Wednesday, December 9, 2020

স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?


কেমন হওয়া উচিত স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক🙄🙄🙄

পৃথিবীতে এই একটা সম্পর্ক আছে যা পালন করার মাঝে নির্ভর করে অনেক কিছু 😊 দুটা মন,দুটো মানুষ, দুটো পরিবার, কয়েকটা জীবন পরিচালনার লক্ষ্যটা এখান থেকেই সৃষ্টি 😊

আজকাল অনেক রিলেশন দেখা যায় যা নাম মাএ সামাজিকতা আসলেই সে সম্পর্কের মাঝে কিছু আছে কিনা আদো জানা নেই।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত এক এক জনের এক ধারনা
আর আমি শুধু আমার টা শেয়ার করলাম 😊😊

✋দুটো মানুষের মধ্যে অবশ্যই এমন একটা মনোভাব থাকা প্রয়োজন যে আমরা দুইজন কিন্তু আমাদের লক্ষ্য আমাদের দ্বায়িত্ব আমাদের ভবিষ্যৎ এক, আমার তোমার সম্পর্ক টা শুধু দুরত্বই বাড়াবে, কখনো একে অপরকে বুঝতে বা আপন করে নিতে শিখাবে না।
সেটা হোক কেরিয়ার, হোক পরিবার,হোক টাকা, হোক সন্তান এগুলো আমার -তোমার না আমাদের হতে হবে।

✋ঝগড়া দুই জন মানুষের মধ্যে ঝগড়া হবেই, কিন্তু সে ঝগড়া কখনো ক্ষোভ বা খারাপ পরিনততে যাওয়া উচিত না, ঝগড়া ভালোবাসে হবে যার অভিমান স্বল্প সময়ের জন্য হবে।
এটা উভয় পক্ষকে বুঝতে হবে,একজন রেগে গেলে আরেকজন চুপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারন আগুন কে কখনো আগুন সামলাতে পারে না, তার জন্য পানির দরকার হয়।

✋কেরিয়ার বা জীবনে কিছু করতে চাই বা যেকোন ডিসিশন অবশ্যই ওই মানুষটার সাথে আলোচনা করবা, বুঝাবা তার মন রক্ষা করে তার অনুমতি নিয়ে কিছু একটা করার পদক্ষেপ নিবা। কারন সম্পর্কে বোঝাপড়াটাই অনেক কিছু সহজ করে দেয়😊😊😊

✋দুটো মানুষের দুটো পরিবারের কথা আসলে, সবসময় উচিত দুটো পরিবার কে আপন করে নেয়া।
শ্বাশুড়ি-শ্বশুড় না ভেবে বাবা-মা ভাবা, কারন ভুল হলে বাবা-মা বকা দিয়েই তা সংশোধন করে তাহলে তারা বকা দিলে গায়ে লাগবে কেন?? 🙄
নিজের ভাই-বোন এর তো মার ও সহ্য করি তাহলে ননদ-দেবরের একটু জ্বালানি সহ্য হয় না কেন??
আরেকটা বিষয় কি জানেন??
ভালোবাসাই ভালবাসার সৃষ্টি করে, ১০ দিন তারা আপনাকে জ্বালালে তার বিনিময়ে একদিন হলেও ভালোবাসাটা প্রকাশ পাবে।।

✋আপনি যখন স্বামীর ঘরে যাবেন এটা আপনার গুন হবে তাদের মনে জায়গা করে নেয়া,তাদের মন জোগানো। স্বার্থকতা তো সেখানেই যখন ওই মানুষ গুলো আপনার প্রশংসা করবে।
জীবনে তো সে মানুষটাই উত্তম যে মানুষের ভালোবাসা আর প্রশংসা অর্জন করতে পারে।
তাই তাদের খারাপ দিকটা না তুলে তাদেরকে আপন করে ভালোবাসা অর্জন করার চেষ্টা করেন।

✋পরিবেশ -পরিস্থিতি সব এক না আমিও বুঝি, কিন্তু চেষ্টা করবা নিজেদের পরিস্থিতিতে থেকে সম্পর্ক গুলো যতটা ভালো রাখা যায়। মনে রেখো রোগ-প্রতিশোধ বা ঝগড়া কখনো তোমাকে শান্তি দিবে না সেটা যে সম্পর্কেই হোক না কেন, সেক্রিফাইস বা ক্ষমা করার অভ্যাস থাকলেই তুমি ভালো থাকতে পারবা 😊😊😊

আমি শুধু কিছু জিনিস তুলে ধরলাম যা রিলেশন গুলো একটু হলেও ভালো করার চেষ্টা করবে।
জীবনটা ভাগ করে নিতে হবে, আর পজিটিভিটি দিয়ে নিজেদের সম্পর্কটা পজিটিভ করে তোলা উচিত 👩‍❤️‍👩👩‍❤️‍👩

কারন নিজেদের জীবনটা সুন্দর হলে, সুন্দর হবে আরো কয়েকটা জীবন আরো কয়েকটা ভবিষ্যৎ 😊😊😊

No comments:

Post a Comment