Saturday, December 12, 2020

ধন্যবাদ জানাই প্রশ্নটির জন্য। জীবনে অগ্রগতি ও মানসিক শান্তির জন্য ইতিবাচক চিন্তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ইতিবাচক চিন্তা মনকে প্রফুল্ল রাখে, সৃজনশীল কাজে বিকাশ ঘটায়, মনোযোগ বৃদ্ধি করে, কাজকর্মের উন্নতি করতে সহায়ক হয়। আর এগুলির বিপরীত সবই হয় নেতিবাচক চিন্তায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন একটি সুস্থ সুন্দর জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিবাচক চিন্তাভাবনার কতোখানি প্রয়োজন। মনকে ইতিবাচক করার কয়েকটি উপায় বিবৃত করলাম।

১) প্রথমেই নিজের ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সুন্দরভাবে গুছিয়ে ফেলুন, ঘরে আলো বাতাস আসতে দিন। একটি সুন্দর পরিবেশ মনকে উন্মুক্ত করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

২) সারাদিন শুধু কাজ আর কাজ, এমনটা করবেন না। কাজ করলাম, খেলাম, ঘুমোলাম, আপনার দৈনন্দিন রুটিন যেন এমন না হয়। অবসর সময় অবশ্যই রাখবেন। সেই সময়ে পছন্দের বইটি পড়বেন, গান শুনবেন। এতে মানসিক চাপ কমে।

৩) গান গাওয়া, আঁকা, কবিতা বা গল্প লেখা, বাগান করা ইত্যাদি কোনো কাজ পছন্দের হলে সেটি এগিয়ে নিয়ে চলুন।

৪) নিজের জীবনকে অন্যের জীবনের সাথে তুলনা করবেন না। আমাদের সকলের জীবনেই এমন কিছু না কিছু না পাওয়া আছে। অন্য অনেক এমন মানুষ আছে যাদের জীবনের না পাওয়াটা আপনার পাওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু সেটিকে আপনি মূল্য দেন না বলে আপনার কাছে তার কোনো গুরুত্বই নেই। আমার কাছে কি কি নেই এর চাইতে কি কি আছের উপর জোর দিন। দেখবেন অনেকখানি সন্তুষ্ট লাগছে।

৫) পরনিন্দা, পরচর্চা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। এগুলি অবশ্যই নেতিবাচক চিন্তা, অন্যের জীবনকে নিয়ে। আর আপনার জন্য সময় নষ্ট ছাড়া আরকিছুই নয়।

৬) চট করে কাউকে judge করবেন না, আগে নিজেকে সেই জায়গায় রেখে ভাবুন। দেখবেন তার সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে সহায়ক হয়েছে।

৭) নেতিবাচক কথা বলে এমন লোকজনকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

৮) সকলের সাথে হেসে কথা বলবেন, মনের মধ্যে জমে থাকা নেতিবাচক মেঘ ওখানেই অনেকটা কেটে যাবে।

৯) সারাদিনের জন্য একটা রুটিন বানিয়ে নিন, তার মধ্যে কাজ ছাড়াও, অবসর সময় কাটানোর পরিকল্পনাও থাকবে। নেতিবাচক চিন্তা করার সময় কোথায়!

১০) যোগাসন অথবা প্রাণায়াম করতে পারেন, এতে মন শান্ত থাকে।

১১) নতুন নতুন রান্না করুন আর খান। বাঙালি এমনিতেই ভোজনরসিক, মন থাকে পেটের ভেতরে। নিত্যনতুন সুস্বাদু খাবারে পেট ভরলে মনও খুশি।

আপাতত এগুলোই বললাম। আশা রাখি কিছুটা হলেও ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে সক্ষম হয়েছি।
ছবি:গুগল

No comments:

Post a Comment