Sunday, February 7, 2021

সরাসরি না বলেও, আমি বাবা-মাকে কিভাবে বোঝাব যে আমি বিয়ে করতে চাই?

আপনার বিয়ের বয়স হয়েছে, কিন্তু মা-বাবা বিয়ে দিচ্ছেন না? লজ্জায় মুখ ফুটে বলতেও পারছেন না বিয়ের কথা? আকারে-ইঙ্গিতে মাকে সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার কিছু পরামর্শ জেনে নিন।

১. আপনার মায়ের সামনে বন্ধুপত্নীদের বেশি বেশি প্রশংসা করুন। যেমন অমুকের বউ অমুকের মায়ের খুব যত্ন নেয়। তমুকের বউ তমুকের মায়ের সব কাজে সহযোগিতা করে।

২. বাসায় আপনার বিবাহিত বন্ধুদের ঘন ঘন দাওয়াত দিন বউ-বাচ্চাসহ। আপনার মা বন্ধুদের বউ-বাচ্চা দেখে আপনার বিয়ের কথা ভাবতেও পারেন।

৩. আপনার রুম সব সময় অগোছালো রাখুন। আপনার মা রুম গোছাতে গোছাতে বিরক্ত হয়ে একসময় আপনার বিয়ের ব্যবস্থা করেও ফেলতে পারেন।

৪. আপনার রুমের ডবল খাটটা বদলে সিঙ্গেল খাট নিয়ে আসুন। কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবেন, এত বড় খাট জায়গার অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।

৫. ঘরের দেয়ালে ছোট শিশুদের ছবি টাঙিয়ে রাখুন। বলা তো যায় না শিশুদের ছবি দেখলে আপনার মায়ের মনে নাতি-নাতনি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে।

৬. মাঝেমধ্যে রাত করে বাসায় ফিরুন। কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবেন, বাসায় জলদি এসে কী লাভ? একা একা বোরিং লাগে।

৭. এত কিছুর পরও যদি আপনার মা বিয়ের জন্য না ভাবেন, তাহলে সরাসরি তাঁর পা ধরে মুখ ফুটে বিয়ের কথা বলুন। সৌভাগ্য কেবল সাহসীদের সঙ্গেই থাকে।

(ছবি ও মজাঃসংগৃহীত)

মজার কথা থাক। এবার আসল কথায় আসি। বিয়ে কেন দিচ্ছে না সেটাও দেখা দরকার। এমন না যে- ছেলে সাবালক হলো আর বিয়ে দিয়ে দিবে। ভরন পোষন করতে না পারলে বিয়ে করা ঠিক না। সাংসারিক দায়িত্বজ্ঞান ইত্যাদিও থাকতে হবে।

আর্থিক সামর্থ আছে তারপরও বিয়ে না দিলে ছেলের কৃত গুনাহের কারণে বাবা কে গুনাহগার হতে হবে। মাও যদি বাঁধ হয়ে থাকেন তবে মাকেও গুনাহগার হতে হবে। আপনি মা বাবার মধ্যে যে বেশি নরম তাকে বুঝান। আপনার নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে মা বাবাকে বুঝান। কিন্তু হ্যা- মা বাবাকে কষ্ট দিয়ে বিয়ে করা যাবে না। তাদের কষ্ট দিলে দুনিয়া ও আখিরাত দুটিই বরবাদ হয়ে যাবে। ধৈর্য ধারণ করুন। রোযা রাখুন। রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে বলবেন ইসলাম বলেছে বিয়ে কর না হলে রোযা রাখো। মার্জিত ভাষায় মা বাবাকে এভাবে একবার বললেই তারা এ বিষয়ে অবশ্যই ভেবে দেখবেন।

পিতামাতার উচিত কখনোই সন্তানের বিয়ে দেয়াতে দেরি না করা।

হজরত আবু জর রা. থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ সা. আক্কাফ রা. কে বললেন, হে আক্কাফ! তোমার স্ত্রী আছে? তিনি বললেন, না। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তোমার কি সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে? তিনি বললেন, আছে। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তুমি এখন শয়তানের ভাইদের দলভূক্ত। যদি তুমি খ্রিস্টান হতে তবে তাদের রাহেব (ধর্ম গুরু) হতে। নিঃসন্দেহে বিয়ে করা আমাদের ধর্মের রীতি। তোমরা কি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও? শয়তানের কাছে নারী হলো অস্ত্র। সবাই নারী সংক্রান্ত ফেৎনায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যারা বিয়ে করেছে তারা নারীর ফেৎনা থেকে পবিত্র। নোংড়ামি থেকে মুক্ত। তারপর বলেন, আক্কাফ! তোমার ধ্বংস হোক। তুমি বিয়ে কর নতুবা তুমি পশ্চাৎপদ মানুষের মধ্যে থেকে যাবে। [মুসনাদে আহমদ, জমউল ফাওয়ায়েদ, ইমদাদুল ফাতওয়া : ২/২৫৯]। যখন শারীরিক চাহিদা থাকে এবং এই পরিমাণ সামর্থ্য থাকে যে তার এবং স্ত্রীর প্রতিদিনের খরচ বহন করতে পারবে, তখন বিয়ে করা ফরজ। এ অবস্থায় বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুনাহগার হবে।

No comments:

Post a Comment