনে হারাম হিসেবে উল্লেখ করে দেয়া বিষয়ের পরিমাণ খুবই কম। ঐগুলোকে সরাসরি হারাম বলতে পারি। বাকী অন্য কিছু "হারাম কি না" সেটা বুঝতে হলে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে হয়। ইসলামের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় এতে আছে কিনা।

যে কোনো খেলা নিষেধের প্রধান কারণগুলো:

(১) নামাজ থেকে গাফেল করে।

(২) সময়ের অপচয় ঘটায়।

(৩) আল কুরআনে মুমিনের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে, যারা অহেতুক কর্মকাণ্ড পরিহার করে চলে তারা হলো মু'মিন।

(৪) গুটি খেলা (কেরাম ইত্যাদি) - যে ব্যক্তি গুটি খেলা খেললো, সে যেনো তার হাতকে শুকরের গোস্ত এবং রক্তে মধ্যে তার হাত রঞ্জালো। (হাদীস)

(৫) আর্থিক লেনদেন।

কোন খেলাগুলো খেলা যাবে:

চিত্ত বিনোদন এবং খেলাধুলা জায়েজ আছে ইসলামে। শরীর চর্চা হয় এমন খেলাগুলো অনুমোদিত।

খেলার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে:

* পরিবারের সাথে সময় কাটানোর উদ্দেশ্য হলে সেটা খেলা যেতে পারে

* খেলতে গিয়ে নামাজ কাযা করা না হয়,

* আর্থিক লেন-দেন না থাকে,

* পর্দার খেলাফ না হয়,

* খেলার কারণে অট্টহাসি না হয়

* খুব বেশী সময় এ খেলার পেছনে ব্যয় করা না হয়

এগুলো খেয়াল রেখে, খেলার পেছনে অল্প সময় ব্যয় করা যেতে পারে।

শয়তানের কাছ থেকে পরিত্রাণ চাই কিভাবে?

শয়তান থেকে পরিত্রাণ চাইতে, আল্লাহ্‌র সাহায্য ও আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। নিম্নলিখিত দোয়াগুলো ব্যবহার করার মধ্যেমে সেটা করা যেতে পারে:

  • লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
    অর্থ; মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই। (শয়তানের কোন ওয়াসওয়াসা বা দূরভিসন্ধিমূলক কোন প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য এটি পড়া উচিত।)
  • আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির র-জীম
    অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
    (কুরআন তিলাওয়াতের শুরুতে, রাগের সময়, খারাপ স্বপ্ন দেখলে, মনের মধ্যে শয়তান কুমন্ত্রনা দিচ্ছে এরকম মনে হলে)
  • রব্বি আউযুবিকা মিন হামাযাতিশ শায়াতিন
    অর্থ: হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। (সূরা মুমিনুন 23:97)
  • নাউযুবিল্লাহ
    অর্থ- আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই। (যে কোনো মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে।)

এছাড়াও নীচের এইগুলোও অভ্যাস করলে, এটাও পরোক্ষভাবে আমাদের সাহায্য করবে আশা করা যায়:

  • আস্তাগফিরুল্লাহ
    অর্থ- আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (যে কোনো সময় পড়া যায়।)
  • আলহামদুলিল্লাহ
    অর্থ- সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।
    (যে কোন সুখবর বা ভালো অবস্থা সম্পর্কিত সংবাদের বিপরীতে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন- আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলা উচিত, আল হামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।)
  • ইন-শা' আল্লাহ্‌
    অর্থ- মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে।
    (ভবিষ্যতের হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোন বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা উচিত।)
  • মাশা আল্লাহ
    অর্থ- আল্লাহ যেমন চেয়েছেন।
    এটি আল হামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে কোনো সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়।
  • সুবহানাল্লাহ
    অর্থ- আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান।
  • ইন্নালিল্লাহ বা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি র-জিউন
    অর্থ, নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাবো।
    (এর মাধ্যমে মৃত্যুকে স্মরণ করা হয়।)
  • জাযাকাল্লাহু খায়রান
    অর্থ; মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।
    কেউ আপনার কোন উপকার করলে- তাকে থ্যাংক ইউ না বলে বলুন- জাযাকাল্লাহু খায়রান
    আর এর উত্তরে বলা যায়:
    ওয়া ইয়্যাকা / ওয়া ইয়্যাকুম / ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন।
    অর্থ- তোমাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।

আত্মসম্মান বাড়াতে কিছু টিপস কী?

১. কাউকে খুশি করতে গিয়ে অতিরিক্ত তোষামদি করবেন না

২. প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকুন

যেন লোকজন বিরক্ত না হয়। এতে করে “ছাগল” ”বাচাল” বা “ওয়েটলেস” এসব ট্যাগ থেকে বেচে যাবেন।

৩. সত্য কথা বলুন

মিথ্যা কথা বললেই আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। যে কেউ আপনাকে চার্জ করার চান্স পাবে । অপদস্থ করার সুযোগও পেতে পারে। সুতরাং নিজের মাথা উচু রাখতে হলে সত্য বলুন।

৪. ভুল হয়ে গেলে স্বীকার করুন। প্রতিপক্ষ দুর্বল হয়ে যাবে ও আপনাকে সম্মান দেখাবে।

৫. ভুল না হলে সরি বলবেন না

৬. ফ্যামিলিকে ছেড়ে আসতে হবে এমন কিছুকে প্রধান্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন। যেমনঃ স্ত্রী।

৭. জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করুন

৮. ইমোশনে নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করুন

৯. লোকে কি বলবে এরকম মনোভাব পরিহার করুন। আপনার জন্য যেটা মঙ্গলজনক সেটা মনোযোগ দিয়ে সম্পাদন করুন।

১০. নিজের দুর্বল দিকগুলো প্রচার করে বেড়ানো থেকে বিরত থাকুন

জীবনের কিছু সেরা টিপসগুলো কী কী?

১. কারও সাথে কথা বলছেন? বেশি বেশি তার নাম ডেকে কথা বলুন।

২. আজকে এমন কিছু একটা করুন যেটাকে আপনি এতোদিন ভয় পেতেন

৩. রান্না শিখে ফেলুন।

৪. কফি চিনি দিয়ে নয়, ডিরেক্ট ব্ল্যাক কফি খান

৫. ছোট বেলাতেই একটি বড় সফলতা অর্জন করে ফেলুন। আত্নবিশ্বাসের ঘাটতিতে ভুগবেন না কোন দিন।

৬. পাশাপাশি বসে যে গল্প হয় সেটি সেরা হয়। মুখোমুখি বসে করা গল্প নয়।

৭. পরীক্ষায় পাশের জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ুন

৮. লাইব্রেরির সাথে সংযুক্ত থাকুন

৯. আপনাকে যারা সম্মান করে আবার চ্যলেঞ্জের মুখোমুখিও করে তাদের সহচরে থাকুন

১০. সমাধান আছেই। খুজে বের করুন

Monday, February 15, 2021

রাসুল সা. একটি উম্মতকে রেখেও জান্নাতে যাবেন না-এটির প্রমাণ কী?

আমি আমার একটা উম্মত রেখে জান্নাতে যাব না।” এটা কোন হাদিস নয়।এটা হাদিসের নামে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা। বরং হাদিসে বলা হয়েছে যে পৃথিবীতে রাসুল (সা.)-এর উম্মত সর্বশেষ হলেও তাঁরাই সবার আগে জান্নাতে যাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করবে। এটি উম্মতে মুহাম্মদির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দুনিয়াতে সব শেষে এসেও আমরাই অগ্রণী হব। মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম আমরাই জান্নাতে প্রবেশ করব।’ (বুখারি, মুসলিম ও নাসায়ী)

এর মানে এই নয় যে, রাসূল (সাঃ) সকল উম্মতকে নিয়ে তারপর জান্নাতে প্রবেশ করবেন । কিয়াতের দিন যাদের নেকীর পাল্লার চেয়ে গুনাহের পাল্লা ভারী হবে তারা সেই পরিমাণ সাজা ভোগ করে তারপর আল্লাহর রসূল (সাঃ) সাফাআত (সুপারিশ) জান্নাতে প্রবেশ করবেন।

ইবনে মাজাহ ও বায়হাকীতে হযরত জাবির (রায়িঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- যখন জান্নাতী ও জাহান্নামীদের মধ্যে পার্থক্য করা হবে তখন জান্নাতীরা জান্নাতে ও জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এরপর রাসূলগণ দাঁড়াবেন এবং (জাহান্নামীদের জন্য) শাফাআত করবেন। রাসূলদেরকে বলা হবে আপনারা যান, এবং যাদেরকে চিনেন তাদেরকে (জাহান্নাম) থেকে বের করে আনেন। অতপর রাসূলগণ এমন কিছু লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন যারা আগুনে জ্বলে ছাই হয়ে গেছে। তাদেরকে নদীতে নিক্ষেপ করা হবে এবং সাদা কড়ার মতো হয়ে বের হবে। অবশেষে যাদের অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান থাকবে তাদেরকে রাসূলগণ শাফাআত করে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে নিবেন।

বহু সংখ্যক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন। যেমন:

▪ আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন আমি জান্নাতের দরজায় দিয়ে দরজা খোলার অনুমতি চাইলে জান্নাতের রক্ষক বলবে, কে আপনি? আমি বলব: মুহাম্মদ।

তিনি বলবেন: আপনার জন্যই দরজা খোলার অনুমতি আছে। আপনার পূর্বে কারও জন্য দরজা খোলার অনুমতি নাই।” (মুসলিম, হাদিস নং ১৯৮)

▪ অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আমি কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করব।” (সহিহ জামে তিরমিযী ও মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

ইসলামে একজন পুরুষ চারটি বিবাহ করা ধর্মসম্মত, কিন্তু একজন মহিলার একাধিক বিবাহে নিষেধ কেন? এই বৈষম্য কেন ?

ভারসাম্যপূর্ণ ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তির ওপরেই একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত। মানুষ হিসেবে আল্লাহ তা’আলা নারী ও পুরুষকে সমান মান দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সামর্থ ও যোগ্যতার ভিন্নতা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব কর্তব্যের বিভিন্নতা দিয়ে। শারীরিক ও মানসিকভাবে নারী ও পুরুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন। জীবনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব-কর্তব্যও বিভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান কিন্তু একই রকম নয়।সূরায়ে নিসার ২২ থেকে ২৪ আয়াতে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যে, মুসলিম পুরুষ কোন কোন নারীকে বিবাহ করতে পারবে না। এর পরে ২৪ আয়াতে আলাদা করে বলা হয়েছে সেই সব নারীও (নিষিদ্ধ) যারা অন্যের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আছে- অর্থাৎ অন্যের বউ।
ইসলামে নারীর জন্য বহু-স্বামী গ্রহণ নিষিদ্ধ কেন, নিচে তা উল্লেখ করা হলো
১. একজন পুরুষের একধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মা-বাবার পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায়। শিশুর বাবা কে আর মা কে। অপরদিকে একজন নারী যদি একাধিক স্বামী গ্রহণ করে তবে এ পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুর শুধু মায়ের পরিচয় পাওয়া যাবে-বাবার নয়। মা-বাবার সুস্পষ্ট পরিচয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম আপোসহীন।
আধুনিক মনোবিজ্ঞানিরা বলেন, যে শিশু তার মা-বাবার পরিচয় জানে না, বিশেষ করে মার- সে শিশু তীব্র মানসিক
জটিলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে। এ শিশুদের শৈশব নিকৃষ্টতর এবং আনন্দহীন। পতিতাদের সন্তানরা এর জলন্ত প্রমাণ। এদের শিশুকাল ও কৈশোর মর্মান্তিক। বহু স্বামী গ্রহণকারী পরিবারে জন্ম পাওয়া শিশুকে নিয়ে কোনো স্কুলে ভর্তি করতে গেলে যদি মাকে প্রশ্ন করা হয় শিশুর বাবার নাম? তা হলে সে মাকে দু’জন অথবা তার বেশি পুরুষের নাম বলতে হবে।

২. প্রকৃতি প্রদত্ত যোগ্যতা ও বৈশিষ্ট, বহুগামীতায় নারীর চাইতে পুরুষের বেশি।

৩. শারীরিক যোগ্যতায় একজন পুরুষের পক্ষে কয়েকজন স্ত্রীর স্বামীর দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন সহজ। একজন নারী সেও একই অবস্থানে, অর্থাৎ যার কয়েকজন স্বামী আছে, তাদের স্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তার ওপর বর্তায় তা পালন করা তার পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। কেননা মাসিক ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মানসিক ও আচরণগত বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে তাকে পড়তে হয়।

৪. একজন নারী যার একাধিক স্বামী থাকবে-তাকে তো একই সাথে কয়েকজনের যৌন-সঙ্গী হতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমূহ সম্ভাবনা থাকবে যৌন রোগের এবং যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার। উপরন্তু তার মাধ্যমেই সে সব রোগে তার স্বামীর আক্রান্ত হবে। এমনকি যদি তার স্বামীদের কারো অন্য কোনো নারীর সাথে বিবাহ বর্র্হিভূত যৌন সম্পর্ক নাও থাকে। পক্ষান্তরে একজন পুরুষ- যার একাধিক স্ত্রী রয়েছে, স্ত্রীদের কারো যদি বিবাহ বহির্ভূত অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক না থাকে তাহলে যৌনতা সংক্রান্ত কোনো রোগে আক্রান্ত হবার আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই।
সবচেয়ে বড় কথা হলো যিনি নর-নারী সৃষ্টি করেছেন; তিনি নিষিধ করেছেন।

# শুধু ইসলাম না অন্যন্যে ধর্মেও পুরুষের বহু বিবাহ ধর্মসম্মত। এবং একজন মহিলার একাধিক বিবাহ নিষেধ।প্রশ্নকর্তাকে বলি আপনার মায়ের যদি চারজন স্বামী থাকত তাহলে আপনি কাকে বাবা ডাকতেন চারজনকে। এখন আপনি বলবেন আমি মাতৃপরিচয় দিতাম তখন পিতার পরিচয় দিতে গেলে তো চারজনের নাম আসতো। আসলে এটা কোন সভ্য সমাজের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।

আমরা যাতে সঠিকভাবে আমাদের বাবা ও মায়ের পরিচয় দিতে পারি এজন্যে ইসলাম নারীর বহু বিবাহ সমর্থন করে না। আর এটা বৈষম্য নয় নারী পুরুষের ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করেছে ইসলাম।

আল-কুরআনের কোন আয়াতগুলো আপনাকে ভাবায়?

কোরআনের এই আয়াতগুলো আমাকে ভীষণভাবে ভাবায়। এই আয়াতগুলো পড়ে আয়াতগুলো নিয়ে যখন চিন্তা করি আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। অন্তর ভয়ে কাঁপতে থাকে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

"বস্তুতঃ পার্থিব জীবনের দৃষ্টান্ত তো বৃষ্টির মত, যা আমি আসমান হতে বর্ষণ করি। অতঃপর তার দ্বারা উৎপন্ন হয় ভূপৃষ্টের উদ্ভিদগুলো অতিশয় ঘন হয়, যা থেকে মানুষ ও পশুরা ভক্ষণ করে। অতঃপর যখন ভূমি তার শোভা ধারণ করে ও নয়নাভিরাম হয়ে ওঠে এবং তার মালিকরা মনে করে যে, তারা এখন তার পুর্ন অধিকারী, তখন দিনে অথবা রাতে তার উপর আমার (আযাবের) আদেশ এসে পড়ে, সুতরাং আমি তা এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেই, যেন গতকাল তার অস্তিত্বই ছিল না। এরুপেই আয়াতগুলোকে আমি চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য বিশদরূপে বর্ণনা করে থাকি"।(সূরা ইউনুস ২৪)

তিনি আরও বলেন,

"তাদের কাছে পেশ কর উপমা পার্থিব জীবনের; এটা পানির ন্যায় যা আমি বর্ষণ করি আকাশ হতে, যার দ্বারা ভূমির উদ্ভিদ ঘন সন্নিবিস্ট হয়ে উদগত হয়। তারপর তা বিশুষ্ক হয়ে এমন চূর্ন-বিচূর্ন হয় যে, বাতাস ওকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। ধনঐশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা। আর সৎকার্য, যার ফল স্থায়ী, ওটা তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং আশা প্রাপ্তির ব্যাপারেও উৎকৃষ্ট।" (সূরা কাহফ ৪৫-৪৬ )

আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেছেন,

"তোমার জেনে রাখো যে, পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক, জাঁকজমক, পারষ্পরিক অহংকার প্রকাশ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যতীত আর কিছুই নয়। এর উপমা বৃষ্টি; যার দ্বারা উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, তারপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তা পীতবর্ন দেখতে পাও, অবশেষে তা টুকরো-টুকরো (খড়-কুটায়) পরিণত হয় এবং পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়।" (সূরা হাদীদ ২০ আয়াত)

অন্যএ আল্লাহ তাআলা বলেন,

"নারী, সন্তান-সন্ততি, জমাকৃত সোনা-রূপার ভাণ্ডার, পছন্দসই (চিহ্নত) ঘোরা, চতুষ্পদ জন্তু ও ক্ষেত-খামারের প্রতি আসক্তি মানুষের নিকট লোভনীয় করা হয়েছে। এ সব ইহজীবনের ভোগ্য বস্ত। আর আল্লাহর নিকতেই উওম আশ্রয়স্থল রয়েছে"। (আলে ইমরান ১৪)

তিনি আরো বলেন,

" হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে"। (সূরা ফাত্বির ৫ আয়াত)

আল্লাহ তাআলা অন্য জায়গায় বলেন,

"প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। যতক্ষণ না তোমরা (মরে) কবরে উপস্থিত হও। কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। আবার বলি, কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। সত্যিই, তোমরা নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্যই তোমরা জানতে (ঐ প্রতিযোগিতার পরিণাম)" (সূরা তাকাসুর ১-৫ আয়াত)

তিনি আরও বলেন,

"এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর পরলৌকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন; যদি ওরা জানত"। (সূরা আনকাবূত ৬৪ আয়াত)

বাড়ীতে নামাজ পড়লে একামত দিতে হবে কি?

হ্যাঁ বাড়িতে নামাজ আদায় করলে একামত দেওয়া সুন্নাহ।

একাকী নামাযী ব্যক্তি যদি মুসাফির হয়, তাহলে তার জন্য ইকামত দিয়ে নামায পড়তে হবে। ইকামত ছাড়া নামায পড়ে, তাহলে মাকরূ হবে।

আর যদি একাকী নামাযী ব্যক্তি মুকীম হয়,এবং ঘরে নামায পড়ে, তাহলে তার জন্য ইকামত দেয়া উত্তম। যদি না দেয়, তাহলে কোন সমস্যা নেই।

আর যদি মুকীম ব্যক্তি মসজিদে একাকী নামায পড়ে, তাহলে ইকামত ছাড়া পড়াই উত্তম।

হ্যাঁ যদি এমন স্থানে থাকেন যেখানে আযান শোনা যায় না। তবে সেখানে আযান একামত দিয়ে নামাজ পড়া সুন্নাহ।

ইবনে আমের রাযি. বলেন,

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,আল্লাহ তাআলা ওই মেষের রাখালকে দেখে আশ্চর্য হন যে পাহাড়ের চূড়ার একটি টিলায় নামাজের জন্য আযান দেয় ও নামাজ পড়ে। (এ-দৃশ্য দেখে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা আমার এই বান্দার দিকে চেয়ে দেখ, সে আযান দেয়, নামাজ কায়েম করে এবং আমাকে ভয় পায়। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম ও তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম।

"মুফতি,মাওলানা, মুফাসসির,আল্লামা, শায়েখ" ইসলামিক এই পদবি ব্যবহার এর সম্পর্কে জানাবেন কী? কোন ক্ষেত্রে কোনটি ব্যবহার হয় বিস্তারিত জানতে চাই?

মুফতি: মুফতি শব্দটি আরবী। মুফতি হলেন একজন ইসলামি পন্ডিত যিনি ইসলামি আইনশাস্ত্রের বিশদ ব্যাখ্যা এবং ইসলামের আলোকে বিভিন্ন ফতোয়া প্রদান করেন। ইসলামী নিয়ম কানুনের জন্য একটি উচ্চতর পড়াশোনার বিভাগ হচ্ছে ইফতা। এটি উচ্চতর ইসলামী গবেষণামূলক বিভাগ। এ বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ প্রতিটি ছাত্রকে ইসলামী আইনে বিশেষজ্ঞ বা মুফতি বলা হয়।

মাওলানা: মাওলানা একটি সম্মানসূচক উপাধি। আল্লাহর ক্ষেত্রে ‘মাওলানা’ অর্থ হলো আমাদের প্রভু বা প্রকৃত অভিভাবক। আলেমদের ক্ষেত্রে তার অর্থ হচ্ছে, আমাদের ধর্মীয় অভিভাবক বা ধর্মীয় নেতা। উর্দু ভাষায় ‘মাওলানা’ শব্দটি উস্তাদ ও আলেমে দ্বীন অর্থেও ব্যবহৃত হয়। যারা দাওরায়ে হাদীস/তাকমীল) কৃতীত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের (উপাধি হিসাবে) মাওলানা বলে।

মুফাসসির: যিনি তাফসীর করেন অর্থাৎ পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যা করেন বা তাফসীর গ্রন্থ রচনা করেন তিনি “মুফাসসির” হিসাবে পরিচিত।

আল্লামা: আলিম শব্দের মুবালাগা বা সুপারলেটিভ ডিগ্রি হচ্ছে আল্লামা, যার শাব্দিক অর্থ 'সর্বজ্ঞ', 'অত্যন্ত জ্ঞানী' বা 'মহাজ্ঞানী'। কিন্তু আমরা যখন আল্লামা শব্দটি মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করি তখন এর অর্থ বিজ্ঞ, প্রজ্ঞ বা শিক্ষাবিদ। আরও সহজ করে বলি, আল্লামা শব্দের অর্থ আল্লাহর ক্ষেত্রে যদি ব্যবহৃত হয় তবে সেটা স্রষ্টা হিসাবে মহাজ্ঞানী বা যিনি সবকিছু জানেন। আর মানুষের ক্ষেত্রে 'আল্লামা' শব্দটি ব্যবহার হলে সেটার অর্থ হবে বিজ্ঞ বা অভিজ্ঞ ব্যক্তি। ইসলামি শরিয়তের বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিতদের ক্ষেত্রে উপাধি হিসাবে ‘আল্লামা’ ব্যবহার করা হয়।

শায়খ: শায়খ শব্দটি আরবী, এর অর্থ বয়োবৃদ্ধ, তবে যারা ইসলামী বিষয়ে গভীর জ্ঞানের অধিকারী, তাদেরকে সম্মান করে শায়খ বলা হয়, কারণ যারা বৃদ্ধ তাদের অভিজ্ঞতা বেশী থাকে, আর যারা জ্ঞানী তারা যেন একজন বৃদ্ধের মতই, এজন্যই মুসলিম সমাজে যারা ধর্মীয় বিষয়ের পণ্ডিত তাদেরকে শায়খ বলা হয় ।

জাযাকাল্লাহু খইর!

বিশ্ব সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য কোনগুলি?


আজকে সকালে গুগলে ঢুকে কাজের ব্যাপারে খোঁজ করতে যেয়ে এক অবিশ্বাস্যকর তথ্য আমার চোখে ধরা পড়ল। প্রথমত, এই রকম যে কিছু হতে পারে আমি জানতামই না। আমি পৃথিবী সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত তথ্য জানতে পারলাম। যা আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবঃ

  • আপনি অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত গতিতে চলেছেন

পৃথিবী খুব দ্রুত গতিতে চলছে এবং যদি ভালভাবে বোঝাতে চান তাহলে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। বর্তমানে, আমরা সূর্যের চারপাশে ঘন্টায় ৬৬,০০০ মাইল বেগে আতিক্রম করছি। যদিও এটি অবিশ্বাস্যরকম দ্রুত দেখা যেতে পারে, তবে এটি আমাদের সৌরজগতের গতির কাছে কিছুই না। এটি আসলে প্রতি ঘন্টায় ৫,৬০,০০০ মাইল হারে এগিয়ে চলেছে।

  • আমরা মহাসাগর এবং এটির বিষয়বস্তুগুলোর কেবলমাত্র ৫% অন্বেষণ করেছি

দীর্ঘকাল ধরে একটি তথ্য প্রচলিত যে আমরা মহাসাগর থেকে স্থলভাগ সম্পর্কে বেশি জানি। কথাটি মিথ্যা নয়। আমরা স্থলভাগ এর প্রায় ১% এর বেশি অনুসন্ধান করেছি। বিশালতার কারণে চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও তা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু, সমুদ্রের তুলনায় কেবলমাত্র ৫% জানি আমরা।

  • ৫ টি বিশাল বিলুপ্তি হয়ে গেছে এবং এখনও আমরা বেঁচে আছি

পৃথিবী সম্পর্কে কিছু মনোমুগ্ধকর তথ্য আপনাকে সত্যি বিবেচনার মধ্যে ফেলে দেবে যে আপনি অন্যান্য প্রজাতিদের তুলনায় অনেক ভাগ্যবান। অবাক হলেও সত্যি যে, পৃথিবীতে ৫ বার বিশাল বিলুপ্তির দেখা দিয়েছে। এর বাইরেও বেশ কয়েকবার এরকম হয়েছে তবে ৫টি হল বড় বিবর্তন। প্রথমটি ঘটেছে ৪৪৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে, যার কারনে ৮৬% প্রজাতি মারা গিয়েছিল।

  • আপনি মহাকাশে সুরক্ষাহীন অবস্থায় কতসময় বেঁচে থাকতে পারবেন?

সুরক্ষাহীন অবস্থায় মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো নিশ্চয়ই মজার কথা, না? কারণ এটি অনেক শীতল একটি জায়গা। আপনি মনে করতে পারেন, প্রতিদিনই সূর্য ওঠে, আলো দেয়, হয়তবা অক্সিজেনের কারণ সম্ভব হবে। আসলে এটি ওইভাবে কাজ করে না। আপনি বড়জোড় ২ মিনিট বাঁচতে পারবেন কারন, অক্সিজেন এর অভাবে নয় এটি অতিরিক্ত ঠাণ্ডা তাই।

  • পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টায় এক দিন বলে কিছু নেই

কথাটি শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন যে কিভাবে সম্ভব? তবে এটিই সত্যি। অন্যান্য গ্রহে পৃথিবীর বাইরে দিনগুলি আরও দীর্ঘ বা কম হতে পারে। "Interstellar" সিনেমাটিতে একটি মুহূর্ত ছিল, যেখানে কিছু কিছু চরিত্র একটি গ্রহে কয়েক ঘন্টার জন্য গিয়েছিল। দেখা গেল যে পৃথিবীর সময়ের সাথে তুলনা করে, এটি বেশ কয়েক বছর পার হয়ে গেছে।

আসলে পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টায় এক দিন এরকম কিছু নেই। আসলে ২৩ ঘন্টা, ৫৬ মিনিট এবং ৪ সেকেন্ডে এক দিন অতিক্রম হয়। আমরা সহজ করে মনে রাখার জন্য এটিকে ২৪ ঘন্টায় এক দিন বলে থাকি।

যদি ভাল লাগে, প্লিজ একটি আপভোট দিয়ে অনুপ্রাণিত করবেন।

ধন্যবাদ!

Wednesday, February 10, 2021

কোন ভুলগুলো জীবনকে ধ্বংস করে দেয়?

১। জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ভুল, জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

২। অতিরিক্ত লোভ করার মতো ভুল, জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

৩। নেশাজাতীয় দ্রব্যকে নিজের নিয়ন্ত্রক বানিয়ে রাখার মতো ভুল, জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

৪। কল্পনা আর বাস্তবের পার্থক্য অনুধাবন করার অক্ষমতাজনিত ভুল, জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

৫। নিজের জীবনে যা কিছুই প্রাপ্তি ঘটেছে, সেটাকে সানন্দে গ্রহণ না করে, অপ্রাপ্তির বেদনায় সর্বক্ষণ নিজেকে বিদ্ধ করার মতো ভুল, জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

৬। জীবনে নিজের ইচ্ছে মতোই সব কিছুই ঘটবে, এ ধরণের ধারণাজনিত ভুল, জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।

ধ্বংস হয়ে যায় জীবন। আত্মহননের পথ বেছে না নিলেও, জীবনের অস্তিত্বকে ছোঁয়া যায় না। নাগালের মাঝে থেকেও, অধরাই থেকে যায় জীবন।

বেঁচে থাকতে হয়, জীবন্মৃত অবস্থার মাঝেই।

ধন্যবাদ।

Sunday, February 7, 2021

1. বিনাকারণে কেও ভুল বুঝলে মাথা গরম হয়ে যায় আমার। 😌😶

2. অন্য কারোর সাথে আমাকে তুলনা করলে , আমি সহ্য করতে পারি না।

3.সেইসব মানুষদের দেখেতেই মন চায় না যারা নিজে খারাপ ব্যবহার করে অপরজনের কাছ থেকে ভালো ব্যাবহার আশা করে।

4. যখন কেউ এখন একটা কথা বললো কিন্তু পরে গিয়ে সেটা স্বীকার করে না যে সেটা বলেছে বা মিথ্যে বলেছে ।( বলছি না আমি মিথ্যা বলি না কিন্তু আমি পরে স্বীকার করি যে হ্যাঁ এই কারণে বলেছিলাম )

5. যখন কেউ আমার সামনে আমার সম্পর্কে একটু বাড়িয়ে বাড়িয়ে কথা বলে তখন অনেক রাগ হয়।সে আমার ভালো কিছু বললেও রাগ হয়।

6. একটা সময় আসবে বলে দেরি করে আসলে ।🙂

7.খুব কাছের মানুষ দেরিতে মেসেজ এর রিপ্লাই দিলে খুব রেগে যায় ।🙂

8. সবার সামনে ভালো হওয়ার জন্য নেকামো করলে বা ঢং দেখাল খুব রাগ হয় ,অতিরিক্ত attitude দেখালে রেগে যায় ।

9. খুব খিদে পেয়ে গেলে রেগে যায় ।😅

10. রেজাল্ট দিয়ে কোনো স্টুডেন্ট কে যাচাই করলে মাথা গরম হয়ে যায় ।😌

11. পাড়ার লোক মেয়ে দের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া নিয়ে কথা বলতে শুনলে রাগ হয় 😶

12. ফোনে চার্জ শেষ হওযার পর যদি দেখি কারেন্ট নেই 😶

13. কোন কথার অর্ধেক বলে বাকি অর্ধেক না বললে চরম রাগ হয়ে যায়।

14. ধর্মীয় ভেদাভেদ জিনিস টা ঠিক পছন্দ হয় না।

15. অসহায় মানুষ দের সাথে কাওকে খারাপ ব্যবহার করতে দেখলে খুব রেগে যায় ।

ধন্যবাদ ।😊🙂