অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য।
বর্তমানে মানুষ বড্ড বিভ্রান্তির মধ্যে দিন কাঁটায়। আমাদের মধ্যে চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশ টা এতো টা বেড়ে গেছে যে, আমরা এর কলে পড়ে মনের শান্তি হারিয়ে ফেলছি।
এখন একটা বাচ্চার মনেও কত অস্থিরতা দেখা যায়, আমরা ছোট বেলায় যেটা পেতাম সেটাই আনন্দ করে গ্রহণ করতাম। কিন্তু এখন একটা বাচ্চা কে কোন উপকার দিলে সেই উপহারের মূল্য বুঝে সে খুশি হয়। এটা ওদের দোষ না, ওরা এই বদ অভ্যাস টা আমাদের থেকে শিখছে। ছোটরা বড়দের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে, আমরা সঠিক শিক্ষা দিতে অক্ষম হচ্ছি। ফলে বাচ্চার মনেও কত অস্থিরতার চলে আসে।
এই যে শুরু হল, এ যদি নিজেকে কিভাবে ভালো রাখা যায় সেটা না শেখে তাহলে, পরবর্তী জীবন কাটবে তার মনোকষ্টে।
কিন্তু কেউ যদি ইচ্ছা করে, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে চলবে, সব সময় মোটিভেট থাকবে, তাহলে সে হামেশাই তা করতে পারবে।
নিজেকে সব সময় মোটিভেট রাখতে চাইলে——
1.প্রথমে গড়পড়তা চিন্তা বন্ধ করুন। সব কিছু একটু ভিন্ন ভাবে ভাবুন। ধরুন— কেউ একটা নতুন গাড়ি কিনছে — ,আমি কিনতে পারলাম না বলে, দুঃখ করা যাবে না !! এই চিন্তা ভাবনা বন্ধ করতে হবে।
এটা ভাবলে, মন ভেঙ্গে যাবে, মানসিক শক্তি নষ্ট হবে।
2. সব বিষয়ে ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে শিখতে হবে।
3. সকালে ঘুম থেকে ওঠে অবশ্যই প্রতিদিন প্রার্থনা করতে হবে। ধ্যান করতে হবে।
জীবন কে সুন্দর করতে ধ্যানের ভূমিকা অপরিসীম। ধ্যান করলে মন শান্ত ও সতেজ থাকে। মন কে শান্ত রাখার একমাত্র ওষুধ হল ধ্যান। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে আর্টিকেল টি পড়তে পারেন—
সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ধ্যান (মেডিটেশন)কী ভূমিকা রাখে?জীবন যাত্রায় মেডিটেশন এর উপকারিতা কি?
4. একটা গাছ যেমন লাগালেই বড় হয় না, তার ফুল ফল ও ছায়া পেতে গেলে অপেক্ষা করতে হয়।ঠিক তেমনি আপনি যে কাজের সঙ্গে যুক্ত, সেখান থেকে কাল ই বিশাল কিছু পেয়ে যাবেন বা হঠাৎ করেই সফল হবেন তা কিন্তু সব সময় নাও হতে পারে। তাই ধৈর্য্য ধরতে শিখুন।
আমরা সব থেকে হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়ি আমাদের কর্ম জীবন নিয়ে। কিন্তু এখানেই মাথাটা সব সময় ঠান্ডা রাখতে হয়। তা না হলে জীবনে সফলতা অর্জন করা যায় না।
5 . সব সময় মোটিভেট থাকতে হলে, জ্ঞান মূলক বই পড়তে হবে। আমাদের খাদ্য যেমন একদিন না খেলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি জ্ঞান মূলক, কথা না শুনলে না পড়লে আমাদের মস্তিষ্ক জ্ঞান হীন হয়ে পড়ে। তখন আমরা দিশাহারা হয়ে পড়ি।
বেশিরভাগ মানুষই ভাবে, বই পড়তে হয়, কোন কর্মস্থলে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত। কিন্তু এই ধারণা টা সম্পূর্ণ ভুল। কর্মস্থলে যোগ দিয়ে আরও বেশি জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। কারণ নিজেকে মানসিক ভাবে সুস্থ রাখার জন্য।
6. নিজেকে নিয়ে খুশি থাকুন। নিজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করুন।
7. সর্বদাই একজন ভালো মানুষ রূপে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। এতে মন ভালো থাকবে। ফলে আপনার মধ্যে একটা অদেখা শক্তি কাজ করবে। এবং আপনি বেশিরভাগ কাজে সফল হবেন।
8 . যাঁরা হতাশা গ্রস্ত কথা বলে, নেতিবাচক কথা বলে তাঁদের সঙ্গ ত্যাগ করুন এবং আশাবাদী মানুষের সঙ্গে মিশুন।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে হতাশা গ্রস্ত মানুষের সঙ্গে থাকে তার মধ্যে ঐ হতাশা প্রবেশ করার সম্ভাবনা আছে— ৯৫ শতাংশ। আবার আশাবাদী মানুষের সঙ্গে মিশলে ঠিক এর বিপরীত টাই হবে।
9. আমি একজন সফল ব্যক্তি, এই মনোভাব কে আঁকড়ে ধরে থাকুন। এতে মানসিক শক্তি বাড়ে। এটা যদি ধরে রাখতে পারেন তাহলে আপনি একদিন না একদিন সত্যিই সফল ব্যক্তি রূপে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।
10. আনন্দে দিন যাপন করুন। আপনার যা আছে তাতে সন্তুষ্ট থাকুন। তাহলে আপনি মানসিকভাবে শান্তিতে থাকবেন।
ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment