কোরাতে এ নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্ন পাওয়া যায়। কেউ বলে, আমি ৬ ঘণ্টা ঘুমালে যথেষ্ট। আবার কেউ বলে তাদের নাকি ৭-৮ ঘণ্টা না ঘুমালে হয়ই না। এত প্যাঁচের মধ্যে না ঘুরে আসুন বিজ্ঞদের কথা শুনি।
এই ঘুম নিয়ে গবেষণা করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান National Sleep Foundation । ২০১৫ সালে তারা পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য সময়সীমা নতুন করে বেঁধে দেয়। রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়:
- নবজাতক (০-৩ মাস): ঘুমের পরিধি প্রতিদিন 14-17 ঘন্টায় সংকীর্ণ করা হয় (আগে এটি 12-18 ছিল)
- শিশু (4-11 মাস): ঘুমের পরিধি দুই ঘন্টা বাড়িয়ে 12-15 ঘন্টা করা হয় (আগে এটি 14-15 ছিল)
- বাচ্চা (1-2 বছর): ঘুমের পরিধি এক ঘন্টা বাড়িয়ে 11-14 ঘন্টা করা হয়েছে (আগে এটি 12-14 ছিল)
- বাচ্চা (3-5): ঘুমের পরিধি এক ঘন্টা বাড়িয়ে 10-13 ঘন্টা করা হয়েছে (আগে এটি 11-13 ছিল)
- স্কুল বয়সের শিশুরা (6-13): ঘুমের পরিধি এক ঘন্টা বাড়িয়ে ৯-১১ ঘন্টা করা হয়েছে (আগে এটি ছিল ১০-১১)
- কৈশোর (14-17): ঘুমের পরিধি এক ঘন্টা বাড়িয়ে ৮-১০ ঘন্টা করা হয়েছে (আগে এটি ছিল ৮.৫-৯.৫)
- অল্প বয়স্ক (18-25): ঘুমের পরিধি 7-9 ঘন্টা (নতুন বয়স বিভাগ)
- প্রাপ্তবয়স্ক (26-64): ঘুমের পরিধি পরিবর্তন হয়নি এবং 7-9 ঘন্টা অবধি রয়েছে।
- প্রবীণ (65+): ঘুমের পরিধি 7-8 ঘন্টা (নতুন বয়সের বিভাগ)
এছাড়াও কত ঘণ্টা ঘুমালে ভালো, সর্বনিম্ন কত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কত ঘণ্টা সর্বোচ্চ ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত, এইগুলার সব তথ্য দেওয়া আছে তাদের website এ।
এই প্রশ্নের উত্তরে দেখলাম অনেকেই অনেক তথ্য দিচ্ছে। সত্যি বলতে কি, আমিও ওই তথ্য গুলো সঠিক বলেই জানতাম। স্কুলে থাকতে আমাদেরকেও একই তথ্য জানানো হয়। তবে কয়েকদিন আগে Ted-Ed এর এক ভিডিওতে জানলাম নতুন তথ্য যা অনেক দিন ধরেই বহাল আছে। তাই সবাইকে সচেতন করতে লিখে ফেললাম উত্তরটা।
ঘুমের সাথে কোনো তামাশা করবেন না। পর্যাপ্ত ঘুমের থেকেও বড় বিষয় হচ্ছে সঠিক সময়ে ঘুমানো। মনে রাখা উচিত:
Early to bed and early to rise,
Makes a man healthy, wealthy and wise.
No comments:
Post a Comment