Friday, April 23, 2021

জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া উচিত? কেন?

স্বার্থপর হওয়া একটি খারাপ জিনিস এটা অবশ্যই একটা ভুল ধারনা!স্বার্থপরতা একটি সুখী এবং সফল জীবনের গোপন বিষয়। অন্যকে সন্তুষ্ট করা এবং ক্রমাগত "হ্যাঁ" বলার পরিবর্তে আসুন আমরা নিজের জন্য বাঁচার চেষ্টা করি।নিজের জন্য কিছু কিছু বিষয়ে স্বার্থপরতা অবলম্বন করি।আর জীবনে এই সব বিষয়ে বা ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া আমার মতে দোষের কিছু নয়।

  • প্রথমত নিজের সত্যিকারের ভালবাসার জন্য বা ভালো‍বাসার মানুষকে পাওয়ার জন্য স্বার্থপর হওয়া দোষের কিছু নয়।
  • নিজের সন্তান এর ভালো এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ এর জন্য আমার মতে স্বার্থপর হওয়া টা অনেক জরুরি।কারণ আপনার সন্তানের জন্য মানুষের উপর থেকে ভালোবাসার কোন কমতি থাকবে না,কিন্তু যখন তার ভবিষ্যতের জন্য আপনার কারো সাহায্যের প্র‍্যয়োজন হবে তখন আপনি ছাড়া আর কেউ আপনার সন্তান এর কথা ভাববে না।
  • নিজের ভবিষ্যতের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও স্বার্থপর হওয়া জরুরি।কারণ আপনার সফলতাই দেখবে সবাই,কিন্তু এই সফলতার পিছনে কত কষ্ট আর ক্লান্তি আপনি দিয়েছেন তা কেউ দেখবে না।উল্টো আপনি যদি ভবিষ্যতে ভালো কিছু না করতে পারেন আপনার নিজের লোকেরাও আপনাকে নিয়ে পিছনে বাজে কথা বলতে ছাড়বে না।
  • আর যারা আপনার খারাপ সময় আপনার পাশে থাকে আপনাকে সাপোর্ট করে,সব সময় চেষ্টা করবেন তাদের নিজের জীবনে আগলে রাখতে।আর এই ক্ষেত্রেও স্বার্থপর হওয়া লাগলে হবেন।
  • নিজের ভালোর জন্য বা উন্নতির ক্ষেত্রে কিন্তু অন্যোর ক্ষতি করে নয়।
  • কোন ভালো বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে সময় ব্যায় করার সময়, কেউ ডাক দিলে যে তখনি দৌড় দিয়ে যেতে হবে এমনটি নয়।
  • পরিক্ষার হলে একটু হলেও স্বার্থপর হতে হয় কারন আপনি সারা বছর কষ্ট করে পড়া লেখা করবেন সবার থেকে ভালো রেজাল্ট করার জন্য আর অন্যজন আরামে আপনারটা দেখে দেখে ভাল রেজাল্ট করবে তা কি করে দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে চাকুরীর পরিক্ষার ক্ষেত্রে।
  • যেকোন প্রতিযোগীতায় স্বার্থপর হতেই হবে কারন মনে রাখতে হবে যে, আপনার পাশে সবাই আপনার প্রতিদ্বন্দী।

এই দুনিয়ায় সকল সম্পর্কই স্বার্থের উর্ধ্বে নয়।সেদিকেই খেয়াল রাখতে হবে।সর্বশেষে একটা কথাই বলব যে, নিজের ভাল নিজেকেই বুঝে নিতে হবে।কথায় আছে যে, ”আপন ভালো পাগলেও বুঝে”।এমনকি সময় খারাপ গেলে নিজের বাবা-মাও আপনাকে অবহেলা করবে কটু কথা শোনাবে।তাই নিজের ভালো হয় বা হবে এমন যে কোনো সিদ্ধান্তে আপোশ করবেন না।তবে অন্যের ক্ষতি যাতে না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।অন্যের ক্ষতি করে নিজের স্বার্থ হাসিল করার মধ্যে কোন বীরত্ব নেই।

ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ😊।

Thursday, April 22, 2021

খারাপ সময় কিভাবে মোকাবেলা করেন?

আল্লাযীনা ইযাআসা-বাতহুম মুসীবাতুন কা-লূইন্না-লিল্লা-হি ওয়াইন্না-ইলাইহি রাজি‘ঊন।

যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। [২:১৫৬]

যখন আমি কোন খারাপ সময় এর সম্মুখিন হই তখন এই একটি বিষয় সেই খারাপ সময় ও সম্যসার মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

আপনি যখন খারাপ সময়ে থাকবেন যখন আপনি এটা বলবেন আসলে নিজেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে আপনি নিজেই একদিন মরে যাবেন। আপনি নিজেই তো সারা জীবন থাকবেন না আপনার এই সম্যসাটা কিভাবে সারা জীবন থাকবে। নিশ্চই এই সময়টা অতিবাহিত হবে।যখন আপনি এটা অনুভব করবেন, আপনি মনে অনেক খানি শক্তি পাবেন।

আপনি অমুসলিম হন বা মুসলিম তাতে যায় আসে না। আপনি এর পর থেকে আমার এই কথাটা মেনে দেখুন দুর্দান্ত কাজ হবে বিশ্বাস করেন। আপনি যখন কোন খারাপ সময় অতিবাহিত করবেন নিজেকে সরন করিয়ে দিন মরনের কথা আপনি নিজেই তো চিরদিন থাকবেন না। আপনার যেই সম্যসাই থাক না কেন তা যা কিছু হতে পারে আর্থিক, সম্যসা মানুষিক, অসুস্থতা যাই হোক না কেন আমি হয়ত যে উদাহারন গুলো দিচ্ছি আমার কল্পনা থেকে আপনার সম্যসাটা হয়ত তার থেকেও বড় মোট কথা আপনি যতই খারাপ পরিস্থিতি অতিবাহিত করেন না কেন এটা চিরস্থাই না।। এটা একদিন শেষ হবে। ঠিক যেমনি ভাবে আপনিও চিরস্থাই না।

তাই আমি আমার খারাপ সময়ে উক্ত আয়াত পাঠ করে নিজেকে সরন করিয়ে দেই হাবীব তুমি নিজেই তো চিরস্থাই না , তোমার এই খারাপ সময় টা কিভাবে স্থাই হবে। সো কুল ম্যান।

ধন্যবাদ।।

আপনি কোন কাজ জীবনে কখনো করতে চান না?

  1. কখন কোন পতিতার কাছে যেতে চাই না ।
  2. কখন কাউকে খুন করতে চাই না।
  3. বাবা মা কে গালি দিতে চাই না।
  4. আমার পার্সোনাল লাইফ সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে চাই না।
  5. আমি চিনি না এমন কারো প্রেমে পরতে চাই না।
  6. আমি ভাবতে চাইনা আমি গতকাল কি করেছি।
  7. কখন নিজেকে আঘাত দিতে চাইনা ব্যার্থ প্রেমের জন্য।
  8. কখন ফ্রি ফায়ার, পাবজির মত গেম খেলতে চাইনা।

ধন্যবাদ

সবাই তো সফলতার সুত্র বলে, আপনি কি আমাকে ব্যর্থ হওয়ার সূত্র বলতে পারবেন?

ব্যার্থ হবার কোন সুত্র নেই এমনি হয়ে যাবেন অটোমেটিক। অর্থাৎ যখনি আপনি কোন পদক্ষেপ নিবেন না, প্লান পরিকল্পনা করবেন না তখনি ব্যার্থ হবেন।

তবে আমি আপনায় গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় বলছি সেটা হল যে সবার কাছে সফলতার প্লান থাকে কিন্ত ব্যার্থতার প্লান থাকে না তাই তারা ব্যার্থ হলে হেরে যায়। তাই আপনার প্রশ্ন হবার কথা ছিল ব্যার্থতার প্লান কিভাবে করব?

আরো সহজ করে বলছি। যেমন সবাই চিন্তা কর আমি যদি এই চাকরিটা পাই আমি এইটা করব ওইটা করব। আমি যদি পরিক্ষায় ভাল মার্কস পাই তাহলে আমি এই করব এই করব। অমুক ভার্সিটিতে এডমিশন হব। এরপর যখন প্লান অনুযাই তা হয়না তখন সে কষ্ট পায় অনেক সময় হাল ছেরে দেয় অনেকে সুইসাউড করে। ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু বেশির ভাগ মানুষের কাছে ব্যার্থতার কোন প্লান থাকেনা। যেমন আমি যদি জব টা না পাই তাহলে কি করব? রেজাল্ট যদি ভাল না হয় তাহলে কি করব? যদি আপনার কাছে ব্যার্থতার প্লান থাকে অবস্যই আপনি একদিন সফল হবেন। তাই ব্যার্থ কিভাবে হবেন সে চিন্তা না করে ব্যার্থতার প্লান তৈরি করুন কারন আপনি অটোমেটিক কোন না কোন ভাবে ব্যার্থ হবেন এভাবেই আপনার আমার লাইফ এর ডিজাইন করা।

ধন্যবাদ।

আপনি হঠাৎ একটা বিপদে পরেছেন, তখন কি পরবেন - লা হাওলা … নাকি ইন্না লিল্লাহি…?

আচ্ছা চলুন দেখা যাক আল্লাহ কি বলেন -

আল্লাহ বলেন -

সূরাঃ আল-বাকারা [2:156]

ٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَٰبَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوٓا۟ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّآ إِلَيْهِ رَٰجِعُونَ

আল্লাযীনা ইযাআসা-বাতহুম মুসীবাতুন কা-লূইন্না-লিল্লা-হি ওয়াইন্না-ইলাইহি রাজি‘ঊন।

যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে,নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।

বিস্তারিত আলোচনায় যাবার আগে দেখে নিব। লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ কিসের দোয়া।

হজরত আবু মুসা আল আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা (বর্ণনাকারী বলেন) একটি চুড়া হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি এর উপর ওঠে জোরে জোরে বলল- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’

হজরত আবু মুসা বলেন, তখন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর খচ্চরে আরোহী ছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা তো কোনো বধির ‍কিংবা কোনো অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। অতঃপর তিনি বললেন-‘হে আবু মুসা! বা হে আবদুল্লাহ! আমি কি তোমাকে জান্নাতের ধনাগার লাভের একটি বাক্য বলে দেব না? আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’, বলে দিন। তিনি বললেন, তা হলো-

‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই; কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’ (বুখারি)

অতএব কোরান হাদিস থেকে আমরা প্রমান পেলাম লা হাওলা বিপদের দোয়া নয় এটি জান্নাতে ধন লাভের দোয়া।

তাহলে আমরা পরিস্কার বুঝতে পারছি বিপদের দোয়া হচ্ছে ইন্না নিল্লাহ।

এটা কেন জরুরি -

এই আয়াত (দোয়া) এর অর্থ নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। তার মানে আমরা কেউই চিরস্থাই না যেখানে আমরা নিজেরাই চিরস্থাই না সেখানে আমার বিপদ গুলো কিভাবে চিরস্থাই হবে। আপনি মুলত এটাই শরন করিয়ে দিচ্ছেন নিজেকে। আপনার ছোট বড় যে কোন সম্যসা হোক না কেন এই দোয়ার মাধ্যমে আপনি নিজেকে শরন করিয়ে দিচ্ছেন যে আমি নিজেই তো একদিন চলে যাব তাহলে আমার এই বিপদ কি করে চির স্থাই হবে। আল্লাহ আপনায় সমুখ্য বিপদ এর শেষ দেখিয়ে আপনায় সান্তনা দিচ্ছেন। যে আপনি যে অবস্থাতেই থাকুন তা চিরস্থাই না। যখন আপনি এভাবে চিন্তা করবেন আপনার চিন্তা কষ্ট পুরোপুরি লাঘব হবে।

ধনুবাদ।

জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অব্যক্ত নিয়ম কী কী?

১. আপনি যেমন চিন্তা করেন আপনি তেমনি। আসলে আগামিকাল টা আপনার আজকের চিন্তার ফলাফল।

২. আপনি টাকা দিয়ে কোন পন্য ক্রয় করতে পারবেন কিন্তু ভালবাসা ও সন্মান নয়। এটা আপনায় সাবধানতার সাথে অর্জন করতে হয়। কারন এটা অর্জন করতে সারা জীবন প্রয়োজন কিন্তু হারাতে এক মহুর্ত্ব লাগে না।

৩. দরিদ্র ও অভাবী মানুষকে আপনার আয়ের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ দেওয়া শুরু করুন, এটি আপনার আর্থিক সাম্রাজ্যের রহস্যজনকভাবে বিপ্লব ঘটাবে।

৪. আপনি যদি কম কথা বলেন, যৌক্তিক হন এবং সচেতনভাবে শোনেন, আপনি প্রতিভাবান হয়ে উঠবেন।

৫. আপনি কার ক্ষতি করবেন আর তার ফলাফল ফিরে পাবেন না এটা প্রায় অসম্ভব। এটা আপনার জীবনে ফিরে আসবে হয়ত আরো কয়েক গুন হিসাবে। তাই প্রস্তুত থাকুন।

৬. কখন কখন সফল হবার জন্য প্রিয়জনকে ত্যাগ করতে হয়। আমি এই নিয়মটি দাবা খেলা থেকে শিখেছি । অনেক সময় রানী কে ছেরে দেই জয়ের আশায়।

৭.আপনার বন্ধু এবং সহকর্মীর ভাইবোনদের সাথে কখনও যৌন মিলনের চেষ্টা করবেন না।

৮. সাফল্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হ'ল ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং ধারাবাহিকতা, এমনকি শীর্ষস্থানীয় সফল্য প্রাপ্ত ব্যক্তিরা চরম ব্যর্থতা ও কষ্টের মুখোমুখি হয়েছিল, তবে তারা এই বৈশিষ্ট্যগুলির দ্বারা উন্নতি করেছে।

৯.সর্বদা ইতিবাচক, আশাবাদী, নম্র এবং সকলের পক্ষে শুভাকাঙ্ক্ষী হোন, আপনি আপনার চারপাশে অলৌকিক পরিবর্তন দেখতে শুরু করবেন।

১০.ক্ষমার অভ্যাস আপনাকে কখনই হতাশ করবে না, এটি প্রকৃতির নিয়ম।

১১. আপনার খারপ অভ্যাস ও মস্তিস্কের অবকাঠামো উন্নতি সম্ভব ৮ সাপ্তাহের মেডিটেশন দ্বারা। যদি আপনি তা না করতে চান তাহলে এইGames টি খেলুন। এটি আপনার মন কে শান্ত করে তুলবে ও আপনার চিন্তাভাবনা কে আরো ধির করে তুলবে আপনার মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রনের ফলে।

১২. কখন সম্যসা থেকে পালিয়ে বেরাবেন না। এটি ফিরে আসবে আরো দ্বিগুণ আকারে। সব সময় মনে রাখবেন সম্যসার ভিতরেই সমাধান আছে। ধর্য্য ও প্রজ্ঞা দিয়ে এটি সমাধান করুন।

কেভিট-১৯ থেকে নিরাপদে থাকুন

ধন্যবাদ

আমাদের বেকার ছেলেগুলো কোন উপায়ে ভালো কোনও কাজ-এ জড়াতে পারবেন?

চাইলেও পারি না ভাই কেন জানেন? তাদের আসোলে কাজের প্রয়োজনি নাই। অনেকে বলে ভাই একটা চাকরি লাগবে যদি বলি অমুক পদে করবা? তখন পিছায় যায় অনেকে কিছুদিন করে আমার ক্রেডিট টা নষ্ট করে চলে যায়।। সত্যিকার অর্থে আসলে তাদের চাকরি বা কোন কাজের প্রয়োজন নেই।

চাকুরি জীবনে এসে বেকারত্ব বা চাকরি না পাওয়ার কিছু কারন খুজে পেয়েছি। এখানে সরকারি চাকুরির কথা বলা হচ্ছে না। বিষয়টা মাথায় রাখবেন। তো যাই হোক আসি মুল আলোচনায়। চাকুরি না পাওয়া বা বেকারত্বের যে কারন গুলো আমি পেয়েছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারন হচ্ছে সবাই মুখে বলে ভাই চাকুরি লাগবে, সম্যসায় আছি, কিন্তু আসলেই তার চাকুরির প্রয়োজন নেই। একটা ভাবসম্প্রসারন পরেছিলাম "প্রয়োজন উদ্ভাবনের জনক"। আসলে আজ দেখুন কত মেয়ে মানুষ কত অবুঝ আতেল আবুল পোলাপান এসে চাকুরি করছে গার্মেন্টস গুলোতে। আপনি কেন পাচ্ছেন না? কারন আপনার দু মুঠো ভাত আজো যোগার হয় চাকুরি ছাড়া। মাথার উপোর একটা ছাতা আছে তাই আপনি চাকরি পাচ্ছেন না । একবার নিজেকে ওই পরিস্থিতে কল্পনা করুন তো আপনি একা, থাকার যায়গা নেই, খাবার কিছু নেই। আপনি কাল কি খাবেন জানেন না কোথায় ঘুমাবেন জানেন না। তাহলে আপনি কি করতেন? রাস্তা ঝারু দেবার কাজ খাবার রেস্টুরেন্ট এর কাজ যাই হোক না কেন আপনি তাই করতেন। ঠিক তেমনি আপনার যখন চাকুরি প্রয়োজন, সেই প্রয়োজন টা যদি এমন হত যে কোন মুল্যে আপনায় তা পেতে হবে যে কোন ভাবেই। আপনি আপনার সময় আপনার জীবন টাই তার পিছে লাগিয়ে দিতেন। সারা রাত পড়াশুনা করে হোক আর যে ভাবেই হোক তা আপনি অর্জন করতেন যেভাবেই হোক। কেন জানেন? প্রয়োজনের তাগিদে। আজ মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে কত কিছুই না করছে। কিছু বুঝে না জানেনা এমনকি পাজামার ফিতাটাও বাধতে শিখেনি এমন মেয়েরাও এসে গার্মেন্টস সেক্টর গুলোতে কাজ করছে। ধমক সুনে জাগায় কেদে যাগায় আবার কাজ করছে কেন জানেন? প্রয়োজনের তাগিদে। আজ না হয় চোখ থেকে দু ফোটা অশ্রুই পরল। কাল সে হবে ইস্পাত কঠিন অপ্রতিরোধ্য। আজ আপনার কি হল? আপনি কেন বেকার? কেন অসহায়? জানেন? আসলে আপনার প্রয়োজনি নেই। আপনি মুখে বলছেন ঠিক কিন্তু আপনায় একটা চাকরির কথা বললে আপনি মুখ ফিরিয়ে নিবেন আমি কেন যাব অমন চাকুরি করতে।

আসলে যারা আজ চাকুরি নেই বলে বেরাচ্ছে চাকুরি পাচ্ছিনা বলছে সত্যিকার অর্থে ওর চাকুরির প্রয়োজনি নেই।

যদি এমন হত আমায় চাকুরি লাগবে বা ব্যাবসা করতে হবে যে কোন মুল্যে যে কোন অবস্তায় ঠিকি পারবেন। পারতে আপনায় হবেই। কত জনকে দেখেছি কিভাবে শার্ট টা সুন্দর করে পরতে হয় তাও জানে না । তারাই আজ ১০জন মানুষ চালিয়ে অর্থ উপার্জন করছে ।

কর্ম কে সন্মান করুন হোক না নাপিত।

তাই আসলেই চাইলেও সম্ভব না আপনারা যতক্ষন চাচ্ছেন না।