Sunday, February 7, 2021

কোরআন ও হাদিসের বহু স্থানে আল্লাহর জিকির করার প্রতি বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জিকির আস্তে করবে, না জোরে করবে এ নিয়েও সমাজে মতপার্থক্য দেখা যায়। সুরা আরাফের আয়াত থেকে আস্তে জিকির করা উত্তম বলে প্রমাণিত হয়। খায়বর যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরামের তাকবির ধ্বনি উচ্চস্বরে হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'হে জনগণ, নরম হও, বিনম্র আওয়াজে ডাকো...তোমরা কোনো বধির বা অনুপস্থিত কাউকে ডাকছ না।' (মুসলিম)

হজরত হাসান বসরি (রহ.) বলেন, 'পূর্ববর্তী মনীষীরা বেশির ভাগ সময় আল্লাহর জিকির ও দোয়ায় মশগুল থাকতেন; কিন্তু কেউ তাঁদের আওয়াজ শুনতে পেত না।' তবে শরিয়তে যেসব স্থানে সরব ও উচ্চস্বরে জিকির করার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে সরব জিকির উত্তম। যেমন-আজান, ইকামত, কোরআন তিলাওয়াত, নামাজের তাকবির, তাকবিরে তাশরিক ও হজের 'লাব্বাইকা' ইত্যাদি উচ্চস্বরে বলা উত্তম।

আর অন্যান্য ক্ষেত্রে উচ্চস্বরে জিকির করার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। এক. এতে লোক দেখানো মনোভাব থাকতে পারবে না। দুই. নিজের জিকিরের শব্দে অন্যের নামাজ, তেলাওয়াত, কাজকর্ম বা বিশ্রামে ক্ষতি করা যাবে না। তিন. জিকিরের এ পদ্ধতিকেই একমাত্র সঠিক পদ্ধতি হিসেবে জ্ঞান করা যাবে না।

No comments:

Post a Comment