Sunday, January 31, 2021

আমি 40 মিনিটের মধ্যে শিখতে পারি এমন কিছু দরকারি দক্ষতা কী কী?

১. সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে যখনই প্রস্রাব করতে যাবেন তার আগে এক গ্লাস জল/ পানি পান করে নেবেন। এটা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং আপনার জল পান করার পরিমাণ বৃদ্ধি হবে।

২. বিছানায় শোয়ার পরেও যদি অনেকক্ষণ ঘুম না আসে তাহলে বারবার চোখ খোলা বন্ধ করতে থাকুন। এতে চোখের ক্লান্তি হবে এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন।

৩. প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অন্তত 5 মিনিট নিজেকে খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। নিজের আশা হতাশা সব ওই আয়নার সামনে প্রকাশ করুন। আপনি সবথেকে ভালো পরামর্শটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির কাছ থেকে পেয়ে যাবেন।

৪. বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে অথবা খাবার খেতে গেলে অবশ্যই ঘর থেকে জলের বোতল নিয়ে যাবেন। স্বাস্থ্য এবং অর্থ উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।

৫. বাড়িতে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ফুল গাছ লাগান। প্রজাপতি, পাখি, গাছপালা সমস্ত রকমের জীবজন্তু দের পর্যবেক্ষণ করুন মনের শান্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

৬. মাঝে মাঝে পুকুর অথবা নদীতে স্নান করুন। গোসল করার আসল মজা উপভোগ করতে পারবেন।

৭. ফুটপাতের সবজি বিক্রেতাদের কাছে খুব বেশি দরদাম করবেন না। পারলে দরদাম নাই করুন। বড়লোক ধূর্ত ব্যবসায়ীদের মত 499/ 999 এই রকম দাম বলা এদের স্বভাবে নেই। আর এটাও মনে রাখবেন এরা এই সবজি বিক্রি করে কখনোই রাজপ্রাসাদ বানায় না।

৮. আপনার জীবনের বিশেষ দিনগুলোতে যেমন ধরুন বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন এসব দিনে গরিব বাচ্চাদের তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করে সহযোগিতা করুন। অসহায় দুঃখী মানুষদের সাহায্য করুন।

৯. রাজনীতি থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে দূরে রাখুন। যদি সত্যি মানুষের সেবা করার ইচ্ছে থাকে তাহলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মানুষের সেবা করুন। মনে রাখবেন উন্নত দেশে রাজনীতি নিয়ে সেভাবে মাতামাতি হয়না। ভারতবর্ষ যেহেতু একটি উন্নত দেশ হওয়ার পথে রয়েছে, তাই ভবিষ্যতে এখানেও রাজনীতির গুরুত্ব কমে যাবে।

১০. জীবনে যখনই সময়ের পাবেন রামায়ণ-মহাভারতের মত কাহিনীগুলো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেখে নিন (যদি আগে না দেখে থাকেন)। এইসব পৌরাণিক কাহিনীগুলো আপনার চরিত্র গঠন করবে এবং জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেও সাহায্য করবে।

১১. যেকোনো সময় খাবার আপনার খিদের ৮0 শতাংশই পূর্ণ করুন। যথাসম্ভব হাঁটাহাঁটি করুন, সাইকেল ব্যবহার করুন। আপনার দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা সফল হবে।

১২. প্রতিদিনই Quora তে অন্তত একটি উত্তর লেখার চেষ্টা করুন মাসে 30 টি এবং বছরে 365 টি উত্তর হয়ে যাবে।

১৩. জীবনের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে জাপানিদের ব্যবহৃত "IKIGAI" পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

১৪. ক্রিকেট খেলা দেখা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন বড়লোকেরা এবং কিছু ব্যবসায়ী মানুষ ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ ক্রিকেট খেলা দেখে অর্থ এবং সময় দুই অপচয় করেন। যদি ক্রিকেট খেলা সত্যি ভালোবাসেন তাহলে ক্রিকেট খেলুন। খেলা কখনোই দেশের সাফল্যের পরিচয় হতে পারে না।

আর যদি আপনি মগজে শান দিতে চান তাহলে দাবা খেলার কোন বিকল্প নেই।

১৫. যেকোনো কথা বলার আগে অন্তত দুই সেকেন্ড ভাবুন। বিতর্কিত কথার প্রবণতা কমে যাবে এবং যুক্তিপূর্ণ সঠিক কথা বলার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।

১৬. কারোর জীবন যাচাই করা এবং কারোর ব্যক্তিগত ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করা উচিত নয়। এটি জীবনের জঘন্য কাজ গুলির মধ্যে একটি।

১৭. শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যাপন করুন এবং প্রত্যেকদিন ধ্যান করুন।

১৮. প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ব্লগিং, ফটোগ্রাফির মতো সময় উপযোগী কৌশল রপ্ত করে নিজেকে উন্নত করো।

১৯. নিয়মিত বিভিন্ন রকম কর্মশালায় অংশগ্রহণ করুন এবং আপনার আগামীর জীবনকে আরো দক্ষতা পূর্ণ করে তুলুন।

২০. নিজের জীবনের গতিপথ নিজেই নির্ধারণ করুন এবং জীবনে নির্ণয় নেওয়া অভ্যাস করুন।

কোন জিনিসগুলি মানুষের জীবন থেকে ত্যাগ করা উচিত?

যা আপনার মন,আত্মা থেকে মনে হবে খারাপ তাই ত্যাগ করুন। আপনার ভেতর থেকে যদি মনে হয় এটা খারাপ তবে কেউ তা চাইলেও আপনার পছন্দের করতে পারবে না,আপনাকে দিয়ে করাতে পারবে না।

  • ইচ্ছাকৃত ভাবে কারো ক্ষতি থেকে বিরত থাকুন। একই ক্ষতি আপনার হবে তবে ভিন্ন মাধ্যমে, ভিন্ন উপায়ে।
  • কারো কথা কাীো কাছে প্রচার করবেন না। কেউ বিশ্বাস করে কিছু বললে তা নিজের মধ্যে রাখুন।
  • রাস্তায় চলার সময় মানুষের উপকার করুন। কে জানে আপনার একটা কাজে অনেকে জীবন বেঁচে যাবে।
  • কখনোই ধুমপান করবেন না। কারণ এতে পরিবেশের ক্ষতি এবং আপনার চারপাশের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
  • কারো ব্যাক্তিগত আচার-আচরণ, জীবন ধারা নিয়ে আলোচনা করবেন না। যারযার জীবন সে তার মতো চালানোর অধিকার তার আছে।
  • কারো অধিকার এর উপর হস্তক্ষেপ করবেন না। যে যা পাওয়ার যোগ্য সে তাই পাবে।
  • সমালোচনা না করে আত্ম আলোচনা করুন। নিজের ভুল গুলো শুধরানোর চেষ্টা করুন।
  • আপনি যে ধর্মে বিশ্বাসী সেই ধর্মের কাজ করুন। অন্য কারো চিন্তার উপর নিজের মতামত চাপাবেন না।এটা খুবই জঘন্য কাজ।
  • সবশেষে সময় নষ্ট, সময়কে হেলাফেলা না করে এখন যা করা উচিত তা করার জন্য লেগে পড়ুন। মানুষের পিছনে মোটেও লাগতে যাবেন না।

ধন্যবাদ। 🖋️

আপনার জানা মজার তথ্যগুলো শেয়ার করতে পারবেন?

1) ডলফিন এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।

2) আপেল খেতে যতই স্বাদ লাগুক, আপেলের ৮৪ ভাগই জল।

3) এ মাত্র যিনি কলা খেলেন তার প্রতি মশার আকর্ষণ বেশী ।

4) এক কাপ কফিতে ১০০-এরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ আছে।

5) এক ঘণ্টা চুইংগাম চাবালে শরীরে ৩০ ক্যালরি তাপ ক্ষয়।

6) গরুকে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠানো যায় কিন্তু নিচে নামানো যায় না ।

7) চিংড়ি শুধু পিছনের দিকে সাঁতার দিতে পারে।

8) চোখ খোলা রেখে ব্যাঙ কোন কিছু গিলতে পারে না।

9) জলের হাতি বা জলহস্তি জলের নিচে ৩০ মিনিট দম বন্ধ করে থাকতে পারে।

10) যখন চাঁদ সরাসরি মাথার উপর, তখন আপনার ওজন সবচেয়ে কম।

11) অক্টোপাসের দেহে তিনটি হৃদপিণ্ড আছে।

12) তোমার মতোই শিম্পাঞ্জিরাও হ্যান্ডশেক করে ভাব বিনিময় করে!

13) এক পাউন্ড বিশুদ্ধ তুলা থেকে ৩৩ হাজার মাইল লম্বা সুতা তৈরি সম্ভব !

14) পিঁপড়ার ঘ্রাণশক্তি কুকুরের চেয়ে বেশী।

15) পেঙ্গুইন একমাত্র পাখি যে সাঁতার কাটতে পারে কিন্তু উড়তে পারেনা।

16) পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে।

17) পৃথিবীতে যত লিপস্টিক আছে, তার বেশির ভাগই তৈরি হয় মাছের আঁশ।দিয়ে।

18) প্রজাপতির চোখের সংখ্যা ১২ হাজার!

19) ফড়িংয়ের কান মলে দিতে চাইলে কিন্তু একটু সমস্যা হবে। কারণ ফড়িংয়ের কান হাঁটুতে!

20) মাছেরও কাশি হয়।

21) মৌমাছির চোখ পাঁচটি।

22) মশার দাঁত ৪৭ টি।

23) শামুক পা দিয়ে নি:শ্বাস নেয়। শামুকের নাক চারটি ।

24) শরীরের পেছন দিক দিয়েও নিঃশ্বাস নিতে পারে কচ্ছপ।

25) হাতি একমাত্র স্তন্যপায়ী, যারা লাফ দিতে পারে না।

26) বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের রঙ হালকা হয়ে যায়।

27) গড়ে একজন মানুষের চোখ বছরে ৪২লাখ বার পলক ফেলে।

28) মানবদেহে সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন্ত কোষ হলো মস্তিস্কের কোষ (নিউরন)।

29) হাতের নখ, পায়ের নখের চেয়ে চারগুন দ্রুত বাড়ে।

30) মানবদেহের মোট হাড়ের ১/৪ অংশ পায়ে অবস্থিত!

31)প্রতি মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রে ৬জন সতেরোতে পা দেয়।

32) আপনি চোখ খুলে কখনোই হাঁচি।দিতে পারবেন না। বিশ্বাস না হলে এক্ষুণি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

33) আপনি কখনো আপনার কনুই কামড়

দিতে পারবেন না । চেষ্টা করে দেখুন!

34) গ্যালিলিও দূরবীন আবিষ্কার করার।আগে মানুষ খালি চোখে আকাশে মাত্র পাঁচটি গ্রহ দেখতে পেতো!

35) আমরা তো গাছ থেকে সহজেই খাবার পাই। কিন্তু আমরা জানি কি এক পাউন্ড খাবার তৈরি করতে গাছের প্রায় ১০০ পাউন্ড বৃষ্টির জল খরচ করতে হয়

Thursday, January 28, 2021

আমাকে কিছু উপদেশ দিবেন কি?

উপদেশ দেয়াটা সহজ কিন্তু উপদেশ মেনে চলাটা বেশ শক্ত। যদিও সৎ উপদেশ দেওয়া আমার কাছে একটি কঠিন কাজ। তবুও চেষ্টা করা যাক।

১. নিজের যত্ন নিন- আপনার এই দেহ-যন্ত্র সারা জীবনে যে কাজ করে থাকে তার মূল্য এখনও সঠিক মূল্যায়ন করা যায়নি, তবে ধারনা করা হয় প্রায় ৬০০০ বিলিয়ন ডলারের মত। একটি খসড়া হিসাবে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন

২. সম্ভব হলে, আপনার মন যা বলে তাই করুন- কারন যা আপনার মন চায় না বা আপনি করতে পছন্দ করেন না, সেই কাজে সাফল্য পাওয়া খুবই কঠিন।

৩. যে কাজটি করতে আপনার মন চায় সেটি শতভাগ দিয়ে করুন - হেলায় সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। আমার বাবার শিক্ষক পণ্ডিত, বাঙালি লেখক, ভাষাবিদ, সাংবাদিক, ভ্রমণ-উৎসাহী, একাডেমিক, এবং রম্য-সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী বলতেন " ছুটে যাওয়া মাছ, সবসময় বড় হয়"। আপনার কারনে সুযোগটিকে হাতছাড়া করবেন না।

৪. কাজের সময় নির্দিষ্ট করে নিন - সম্ভব হলে আজের কাজ আজই শেষ করুন, একটু পরিশ্রম বেশিই করুন।

৫. ধার্মিক হলে - ধর্মের অনুশাসন মেনে চলুন।

৬. নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন - আপনার নিজ কাজের ভাল মন্দ বিচার করুন এবং সেই মোতাবেক re-schedule করুন।

৭. দৈনিক কিছু সময় আপনার যা ভাল লাগে তাই পড়ুন - দৈনিক কিছুটা অন্য বিষয়ে জানুন।

৮. পৃথিবী সম্পর্কে অবহিত থাকুন- খবর দেখুন, সোশাল নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকুন, আত্নীয়-স্বজনদের খোঁজ খবর রাখুন, রোগীর খবর পেলে তাকে দেখতে যান, আর্তের সেবা করুন।

৯. নিজেকে ভাল বাসুন, অন্যের সাথে ভালবাসা ভাগাভাগি করে নিন।

নিজেকে কেউ একটু বকাঝকা করলে রাগ উঠে যায় কেন? এর থেকে পরিএানের উপায় কী?


রাগ হচ্ছে আবেগের বহিঃপ্রকাশ। আমাদের রাগ কখন হয়?

*যখন আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনোকিছু চাপিয়ে দেয়া হয়।

*যখন আমাদের মনে হয় আমাদের সাথে কোনো অন্যায় কিছু ঘটছে।

*আমাদেরকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।

*অন্য কারো সাথে আমাদের মতবাদ মিলছে না।

এরকম আরো অনেক কারণ থাকতে পারে যার কারণে আমরা রাগান্বিত হই ।

রাগ যেহেতু একটা আবেগ তাই প্রত‍্যেক মানুষের ই রাগ থাকে এবং তারা বিভিন্নভাবে রাগের প্রকাশ ও ঘটান।

আপনাকে কেউ বকাঝকা করলে আপনার রাগ হয়। হয়তোবা তখন আপনার মনে হতে পারে বকাঝকা করে কেউ আপনার ওপর তার প্রভাব খাটাতে চাচ্ছে বা আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। অথবা আপনার মতাদর্শ পাল্টাতে চাপ প্রয়োগ করছে।

স্বভাবতই আপনি তখন রেগে যাবেন আর রাগান্বিত অবস্থায় আমাদের মস্তিষ্ক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাই এই অবস্থায় প্রথমে আপনার রাগ কমাতে হবে।

এজন্য,

১. দাড়িয়ে দাড়িয়ে বকাঝকা না শুনে ওখান থেকে চলে যান। বকা শোনা থেকেও বেঁচে যাবেন রাগও উঠবে না।

২. রাগ যদি উঠেই যায় তবে আপনি খাতা কলম নিয়ে বসে পড়ুন। তারপর রাগের কারণ লিখতে শুরু করুন। যা মনে আসে তাই লিখুন। দেখবেন রাগ কমে গেছে।

৩. যদি ভীষণ রাগ উঠে যায় তবে রাগের কারণ খুজে বের করার চেষ্টা করুন। যদি রাগের কারন অহেতুক হয় তবে আপনার মস্তিষ্ক ই আপনার রাগ কমাতে কাজ শুরু করবে।

৪. রাগের সময় প্রত্যেকটা কথা বলার আগে অন্ততপক্ষে ৫ সেকেন্ড ভাবুন। কারণ রাগের সময় আমরা এমন কথা বা কাজ করে ফেলি যে পরে তা নিজের জন্য ক্ষতি ডেকে আনে।

৫. ১-১০ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে ক্রমান্বয়ে গুনতে থাকুন, তারপর আবার উল্টোদিক থেকে গুনুন। রাগ কমে যাবে।

৬. ভাঙচুর করবেন না, হাতে পুরনো কাগজ নিয়ে টুকরো টুকরো করুন। সব রাগ কাগজের ওপর ঝেড়ে ফেলুন। (এটা আমি নিজেই নিজের ওপরে প্রয়োগ করেছি)

৭. রাগের সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়ুন, বসে থাকলে শুয়ে পড়ুন অথবা এক গ্লাস পানি খেয়ে চুপচাপ নিজের ঘরে একা বসে থাকুন।

অতিরিক্ত রাগ উচ্চ রক্তচাপ, ইনসমোনিয়া, মানসিক অশান্তি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদির কারণ। তাই, হুটহাট রেগে যাওয়া থেকে বিরত হয়ে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস কিভাবে দূর করা যায়?


সিগারেট, নেশা জাতীয় খাদ্য হারাম।আর হারাম মানে গুনাহ। আর গুনাহ মানে জাহান্নাম।

এভাবে যদি চিন্তা করি,, একবার হারাম গলদ করণ করলে তা আমার শরীরের প্রবেশ করে। আর এর মাধ্যমে খাদ্য যেভাবে সারা শরীরে ছড়িয়ে যায় এবং শরীর গঠনের কাজ করে,, সেভাবে সিগারেট বা মদ্যপান করলেও সারা শরীরে তা ছড়িয়ে যায় এবং আপনার শরীর হারামে নিপাতিত হয়।

হারাম ভক্ষণ কারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।অর্থাৎ হারামে আপনার শরীর জড়িয়ে যাবে এবং আপনার কোনো নেক আমল কবুল নাও হতে পারে।

★ সিগারেটের

গায়ে লেখা থাকে "ধুমপান মৃত্যু ঘটায়"।

আল্লাহ পাক বলেন,

"তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের

দিকে নিক্ষেপ

করো না।" [বাকারা-১৯৫]

★সিগারেট নেশাজাতীয় জিনিস।

নবী করিম (সাঃ) বলেছেন,

"প্রত্যেক নেশার বস্তুই মাদক (খামার)

আর প্রত্যেক নেশার

জিনিসই হারাম।" [মুসলিম-২০০৩]

★ কেউ একসাথে ১০ টি সিগারেট

খেলে তার নেশা হতে বাধ্য।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যা অধিক

সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম

সেবন করাও

হারাম।" [তিরমিযি-১৮৬৫, আবু

দাঊদ-৩৬৮১]

★ সিগারেট অপবিত্র জিনিস।

আল্লাহ পাক বলেন, "তোমাদের

জন্য পবিত্র বস্তু হালাল ও অপবিত্র বস্তু

হারাম

করা হয়েছে।" [আরাফ-১৫৭]

★সিগারেটে অপব্যায় ছাড়া কোন ফায়দা নেই।

আল্লাহ পাক বলেন, "নিশ্চয়ই

অপব্যায়কারী শয়তানের

ভাই।" [সূরা ইসরা-২৭]

★সিগারেটের ধোঁয়ায় মানুষ চরম কষ্ট পায়।

রাসূল (সাঃ) বলেন

"যে ব্যক্তি আখিরাতে বিশ্বাস

রাখে, সে যেন

প্রতিবেশীকে কষ্ট

না দেয়।" [বুখারী]

★সিগারেট পুষ্টিকর কিংবা ক্ষুধা নিবারণ মূলকও

কিছুই নয়। জাহান্নামীদের খাবারের

প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন,

"এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবে না ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।" [গাশিয়াহ-৭]

এবার আপনি সিদ্ধান্ত নিন হারাম

সিগারেট খাবেন নাকি ছেড়ে দেবেন?

Wednesday, January 27, 2021

সুইডেন সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্যগুলো কী কী?

  • বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র উৎপাদনকারী একজন হওয়া সত্ত্বেও সুইডেন প্রায় দুই শতাব্দী ধরে উভয় বিশ্বযুদ্ধ সহ কোনও যুদ্ধে জড়িত ছিল না।
  • সুইডিশরা প্রতি বছর ২০ মিলিয়ন সেলমার (একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি) রোল উৎপাদন করে।
  • দেশটির নামটির সূত্রপাত প্রায় ২০০০ বছর আগে, যখন স্বেয়ার জনগণ সুইডেনটির নাম দিয়েছিল।
    সুইভেরেজ (সুইডেনের সুইডিশ শব্দ) এর অর্থ, ‘আমাদের কিংডম’।
  • জিডিপির ৫১.৪% করের হার সহ সুইডিশরা বিশ্বের সর্বাধিক ট্যাক্সযুক্ত জনসংখ্যার মধ্যে একটি।
  • সুইডেনের জমির ২/৩ অংশ বন দ্বারা আচ্ছাদিত।
  • ১০০০ ভলভো অটোমোবাইল সহ বেশ কয়েকটি আমদানিকৃত আইটেমের কারণে সুইডেনের কাছে উত্তর কোরিয়ার এখনও ২.২ বিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (২৩৪ মিলিয়ন ইউরো) মজুদ রয়েছে।
  • সুইডেন ইউরোপের ৫ম বৃহত্তম দেশ। তবে তা সত্ত্বেও, সুইডেনের ইউরোপে প্রতি বর্গকিলোমিটারে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যা রয়েছে।
  • ২০১৯ সালে, সুইডেনের মোট জনসংখ্যার ৮৭.৭১% শহুরে অঞ্চল এবং শহরে বাস করত।
  • সুইডেনের ৯৯% বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য।
  • দেশে ৯৫,৭০০ টি হ্রদ রয়েছে।
  • ৫০% এরও বেশি শক্তি সুইডেনে নবায়নযোগ্য হয়।

Tuesday, January 26, 2021

আপনার দৈনন্দিন জীবনে কোন ঘটনাটি ঘটলে, আপনার মনে হয় যে আপনার দিনটি সার্থক হয়েছে?

  • দিনের শেষে যদি নতুন কিছু শিখতে পারি তখন মনে হয় আজকের দিনটি সার্থক হয়েছে।
  • যদি কারোর মুখে হাসি ফোটাতে পারি তখন মনে হয় আজকের দিনটি সার্থক হয়েছে।
  • ১ ওয়াক্ত নামাজও যখন মিস হয় না তখন মনে হয় আজকের দিনটি সার্থক হয়েছে।
  • বিকাল দিকের সময়টা যখন ঘরের বাইরে কাটে তখন মনে হয় আজকের দিনটি সার্থক হয়েছে।
  • ঠিক সময় ঘুমাতে পারলে আর ঘুম থেকে উঠতে পারলে মনে হয় আজকের দিনটি সার্থক হয়েছে।

কোন ব্যাপারটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি রাগিয়ে তোলে?

  1. জিজ্ঞাসা না করে কারোর ডায়েরী পড়া। আমার ফাঁকা ডায়েরী ধরলেও রাগ লাগে।
  2. ৫ মিনিট পর আসছি বলে ১৫ মিনিট ওয়েট করানো।
  3. কোরা চালানোর সময় বিশেষ করে উত্তর লেখার সময় যখন কেউ ডাকে। (এই উত্তরটা লেখার মাঝখানেও আমাকে কাজ করনোর জন্যে ডাকা হয়েছে।)
  4. নেট স্লো থাকলে/ ফোন হ্যাং মারলে।
  5. সাইন্স মানেই ভালো স্টুডেন্ট ধারণা ওয়ালা পাবলিকদের প্রতিও রাগ লাগে।
  6. এক্টিভ থেকেউ রিপ্লাই না দিলে মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়!!
  7. Cardi B, Doja Cat এর মতন পাবলিকদের স্টাইল।
  8. ঘুমন্ত ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসা করা- ঘুমাচ্ছো?
  9. অনুমতি না নিয়ে অন্য কারোর মেসেজ চেক করা।
  10. সালামের জবাব না নিলে।
  11. সেইসব মানুষদের দেখেতেই মন চায় না যারা নিজে খারাপ ব্যাবহার করে অপরজনের কাছ থেকে ভালো ব্যাবহার আশা করে।
  12. ভন্ড ছেলেদের দেখলে কি পরিমাণ যে রাগ লাগে!! রঙ করা চুল, হাতে আংটি/ব্রেসলেট এসবে কি পায় তারা?!
  13. যারা সিগারেট খায় তাদের দেখতেই মন চায়না।😷 (ব্যাক্তিগত মতামত।)
  14. বাচ্চারা যখন কথা শুনেনা তখন কানের নিচে লাগাইতে মন চায়!
  15. কোন কথার অর্ধেক বলে বাকি অর্ধেক না বললে।
  16. কেউ যখন আমাকে দিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করায়।
  17. ঢাকা ইজ এভরিথিং- এরকম ভাবনা ওয়ালা পাবলিক দেখলে…….Dhaka is Overrated.
  18. ময়মনসিংহ, ঢাকা, বাংলাদেশ এরকম লেখা দেখলেও রাগ লাগে। ময়মনসিংহ ঢাকার আন্ডার এ না!!! ময়মনসিংহ-র ক্ষেত্রেই এমন লেখা থাকে- ময়মনসিংহ, ঢাকা, বাংলাদেশ। সিলেট/রাজশাহী/বরিশাল এর ক্ষেত্রে এরকম থাকে - সিলেট, বাংলাদেশ। এই জিনিসটা দেখতে দেখতে চোখ ঝালাপালা হয়ে গেছে।
  19. বড় ভাইয়ারা কল/মেসেজ দিলে।
  20. সাদিয়া নামটা শুনলে। (ব্যাক্তিগত মতামত।)

সবচেয়ে বেশি রাগ লাগে 1, 2, 4, 6, 9, 10, 12, 13, 14, 18, 20-র ক্ষেত্রে।😡