৫টি উপায়ে সামাজিকতা বাড়ানঃ

৫টি উপায়ে সামাজিকতা বাড়ান
৫টি উপায়ে সামাজিকতা বাড়ান


সমাজের মধ্যে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে চাইলে কিছু অভ্যাস গড়ে নেওয়া দরকার। কোনো কোনো অনুষ্ঠান ও আড্ডায় কিছু কিছু ব্যক্তিকে বরাবরই সবাই পছন্দ(like) করে। এই পছন্দ করার পিছনে রয়েছে এমন কোনো দিক যা সবাই পছন্দ করে। তাই সামাজিকতা বাড়ানো খুবই জরুরী। 

সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে (website) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নিজের সামাজিকতা রক্ষার পন্থা ও সকলের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জানানো হলো।

আরও পড়ুনঃ 

সামাজিকতা বাড়ানোর ৫টি উপায়ঃ

চোখে চোখ রাখা: সবার আগেই মানুষ লক্ষ্য করে চোখের দিকে। তাই, কারো সঙ্গে কথা বলার সময় তার দিকে তাকিয়ে বা চোখে চোখ রেখেই স্বাভাবিকভাবে কথা বলা প্রয়োজন। এর মধ্যমে  আপনি যে তার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ও কথা বলে আনন্দ বা মজা পাচ্ছেন তা ভালোভাবে বোঝা যায়। এতে করে তিনিও আপনার প্রতি আগ্রহী হবে বা আগ্রহ প্রকাশ করে ও আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে।ফলে,সামাজিকতা বাড়ানো যায়।

অন্যের কথা শোনা: অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার গুণাবলি অনেক কম মানুষের মধ্যে থাকে। কেউ যদি আপনাকে বিশ্বাস করে কোনো কথা বলে থাকে এর মানে হলো সে আপনার কাছে কথা বলে অনেকটা ভরসা পাচ্ছে এবং এর পেছনে কারণ হলো আপনি একজন ভালো লোক বা শ্রোতা। মাঝে মধ্যে অন্যের কথা শোনার মতো ধৈর্য্য থাকা মানে, অন্যকে মন খুলে কথা বলার মতো পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করা উচিত । ফলে,সামাজিকতা বাড়ানো যায়।

আলোচনার বিষয়বস্তু: অপ্রাসঙ্গিক কথা বলার প্রয়োজন নেই এতে বিরক্তি অনেকটা বেড়ে যায়। তাই সাম্প্রতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরী। এ বিষয়ে আপনার সুস্পষ্ট ধারণা ও মতবাদ প্রকাশ আলোচনাকে বেশ প্রাণবন্ত করে তুলবে। এতে কেউ বিরক্ত হবে না বরং আপনার সঙ্গ বা থাকাথাকি সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে।ফলে,সামাজিকতা বাড়ানো যায়।

অন্যের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ: অন্যের কথা আগ্রহ বা মনোযোগ সহকারে শোনা ও সে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার মধ্যে দিয়ে আপনার আগ্রহ বা মনোযোগ প্রকাশ পায়। অন্যের পছন্দের বিষয়ে কথা বলা ও উৎসাহ দেওয়া আপনার ব্যক্তি জীবনে তাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। সেই মানুষও যদি আপনার সঙ্গে নির্দ্বিধায় বা খোলামেলা এ সকল বিষয়ে আলোচনা করে তাহলে বলা যায়, আপনার আলোচনার মাত্রা ও ধরণ একেরারে সঠিক আছে। ফলে,সামাজিকতা বাড়ানো যায়।

হাস্যরস সম্পর্কে ধারণা: হাসি খুশি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে সবাই অনেকটা পছন্দ করে। কোথাও বেড়াতে গেলে বা কোনো আড্ডায় বা অনুষ্ঠানে সঙ্গী যদি প্রাণবন্ত হয় তাহলে পরিবেশটাই এমনিতেই আনন্দঘন হয়ে ওঠে। তাই সঙ্গী হিসেবে হাস্যরস বা হাস্যকর জ্ঞান সমৃদ্ধ ব্যক্তির সকলের কাম্য। ফলে,সামাজিকতা বাড়ানো যায়।

সুতরাং, সমাজের মধ্যে সামাজিকতা ভাবে চলা। তাই, তার জন্য সামাজিকতা বাড়ানোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।