Wednesday, January 20, 2021

ভালো থাকার উপায় কী?

একদম বাস্তববাদী উত্তর দিচ্ছি।যা আমি ফেইস করেছিলাম সে অভিজ্ঞতা থেকে।আর বর্তমানে আমি যেভাবে ভালো থাকার চেষ্টা করি তা ও শেয়ার করছি।

১.প্রথম এবং প্রধান কথা হলো আপনার কাছে রিলাক্সে চলার মতো অর্থনৈতিক সাপোর্ট থাকা। সেটি হতে পারে আপনার নিজের টাকা হতে পারে আপনার ফ্যামিলির টাকা।

টাকার অভাবে কোচিং ফি দিতে পারি নাই এমন টিচারের উদাহরণ আমার কাছে অনেক।কোন টিচার ই আপনাকে সেক্রিফাইস করবে না তা না!

কিন্তু অভাবে পড়ে শিক্ষকের কাছ থেকে ফ্রি পড়ার অফার করা মানসিক ভাবে অনেক যন্ত্রনার।

সো যাতে এই ধরনের মানসিক যন্ত্রণা টাকার অভাবে সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

আসলে এটা নিয়ে অনেক কথা আছে।সময় করে আর একদিন বিস্তারিত লিখবো।

তো আমি ধরে নিলাম আপনার এনাফ টাকা পয়সা আছে।

২.আমার ধর্ম ইসলাম।সো ধর্মীয় অনুশাসন মানতে আমি বাধ্য।আমি বলতে চাচ্ছি না আমি অনেক পরহেজগার।অনেক নামাজী।

কিন্তু আমি ইদানিং ধর্মীয় অনুশাসন যথাসম্ভব মানার চেষ্টা করি।এতে আমার শারীরিক এবং মানসিক অনেক উপকার হয়

যেমনঃ

আমি ফজরের নামাজ পরার জন্যে ভোরে ভোরে ঘুম থেকে উঠে যাই।

নামাজ শেষ করে মিনিমাম বিশ মিনিট হাটলে অনেক রিল্যাক্স লাগে।

৩.আমার একটা সময় গিয়েছিল যখন আমি সর্বমোট টিউশন করাতাম অলমোস্ট ৬-৭।তো এই সুবাধে আমার ফ্রাইডে ও ছুটি থাকতো না।আমি অনেক বিরক্ত হয়ে ও টিউশন করাতাম।

এখন আমি টিউশন কমিয়ে ৪ টাতে নিয়ে এসেছি।প্রত্যেক টিউশন তিন দিন করে মানে ফ্রাইডে আমার জন্যে।

৪.আমার একটা বাই-সাইকেল আছে।ফ্রাইডে তে আমি সাইক্লিং করি খুব আনুষ্ঠানিকভাবে। বেশির ভাগ সময় চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে হয়তো মিস হতেই পারে কোন কারনে।

এতে আমি শান্তি পাই।

৫.আমার একজোড়া স্কেটিং জুতো আছে।শখ থেকে নেওয়া।এখনো ভালো চালাতে পারি না।সুযোগ পেলেই প্র‍্যাকটিস করি।তবে পুরোপুরি চালানো শিখলে হয়তো আমার সময় আরো এঞ্জয়এবল হবে।

৬.মাঝে মাঝে সময় পেলে সি আর বি বা র‍্যাডিসনের আশে পাশে যাই।এসব জায়গায় অনেক পথশিশু থাকে।টাকা পয়সা দিয়ে খুব বেশি হেল্প করতে না পারলে ও এই মানুষগুলোর সাথে মেশার চেষ্টা করি।কথা বলি,মজা করি।হাসাই,হাসি।আচার-চকলেট বাদাম কেনে দেই।

৭.সময় পেলে বাতিঘর যাওয়ার চেষ্টা করি।বাতিঘর হলো ফ্রি তে বই পড়ার জন্য সেরা উপযোগী জায়গা।যেখানে অনেকেই যায় এবং ইচ্ছে মতো বই বাছাই করে পড়তে পারে।

আর একাডেমিক পড়াশোনা পরিক্ষার ২০ কি ৩০ দিন আগে থেকে শুরু করি।

৮.আমার মতে আপনি একটা দামী রেষ্টুরেন্টে হাজার টাকা না খেয়ে বরং যদি ফ্যামিলিকে দেন হয়তো সবাই মিলে ভালো খাবার কিনে খেতে পারলো।

যদি ফ্যামিলি প্রয়োজন বোধ করে।

আমার বিশ্বাস যে কারো অন্তরে অনেক প্রশান্তি পাবে।

তাই বলে কি বন্ধু-বান্ধব এবং নিজে রেস্টুরেন্টে না খেয়েই থাকবো!

নাহ!একদম তা না।জাস্ট মাইন্ডে দিলাম টাকা ভেবে চিন্তে ভালো কাজে খরচ করতে হবে।

৯.কিছু মেয়ে ফ্রেন্ড আছে। নাম দিয়েছি জান-১,জান-২,জান-৩ এদের মাঝে মাঝে হুদাই প্যারা দিয়ে শান্তি পাই।

১০.সুযোগ পেলেই ট্যুরে যাই বন্ধু- বান্ধবীদের সাথে।

১১.সব মুরুব্বিদের সামনে আমি ছোট মানুষকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিলে অন্তরে প্রশান্তি পাই।

এটা আমাদের সমাজের অরাজনৈতিক যুব উন্নয়ন সংগঠন।

No comments:

Post a Comment