২। ট্রেনে উঠে, কামরার ভেতরে, লোক চলাচলের জায়গায়, “জগদ্দল পাথর” এর মতো দাঁড়িয়ে, নিজের “লাগেজ” ধীরে সুস্থে গোছানোতে, গভীর মনসংযোগ করা।
৩। ট্রেনে, নিজের মালপত্র দিয়ে, বার্থের নীচের জায়গাটা ভর্তি করে রাখা, এবং “এগুলো কার ? কার ?” প্রশ্নে, না শোনার ভান করে, জানালার কাচ দিয়ে, গভীর মনোযোগের সাথে, প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকিয়ে থাকা।
৪। মন্দিরে “প্রণামী” দিতে গিয়ে, "মানিব্যাগ" তন্নতন্ন করে খুঁজে, একদমই "ছেঁড়া" বা "অচল" টাকাটা, খুবই ভক্তিভরে, প্রণামী বাক্সে টুক করেই, ঢুকিয়ে দেয়া।
৫। অটোরিক্সাতে, পাশের যাত্রীর অনুরোধে, বসার সুবিধে করে দেয়ার জন্য, শরীরকে একটু নাড়িয়ে, “না বসা, না দাঁড়ানো” ভঙ্গিমা করে, এক ইঞ্চি জায়গা না ছেড়ে, আবার বসে যাওয়া।
৬। ঘরোয়া গানের আসরে, কাউকে জোর জবরদস্তি করে গান গাওয়ানো শুরু করিয়েই, নিজেদের মধ্যে আলাপ, আলোচনা, হাসাহাসিতে “মশগুল” হয়ে যাওয়া।
৭। রাস্তায় কোনো পথচারী, পথনির্দেশ জিজ্ঞেস করলে, মুখে একটি শব্দও ব্যয় না করে, ঘাড় ঘুরিয়ে, চোখ নাচিয়ে, দিকভ্রান্ত করে দেয়া।
৮। নিজের বিশাল বপু, কষ্টে, সৃষ্টে, রিক্সায় লোড করে, রিক্সা চলতে শুরু করতে না করতেই, রিক্সাচালককে, “টানো, টানো হে, তুমি দেখি টানতেই পারো না, ভাত খাইছ না মনে হয়”র মতো, মহামুল্যবান উক্তি নিক্ষেপ করা।
৯। “মেডিটেশন” করতে বসে, “কল” এলে, ফোন ধরে, “এখন না, মেডিটেশন করছি, পরে, পরে” বলে, ফোন রেখে দেয়া। (এক ঘন্টার মেডিটেশনে, প্রাপ্ত “কল” এর সংখ্যা,আঠারো)।
১০। বাড়ীর গেইটে, “বাড়ীতে কুকুর আছে, সাবধান” আতংকবার্তা, প্রদর্শিত করা। (বাড়ীতে কুকুর পুষলে, সাবধান থাকা উচিত্, গৃহস্বামীর)।
১১। দেরীতে, বাড়ী থেকে বেরিয়ে, অফিসে পৌঁছে, ট্রাফিক জ্যামের অজুহাত দেয়া।
১২। অফিসে, "বস" এর প্রিয় পাত্র হয়ে উঠার জন্য, নির্দোষ সহকর্মীর নামে, বসের কানে "ফিসফিস" করা।
১৩। সভা সমিতিতে, ভাষণ দিতে গিয়ে, “আমি আর আপনাদের অমূল্য সময় নষ্ট করবো না", বারবার বলে, দু’ঘণ্টা “বকর বকর” করা।
১৪। “বাইক”কে, “ফ্যামিলি কার” এর রূপ প্রদান করা।
১৫। কোরায় জ্ঞান সমৃদ্ধ, চমত্কার উত্তর লিখে, শেষে “আপনার একটি মাত্র মহামুল্য “আপভোট”, আমার এই "লেখক জীবনের" একটি নতুন “মাইল স্টোন”এর ঘোষণা করবে” জুড়ে দেয়া।
ধন্যবাদ। Md Arif hossain
No comments:
Post a Comment