Monday, February 15, 2021

"মুফতি,মাওলানা, মুফাসসির,আল্লামা, শায়েখ" ইসলামিক এই পদবি ব্যবহার এর সম্পর্কে জানাবেন কী? কোন ক্ষেত্রে কোনটি ব্যবহার হয় বিস্তারিত জানতে চাই?

মুফতি: মুফতি শব্দটি আরবী। মুফতি হলেন একজন ইসলামি পন্ডিত যিনি ইসলামি আইনশাস্ত্রের বিশদ ব্যাখ্যা এবং ইসলামের আলোকে বিভিন্ন ফতোয়া প্রদান করেন। ইসলামী নিয়ম কানুনের জন্য একটি উচ্চতর পড়াশোনার বিভাগ হচ্ছে ইফতা। এটি উচ্চতর ইসলামী গবেষণামূলক বিভাগ। এ বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ প্রতিটি ছাত্রকে ইসলামী আইনে বিশেষজ্ঞ বা মুফতি বলা হয়।

মাওলানা: মাওলানা একটি সম্মানসূচক উপাধি। আল্লাহর ক্ষেত্রে ‘মাওলানা’ অর্থ হলো আমাদের প্রভু বা প্রকৃত অভিভাবক। আলেমদের ক্ষেত্রে তার অর্থ হচ্ছে, আমাদের ধর্মীয় অভিভাবক বা ধর্মীয় নেতা। উর্দু ভাষায় ‘মাওলানা’ শব্দটি উস্তাদ ও আলেমে দ্বীন অর্থেও ব্যবহৃত হয়। যারা দাওরায়ে হাদীস/তাকমীল) কৃতীত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের (উপাধি হিসাবে) মাওলানা বলে।

মুফাসসির: যিনি তাফসীর করেন অর্থাৎ পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যা করেন বা তাফসীর গ্রন্থ রচনা করেন তিনি “মুফাসসির” হিসাবে পরিচিত।

আল্লামা: আলিম শব্দের মুবালাগা বা সুপারলেটিভ ডিগ্রি হচ্ছে আল্লামা, যার শাব্দিক অর্থ 'সর্বজ্ঞ', 'অত্যন্ত জ্ঞানী' বা 'মহাজ্ঞানী'। কিন্তু আমরা যখন আল্লামা শব্দটি মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করি তখন এর অর্থ বিজ্ঞ, প্রজ্ঞ বা শিক্ষাবিদ। আরও সহজ করে বলি, আল্লামা শব্দের অর্থ আল্লাহর ক্ষেত্রে যদি ব্যবহৃত হয় তবে সেটা স্রষ্টা হিসাবে মহাজ্ঞানী বা যিনি সবকিছু জানেন। আর মানুষের ক্ষেত্রে 'আল্লামা' শব্দটি ব্যবহার হলে সেটার অর্থ হবে বিজ্ঞ বা অভিজ্ঞ ব্যক্তি। ইসলামি শরিয়তের বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিতদের ক্ষেত্রে উপাধি হিসাবে ‘আল্লামা’ ব্যবহার করা হয়।

শায়খ: শায়খ শব্দটি আরবী, এর অর্থ বয়োবৃদ্ধ, তবে যারা ইসলামী বিষয়ে গভীর জ্ঞানের অধিকারী, তাদেরকে সম্মান করে শায়খ বলা হয়, কারণ যারা বৃদ্ধ তাদের অভিজ্ঞতা বেশী থাকে, আর যারা জ্ঞানী তারা যেন একজন বৃদ্ধের মতই, এজন্যই মুসলিম সমাজে যারা ধর্মীয় বিষয়ের পণ্ডিত তাদেরকে শায়খ বলা হয় ।

জাযাকাল্লাহু খইর!

No comments:

Post a Comment