1.বুদ্ধিমানেরা তখন কথা বলে যখন তাদের কিছু বলার থাকে। বোকারা সবসময় কথা বলে কারণ তারা ভাবে তাদের কথা বলতেই হবে।– প্লেটো
২..সাধারণ মানুষ যতক্ষণ ভালো লাগে ততক্ষণ কাজ করে। আর অসাধারন সফল মানুসেরা ভালো না লাগলেও যতক্ষণ না কাজ শেষ হয় ততক্ষণ কাজ করতে থাকে।–ব্রায়ান ট্রেসি
3. অপরের প্রতি বিশ্বস্ত হতে গেলে আগে নিজের প্রতি বিশ্বস্ত হও। -টমসন
4.আত্মবিশ্বাস হচ্ছে সাফল্যের প্রথম গুঢ় তত্ত্ব। -এমারসন
5.আদর্শ হচ্ছে এমন এক প্রহরী, যা মানুষকে সৎ পথে চলতে শেখায়। -স্পেন্সার
6.সাফল্য অর্জন করা আর সফল হওয়া এক কথা নয়। সুবিধা পেলে অনেকই সফল হতে পারে। অনেককে জোর করে সফল বানানো হয়। কিন্তু যে নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়- সে ই প্রকৃত সাফল্য অর্জন করে।.
7.কোন কাজে যার নিজস্ব পরিকল্পনা নেই তার সাফল্য অনিশ্চিত। -অলিভার গোল্ডস্মিথ
8.খ্যাতি ও যশকে সবাই ধরে রাখতে পারে না। -মেকলে
9.চরিত্রের মধ্যে যদি সত্যের শিখা দীপ্ত না হয় তবে জ্ঞান, গৌরব আভিজাত্য সবই বৃথা। –
10. . সাফল্যের জন্য তোমাকে তিনটি মুল্য দিতে হবেঃ ভালোবাসা, কঠোর পরিশ্রম, আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরেও কাজ করে যাওয়া।–লয়েড
“সে একজন ব্যক্তিত্বহীন লোক” অথবা “লোকটার ব্যক্তিত্ব আছে। খুব সহজেই সবকিছু ম্যানেজ করে নিতে পারে”- এ ধরণের কথাবার্তা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। এই ব্যক্তিত্ব এমন একটি প্যারমিটার- যেটার মাধ্যমে একদল মানুষ থেকে একজন মানুষকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়।
ব্যক্তিত্ব কি? কিভাবে ব্যাক্তিত্ব বাড়ানো যায়? ব্যক্তিত্ব হলো একজন মানুষের আচার-আচরণের সমষ্টি- যার মাধ্যমে ঐ ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং কাজ-কর্ম প্রতিফলিত হয়।
যেহেতু ব্যক্তিত্ব (সেটা ভাল বা খারাপ- যা ই হোক) বিষয়টি মানুষের আচার-আচরণের উপর নির্ভর করে, সেক্ষেত্রে আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে অবশ্যই ব্যক্তিত্ব বাড়ানো সম্ভব। নিচে ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধির করার সেরা ১০টি কৌশল তুলে ধরা হলো:
১. ভালো শ্রোতা হোন শুনোন বেশি, বলুন কম। যখন অনেক কথা শুনোর পর মূল বিষয়ের উপর অল্প বাক্যে মূল বিষয়টি বলবেন, তখন আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ পাবে। এজন্য সব সময় কথা শোনার উপর জোর দিন। যেকোন নতুন পরিবেশে ভাল মানের শ্রোতা হতে পারলে আপনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হবে। ব্যকিত্ব বাড়ানোর জন্য লিসেনিং স্কিল জানতে হবে।
২. কথা বলার কৌশল জানুন কথা বলাটা অনেক ক্ষেত্র একটা আর্ট হিসেবে ধরা হয়। আমরা সবাই কথা বলতে জানি, কিন্তু ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার জন্য কথা বলার কৌশল জানা খুব জরুরি। এই জন্য খুব হাঁসি মুখে মিষ্টি সুরে কথা বলার চেষ্টা করুন। কথা বার্তায় মার্ধুযতা থাকলে যে কোনো পরিবেশে মর্যাদা নিয়ে চলতে আপনাকে কষ্ট পোহাতে হবে না।
৩. সবাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন সম্মান দিয়ে কথা বলুন সম্মান অর্জন করতে হলে সম্মান করা শিখতে হয়। ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে প্রত্যেক মানুষকে সম্মান করতে হবে। যারা অন্যকে সম্মান করে কথা বলে, যে কারও ভাল কাজে প্রশংসা করে তাদেরকে লোকজন সম্মানের সহিত মনে রাখে । সম্মান বৃদ্ধির উপায় হলো যেকোন পরিবেশে সবাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন।
৪. সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলুন হাসি আপনার ইগোকে নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার কথা বলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে । শ্রোতার মনোযোগ ধরে রাখার জন্য মিষ্টি হেসে কথা বলুন। মুখে সবসময় হাসি থাকলে লোকজন আপনাকে ইতিবাচক মানুষ হিসেবে বিবেচনা করবে। এভাবে আপনি যে কারো মন খুব সহজেই আকৃষ্ট করতে পারবেন। আপনার কথাগুলো মন্ত্রমুগদ্ধ হয়ে শুনতে থাকবে যদি সঠিক সময়ে মিষ্টি হেসে কথা বলতে পারেন।
৫. বুঝেশুনে কথা বলুন অযথা কথা বলতে থাকলে আপনার ব্যক্তিত্ব হ্রাস পাবে। নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে কথা বলতে যাবেন না। ব্যক্তিত্ব পরিমাপের উপায় হিসেবে লোকজন আপনার অযথা কথা বার্তা থেকে ধারণা লাভ করে নিবে। তাই জানার পরিধির বাইরে গিয়ে কথা বলতে যাবেন না। বুঝেশুনে কথা বললে আপনার ব্যক্তিত্ব ফুঠে উঠবে।
৬. জানার পরিধি বৃদ্ধি করুন জানার পরিধি বৃদ্ধি করুন নতুন নতুন বিষয়ে জানার পরিধি বাড়াতে থাকুন। জানার পরিধি বাড়াতে থাকলে নিজের ভিতরে অনেক বিষয়ে সচেতনতা, দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। জ্ঞানী লোককে সবাই সমাদর করে। জানার পরিধি বেশি থাকলে অন্যলোকজন বিভিন্ন বিষয়ে আপনার কাছ থেকে জানার সুযোগ পাবে। জ্ঞান অর্জন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) বলেছেন
“জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও“
৭. ইতিবাচক মানুষের সাথে চলুন ব্যক্তিত্ব গঠনের উপায় হিসেবে সব সময়েই ইতিবাচক মানুষের সাথে চলুন। নেতিবাচক মানুষকে লোকজন পছন্দ করে না। গীবত, পরনিন্দা, অন্যের দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা এগুলো থেকে বিরত থাকুন। ইতিবাচক মানুষের সাথে চলাফেরা করলে নিজের ভিতরে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হবে। ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার উপায় হিসেবে ইতিবাচক মানুষের সাথে চলাফেরা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৮. যেকোন কাজে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করুন নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তিকে সবাই মনে রাখে। যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনি নেতিৃত্বের ভূমিকায় থাকলে খুব সহজেই সবার মাঝে পরিচিত হয়ে যাবেন। সমাজের যেকোন কাজে সবসময় নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করুন।
সবার বিপদে এগিয়ে যাওয়া, পাড়া-মহল্লার সকলের সাথে যোগাযোগ করা, যেকোন অনুষ্ঠানে দায়িত্ববান হয়ে কাজ করা, ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা রাখা, সততার সাথে কাজ সম্পাদন করা, আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, বিশ্বাস অর্জন করা, সৃজনশীলতা বাড়ানো ইত্যাদি কাজের মাধ্যেমে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে। জনপ্রিয় হওয়ার উপায় হিসেবে নেতৃত্ব অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
৯. প্রতিজ্ঞাগুলো সময়মত পূরণ করুন অন্যের সাথে যেকোন বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে গেলে অবশ্যই সেটি সময়ত পূরণ করুন। ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টাইম ম্যানেজমেন্ট। প্রতিজ্ঞাগুলো আদায় করতে আপনি যদি গড়িমসি করেন তাহলে লোকজন আপনাকে নেগেটিভ চোঁখে দেখবে। কথা ভঙ্গ কারী লোকজনকে কেউ পছন্দ করে না সেজন্য কখনই প্রতিজ্ঞাগুলোকে আলসেমি করে ভূলে যাবেন না।
১০. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন স্মার্ট পোশাক আপনার মনকে সবসময় সতেজ রাখে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন লোককে সবাই পছন্দ করে। ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধির কৌশল হল নিয়মিত গোলস করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান, হাত ও পায়ের নখগুলো ছোট করে রাখা এবং চুলগুলোকে পরিষ্কার রাখুন।
১. গড়গড়া সহ কুলি করা, যাতে পানি গলার হাড় পর্যন্ত পৌছে।
২. হাতে পানি নিয়ে নাকের নরম হাড় পর্যন্ত পানি পৌছানো।
৩. সমস্ত শরীর উত্তম রুপে ধৌত করা।
.
ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ
গোসলের নিয়ত করা, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে গোসল শুরু করা। দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোওয়া (বুখারী ২৪৮)। পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা (বুখারী ২৫৭)। বাম হাতটি ভালভাবে ঘষে ধুয়ে নেওয়া (বুখারী ২৬৬)। নামাজের ওজুর মতো ভালভাবে পূর্ণরূপে ওজু করা। এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি রাখলেও চলবে, যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে। (বুখারী ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫)।
পরে বামে ৩বার, শেষে মাথার উপর ৩ বার। (বুখারী ১৬৮)। (যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে।পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় অবশ্যই পানি ঢালতে হবে)। গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ধোওয়া।(বুখারী ২৫৭)।
.
এটাই হচ্ছে গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি। উল্লেখ্য, এইভাবে গোসল করলে এর পরে নামায পড়তে চাইলে আলাদা করে ওযু করতে হবেনা, যদিনা গোসল করার সময় ওযু ভংগের কোনো কারণ ঘটে থাকে।
.
গোসলের পরে কাপড় চেঞ্জ করলে বা হাঁটুর উপরে কাপড় উঠে গেলে ওযু ভাংবেনা, এটা ওযু ভংগের কারণ না।
যে বা যারা স্বলাত বা নামাজ ত্যাগ করবে তাদের ব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারী এসেছে ,যা নিচের আয়াত গুলো তার প্রমাণ! ব্যাখ্যা ব্যতিত শুধু আয়াতগুলোর সরল অনুবাদ তুলে ধরা হলো—
১) কোন জিনিস (কাজ) তোমাদেরকে (সাকার) জাহান্নামে নিয়ে এল? তারা বলবে আমরা স্বলাত আদায়কারী (নামাজিদের) অন্তর্ভূক্ত ছিলাম না।
(সুরা আল-মুদ্দাচ্ছির : আয়াত ৪২-৪৩)
২) সুতরাং দুর্ভোগ (ওয়াইল নামক জাহান্নামের কঠিন শাস্তি) সেসব স্বলাত (নামাজ) আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের নামায সম্পর্কে উদাসিন।’
(সুরা মাউন : আয়াত ৪-৫)
৩) ‘(স্মরণ কর) সেই চরম সংকটময় কিয়ামত দিবসের কথা যেই দিন তাদেরকে আহবান করা হবে সেজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি অবনত হবে, হীনতা তাদের আচ্ছন্ন করবে অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদের সেজদা করার আহ্বান করা হতো (কিন্তু তারা সেজদা করেনি)।’
(সুরা আল-কালাম : আয়াত ৪২-৪৩)
৪) ‘তাদের পরে যারা তাদের স্থলাভিষিক্ত হল, তারা স্বলাত (নামাজ) নষ্ট করল (একেবারে নামাজ পড়ে না কিংবা মন চাইলে ) এবং নফসের লালসা-বাসনার অনুসরণ করল। সুতরাং তারা অচিরেই এই কুকর্মের (স্বলাত নষ্টের ও প্রবৃত্তিপরায়ন হওয়ার) শাস্তি ভোগ করবে। অবশ্য যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্মশীল হয়েছে তারা ব্যতিত।
(সুরা মারইয়াম : আয়াত ৫৯)
৫) তোমরাও বিশুদ্ধচিত্তে তাঁরই অভিমুখী হও;তাঁকে ভয় করো,(স্বলাত) নামাজ কায়েম করো এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
(সুরা রুম আয়াত-৩১)
রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘যে কেউ ইচ্ছাকৃত স্বলাত (নামাজ) ছেড়ে দেয় আল্লাহ পাক তার হতে তাঁর জিম্মাদায়িত্ব উঠিয়ে নেন’ (বুখারি-১৮, ইবনে মাজাহ-৪০৩৪, মুসনাদে আহমদ-২৭৩৬৪)। অর্থাৎ যে (স্বলাত) নামাজ ছেড়ে দিলো সে যেন আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছেদ করল।
আরো অনেক বর্ণনা রয়েছে যা বর্ণনা করলে টপিকস এর কলেবর বৃদ্ধি পাবে।
জীবনের সেরা উপদেশটি কী দেবেন?
আমি নিজেই এই প্রশ্নটি খুঁজে বের করলাম। আসলে এই কথা গুলি না বলে পারছিলাম না তাই উত্তর দিতে চলে এলাম। আমার বয়স বেশি নয়, তাও অল্প অভিজ্ঞতা থেকে আমার যে উপদেশ গুলি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে সেগুলি বলি:
১. নিজের গোপন কথা কাউকে বলবেন না: সিক্রেট বা গোপন কথা যেটি সত্যিই গোপন রাখা প্রয়োজন সেটি কাউকে বলবেন না। আপনি আবেগের বশে ভাবতেই পারেন, আপনার প্রিয় বন্ধুটিকে বিশ্বাস করা যায়, বা আপনার ভাইকে বিশ্বাস করা যায়। কিন্তু যতদিনে নিজে ঠকে শিখবেন ততদিনে হয়তো অনেক দেরি হয়ে যাবে। আমি এই ভুল বারবার করেছি।
২. প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ইন্টারনেট এ বা উপযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে পরামর্শ নিন : বেড়াতে যাওয়ার আগে সেখানকার সমন্ধে তথ্য জোগাড় করা থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগে এর পরের চাকরির সুযোগ ইত্যাদি জানতে, সব কিছু করার আগেই আন্ত:জাল এ ভালো ভাবে জেনে নিন বা এমন কোনো ব্যক্তির কাছে যান যিনি ব্যাপারটা সম্পর্ক ভালো জানেন। একজন নয় এমন দু তিন জনের কাছে যান কথা বলুন। তারপরে ঠিক করবেন আপনি কি করতে চান।
৩. সর্বদা নির্ভীক ভাবে সত্যি কথা বলুন, অন্তত মিথ্যা বলবেন না: জীবনে এমনিতেই হাজার ঝামেলা। এর ঝামেলা যদি না বাড়াতে চান, তাহলে সত্যি কথা বলুন সব সময়। অভ্যেস করুন। অনেকে অভ্যেসের বশে মিথ্যে বলে ফেলে, ভাবে যে সত্যি টা জেনে ফেললে ও আমাকে হিংসে করবে। অনেকে ভাবে সবাই মিথ্যে বলে, আমি কেনো বলবো না, আমি কাজ হাসিল করে নেব ইত্যাদি। জীবনে শান্তি চাইলে এসব বন্ধ করুন।
৪. শুনতে শিখুন: যখন একজন কিছু বলছে তার কথার মধ্যে কথা বলবেন না। এটা শুধু বিরক্তিকর নয়, যে বলছে সে ও কিন্তু আপনার কথা শুনবে না, এবং কথাবার্তার মূল উদ্দেশ্য যে ভাব বিনিময় সেটিই ব্যর্থ হয়ে যাবে। মানুষকে দুটি কান , একটি মুখ দেওয়া হয়েছে যাতে মানুষ শোনে বেশি বলে কম। যত শুনবেন তত অপরজন কে ভালো করে বুঝবেন, দুনিয়াটাকে ভালো করে বুঝবেন, আপনার জ্ঞান বাড়বে, লোকের প্রিয় হয়ে উঠবেন কারণ লোকে চায় তাদের কথা কেউ শুনুক। বহু জায়গায় কোনো কথা বলারই প্রয়োজন হয়না। মূর্খ দের সাথে তর্ক করবেন না, শুনুন এবং তাদের ভাবনা চিন্তার পদ্ধতি টি জানুন।
৫. সংযম: নিজেকে সংযত করতে পারা হয়তো সর্বোত্তম গুণ গুলির একটি। কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। অতিরিক্ত খাওয়া, অতিরিক্ত ব্যয় বা ভয় , অতিরিক্ত সাবধানতা বা অসাবধানতা, অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুম বা অতিরিক্ত খাওয়া বা কম খাওয়া কোনোটাই কাম্য নয়। জীবনে ব্যালান্স আনুন। সকাল বেলা মোবাইল নিয়ে না বসে বই নিয়ে পড়তে বসা ও সংযম।
বর্তমানে কর্মজীবনের জন্য আর চিরাচরিত ডিগ্রী পড়াশুনার উপর নির্ভরশীল থাকলে হবে না। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে সময় উপযোগী বিভিন্ন রকম শিক্ষা যেমন প্রোগ্রামিং কোডিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিও এডিটিং, ডাটা সায়েন্স, ডাটা স্ট্রাকচার, ক্লাউড স্টোর- এ ব্যাপারে যথোপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তবেই তুমি আগামী দিনের কঠিন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টেলিগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, উইচ্যাট, ইমো, টিকটক, ইউটিউব ফানি ভিডিও দর্শন- এসব তোমাকে মনে তাৎক্ষণিক আনন্দ দিলেও পেটে ভাত দেবে না। মনে রাখবে যারা এখানে দর্শক অথবা শ্রোতা তারা সারাজীবন গরিব থেকে গরিবতর হবে।
সরকারি চাকরির বাহিরেও এক বিশাল কর্মজগতের উপস্থিতি আছে।
পিতা-মাতা তোমার একমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী এবং জীবনের সর্বোত্তম পথ প্রদর্শক হতে পারে। তোমার কোন বন্ধু হতে পারেনা।
বেকার জীবনের প্রেম ভালোবাসা তোমার কর্মজীবনের প্রবেশ পথ দীর্ঘায়িত করবে।
রাস্তার খাবরে স্বাদ থাকলেও, পুষ্টিগুণ থাকে না এবং শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক
সংবাদমাধ্যমে কখনোই সংবাদ দেখানো হয় না। বিজ্ঞাপনের মাঝে কখনও কখনও সংবাদ দেখানো হয়।
বড় হয়েও মিকি মাউস দেখা মোটেই বাচ্চামো নয়।
ভারতবর্ষে ক্রিকেট কোন খেলা নয়। এটি একটি ব্যবসা মাত্র। আইপিএল কোন ক্রিকেট প্রতিযোগিতা নয়, এটি বিভিন্ন ক্রিকেটারদের 100 দিনের কাজের মত।
ব্যক্তি স্বাধীনতা কখনোই তোমাকে দেশকে বদনাম করার অধিকার দেয় না।
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কোন পার্টি অফিস নয়। রাজনীতি করতে হলে রাজনৈতিক দলে যোগদান করুন। শুধু শুধু কলেজে গিয়ে জনগণের টাকা ধ্বংস করছেন কেন। আর দয়া করে কোন ছাত্রনেতা বড় হয়ে মহান হয়েছে এসব উদাহরণ দেওয়া বন্ধ করুন।
গরু, ছাগলকে তার নিজের খাদ্য যোগান করার জন্য তেমন কোনো সংঘর্ষ করতে হয় না। মাঠে গেলেই হল। অনেক ঘাষ পেয়ে যায়। কিন্তু বাঘ সিংহ কে প্রতিদিন সংঘর্ষ করে শিকার ধরে তারপর নিজের খাদ্যের যোগান করতে হয়। কখনোই হরিণ বা গরু তার মুখের সামনে আপনাআপনি আসেনা। এবার তুমি নিজেই ঠিক করো, তুমি নিজেকে কিরূপে দেখো।
যার নিজের ঘর কাঁচের তার অন্যের ঘরে ঢিল ছোড়া উচিত নয়।
তুমি খারাপ নও, তোমার সময় খারাপ চলছে।
Quora তে লিখে অর্থ উপার্জন করা না গেলেও মনের শান্তি বৃদ্ধি করার সাথে সাথে সম্মান ও যথেষ্ট অর্জন করা যায়।
আমি 40 মিনিটের মধ্যে শিখতে পারি এমন কিছু দরকারি দক্ষতা কী কী?
১. সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে যখনই প্রস্রাব করতে যাবেন তার আগে এক গ্লাস জল/ পানি পান করে নেবেন। এটা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং আপনার জল পান করার পরিমাণ বৃদ্ধি হবে।
২. বিছানায় শোয়ার পরেও যদি অনেকক্ষণ ঘুম না আসে তাহলে বারবার চোখ খোলা বন্ধ করতে থাকুন। এতে চোখের ক্লান্তি হবে এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন।
৩. প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অন্তত 5 মিনিট নিজেকে খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। নিজের আশা হতাশা সব ওই আয়নার সামনে প্রকাশ করুন। আপনি সবথেকে ভালো পরামর্শটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির কাছ থেকে পেয়ে যাবেন।
৪. বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে অথবা খাবার খেতে গেলে অবশ্যই ঘর থেকে জলের বোতল নিয়ে যাবেন। স্বাস্থ্য এবং অর্থ উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।
৫. বাড়িতে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ফুল গাছ লাগান। প্রজাপতি, পাখি, গাছপালা সমস্ত রকমের জীবজন্তু দের পর্যবেক্ষণ করুন মনের শান্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
৬. মাঝে মাঝে পুকুর অথবা নদীতে স্নান করুন। গোসল করার আসল মজা উপভোগ করতে পারবেন।
৭. ফুটপাতের সবজি বিক্রেতাদের কাছে খুব বেশি দরদাম করবেন না। পারলে দরদাম নাই করুন। বড়লোক ধূর্ত ব্যবসায়ীদের মত 499/ 999 এই রকম দাম বলা এদের স্বভাবে নেই। আর এটাও মনে রাখবেন এরা এই সবজি বিক্রি করে কখনোই রাজপ্রাসাদ বানায় না।
৮. আপনার জীবনের বিশেষ দিনগুলোতে যেমন ধরুন বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন এসব দিনে গরিব বাচ্চাদের তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করে সহযোগিতা করুন। অসহায় দুঃখী মানুষদের সাহায্য করুন।
৯. রাজনীতি থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে দূরে রাখুন। যদি সত্যি মানুষের সেবা করার ইচ্ছে থাকে তাহলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মানুষের সেবা করুন। মনে রাখবেন উন্নত দেশে রাজনীতি নিয়ে সেভাবে মাতামাতি হয়না। ভারতবর্ষ যেহেতু একটি উন্নত দেশ হওয়ার পথে রয়েছে, তাই ভবিষ্যতে এখানেও রাজনীতির গুরুত্ব কমে যাবে।
১০. জীবনে যখনই সময়ের পাবেন রামায়ণ-মহাভারতের মত কাহিনীগুলো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেখে নিন (যদি আগে না দেখে থাকেন)। এইসব পৌরাণিক কাহিনীগুলো আপনার চরিত্র গঠন করবে এবং জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেও সাহায্য করবে।
১১. যেকোনো সময় খাবার আপনার খিদের ৮0 শতাংশই পূর্ণ করুন। যথাসম্ভব হাঁটাহাঁটি করুন, সাইকেল ব্যবহার করুন। আপনার দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা সফল হবে।
১২. প্রতিদিনই Quora তে অন্তত একটি উত্তর লেখার চেষ্টা করুন মাসে 30 টি এবং বছরে 365 টি উত্তর হয়ে যাবে।
১৩. জীবনের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে জাপানিদের ব্যবহৃত "IKIGAI" পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
১৪. ক্রিকেট খেলা দেখা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন বড়লোকেরা এবং কিছু ব্যবসায়ী মানুষ ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ ক্রিকেট খেলা দেখে অর্থ এবং সময় দুই অপচয় করেন। যদি ক্রিকেট খেলা সত্যি ভালোবাসেন তাহলে ক্রিকেট খেলুন। খেলা কখনোই দেশের সাফল্যের পরিচয় হতে পারে না।
আর যদি আপনি মগজে শান দিতে চান তাহলে দাবা খেলার কোন বিকল্প নেই।
১৫. যেকোনো কথা বলার আগে অন্তত দুই সেকেন্ড ভাবুন। বিতর্কিত কথার প্রবণতা কমে যাবে এবং যুক্তিপূর্ণ সঠিক কথা বলার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
১৬. কারোর জীবন যাচাই করা এবং কারোর ব্যক্তিগত ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করা উচিত নয়। এটি জীবনের জঘন্য কাজ গুলির মধ্যে একটি।
১৭. শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যাপন করুন এবং প্রত্যেকদিন ধ্যান করুন।
১৮. প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ব্লগিং, ফটোগ্রাফির মতো সময় উপযোগী কৌশল রপ্ত করে নিজেকে উন্নত করো।
১৯. নিয়মিত বিভিন্ন রকম কর্মশালায় অংশগ্রহণ করুন এবং আপনার আগামীর জীবনকে আরো দক্ষতা পূর্ণ করে তুলুন।
২০. নিজের জীবনের গতিপথ নিজেই নির্ধারণ করুন এবং জীবনে নির্ণয় নেওয়া অভ্যাস করুন।
নিজের মতামত অন্য কারুর উপর চাপিয়ে না দেওয়া। মতামত থাকার চেয়েও এইটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের সাথে অন্য কারুর তুলনা না করা। প্রতিনিয়ত অন্যের সাথে নিজের নেতিবাচক তুলনা করলে, সন্তুষ্টি অধরা থেকে যাবে।
ভালো বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা। বইয়ের থেকে ভালো সঙ্গী এই পৃথিবীতে হয় না। তাই বই পড়ার অভ্যাস কখনো কাউকে হতাশ করে না।
সময় অপচয় না করা। সময়ের চাইতে মূল্যবান সম্পদ নেই। তাই সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন।
প্রতিদিনের দিনলিপি এবং দৈনিক পরিকল্পনা লেখা। এর ফলে, সময়ের সদ্ব্যবহার করা সহজ হয়।
পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ করা। স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে দু-বেলা সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত মাজা। এমন অনেকেই আছেন যারা এই ক্ষেত্রে মনোযোগ দেন না। অথচ দাঁতের যত্ন নেওয়া খুব জরুরী।
ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। নিজস্ব পরিচ্ছন্নতার প্রতি ওয়াকিবহাল হলে, তবেই ব্যক্তিত্ব আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হওয়া। এই যুগে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব অনস্বীকার্য। তাই পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও দূরীকরণের চেষ্টা করতে হবে।
অন্যায় দেখলে নিজের মতো করে প্রতিবাদ করা। অন্যায় করা এবং অন্যায় মুখ বুঁজে সহ্য করা — দুটোই সমান অপরাধ। তাই অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করাই কর্তব্য।
অন্য কাউকে ওজন, বা গায়ের রং নিয়ে অপমান না করা। প্রত্যেকটি মানুষ তার নিজের মতো করে সুন্দর, ওজন এবং গায়ের রং কখনোই কোনো মানুষকে অপমান করার হাতিয়ার হতে পারে না।
বয়স্ক মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। বরিষ্ঠ মানুষদের প্রতি নতুন প্রজন্মের কর্তব্য তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের সময় ও সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের সাহায্য করা।
কমবয়সী হয়ে যানবাহনে কোনো বয়স্ক নাগরিকের স্থান দখল না করা, বরং পারলে, বরিষ্ঠ নাগরিককে নিজের স্থানে বসতে দেওয়া।
কখনও কোনো মানুষকে হেনস্থা না করা। হেনস্থা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, তাই ক্ষমতা, লিঙ্গ, বা ধর্মকে হাতিয়ার করে কাউকে অপমান বা হেনস্থা করা কখনোই উচিত নয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা। স্বাস্থ্য মানেই শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মানসিক সুস্থতাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি কখনোই উদাসীন হওয়া উচিত নয়।
কোনোকিছু না জেনে, অন্যের জীবনযাত্রা বিচার না করা। অন্যের বিষয়ে কিছু বলার আগে, তার সম্পর্কে সবকিছু জানা জরুরি। তাই কোনো কিছু না জেনে, কারুর বিচার করার অভ্যাস নিন্দনীয়।
আর সব শেষে, নিজের দোষ ত্রুটি নিজে সংশোধন করা। অন্যের দোষ ত্রুটি বিচার করার বা সেই নিয়ে সমালোচনা করার আগে, নিজেই নিজের ভুল ত্রুটি সংশোধন করা উচিত।
উপরিউক্ত অভ্যাসগুলো তৈরি করা সত্যিই কঠিন। মানুষ হিসেবে, আমরা কেউই ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। আমরা সকলেই কোনো না কোনো সময়ে এই ভুলগুলো করে থাকি, বা এখনো করি।
চিত্রে ইংরেজি ভাষার বঙ্গানুবাদ: যাঁরা আরো ভালো জীবনের আশা করেন, তাঁদের সবার আগে আরো ভালো মানুষ হয়ে উঠতে হবে।
আমরা মানুষ হওয়ার সুবাদে, অসীম বুদ্ধির অধিকারী। তাই সেই বুদ্ধি এবং সহানুভূতি দিয়ে বিবেচনা করলে বুঝতে পারব যে নিজের এই খারাপ অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। আর এই পরিবর্তন করার চেষ্টা করায় কোনো লজ্জা বা অপমান নেই। রয়েছে শুধু গর্ব আর অহংকার।
তাই নিজের শ্রেষ্ঠ রূপ ফুটিয়ে তুলতে এই অভ্যাসগুলো গড়ে তোলার চেষ্ঠা করলে মন্দ হয় না!