আল-কুরআনে "ফ্রি ফায়ার গেম"-এর উল্লেখ না থাকারই কথা। আল-কুরআনে হারাম হিসেবে উল্লেখ করে দেয়া বিষয়ের পরিমাণ খুবই কম। ঐগুলোকে সরাসরি হারাম বলতে পারি। বাকী অন্য কিছু "হারাম কি না" সেটা বুঝতে হলে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে হয়। ইসলামের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় এতে আছে কিনা।
যে কোনো খেলা নিষেধের প্রধান কারণগুলো:
(১) নামাজ থেকে গাফেল করে।
(২) সময়ের অপচয় ঘটায়।
(৩) আল কুরআনে মুমিনের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে, যারা অহেতুক কর্মকাণ্ড পরিহার করে চলে তারা হলো মু'মিন।
(৪) গুটি খেলা (কেরাম ইত্যাদি) - যে ব্যক্তি গুটি খেলা খেললো, সে যেনো তার হাতকে শুকরের গোস্ত এবং রক্তে মধ্যে তার হাত রঞ্জালো। (হাদীস)
(৫) আর্থিক লেনদেন।
কোন খেলাগুলো খেলা যাবে:
চিত্ত বিনোদন এবং খেলাধুলা জায়েজ আছে ইসলামে। শরীর চর্চা হয় এমন খেলাগুলো অনুমোদিত।
খেলার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে:
* পরিবারের সাথে সময় কাটানোর উদ্দেশ্য হলে সেটা খেলা যেতে পারে
* খেলতে গিয়ে নামাজ কাযা করা না হয়,
* আর্থিক লেন-দেন না থাকে,
* পর্দার খেলাফ না হয়,
* খেলার কারণে অট্টহাসি না হয়
* খুব বেশী সময় এ খেলার পেছনে ব্যয় করা না হয়
এগুলো খেয়াল রেখে, খেলার পেছনে অল্প সময় ব্যয় করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment