Saturday, December 26, 2020

কোন কোন কাজের মাধ্যমে নিজের মনকে ভালো রাখা যায়?

কারোর আসার কথা ছিল না ,কেউ আসেনি

তবু কেন মন খারাপ হয়?

~সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

মন আমাদের যেখানে শরীর ও পার্শ্ববর্তী পরিবেশের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে আছে সেখানে সে নিজেই যদি ভালো না থাকে তাহলে তো বেহাল দশা হবে বৈকি।

আমাদের সবারই কম বেশি মন খারাপ হয়। আর সেখান থেকে তৈরি হয় হতাশা। চলুন মন ভালো করার কিছু উপায় জেনে নেই।

  • ইতিবাচক চিন্তা : যে কারণে মন খারাপ সে বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করুন। ভাবুন যেটা ঘটেছে তারচেয়ে খারাপ কিছু হতে পারত। যদি সম্ভব হয় মনকে রিমান্ডে না নিয়ে সবরকম চিন্তা ভাবনা পুরোপুরি মুলতবি ঘোষণা করুন।
  • সাহায্য করুন : অসহায়, গরিব-দুঃখিদের সাধ্য মত সাহায্য করুন। সাহায্য পরবর্তী তাদের হাস্যজ্জল চেহারাটার দিকে তাকান। এমন একটা মূহুর্তের জন্য পুনঃজন্মাবার স্বাধ জাগবে।
  • মন খুলে হাসুন : হাসলে মস্তিষ্কে ডোপামিন রিলিজ হয়। যেটা মন ভালো করতে সহায়তা করে।
  • শৈশবে ফিরে যান : আমাদের সবারই শৈশবে কোনো হাস্যকর স্মৃতি আছে। সেগুলো ভাবুন মন ভালো হতে বাধ্য। আমি আমার ছোটবেলার একটা স্মৃতি বলার লোভ সামলাতে পারছি না!!
  1. খুব ছোট তখন। ব‌ই নিয়ে ঝিমুচ্ছি আর পড়ছি। এমন সময় আমদের পাজি ছাগলটা তিড়িং বিড়িং করে লাফাতে লাফাতে ব‌ইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলেছে। আমিতো কি কান্না। মা ব‌ইয়ে টেপ লাগাচ্ছে আর আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে যে এবার থেকে ছাগলের পা বেঁধে রাখবে। যেই চিন্তা সেই কাজ, কিছুক্ষণ পর আমি একা মাতুব্বরি করে ছাগলের পা বাঁধতে গেছি। ছাগল বেটা পালানোর সময় আমাকে আঁড়ি পেতে ধাক্কা দিয়ে চিৎপটাং করে দেয়। সেই আবার কি কান্না।  
  • শরীর চর্চা করুন : অনেক সময় শারীরিক কোনো পরিশ্রম না করার কারণে কিংবা একাডেমিক কাজগুলো না করার কারণে একঘেয়েমি আসে, আর সেখান থেকে মন খারাপের সূত্রপাত হয়। তাই শারীরিক পরিশ্রম করুন। এতে শরীরে এনডরফিন নামক হরমোন রিলিজ হয় যেটা মন ভালো করতে সহায়তা করে, অবসাদগ্রস্ততা দূর করে।
  • না বলতে শিখুন : ছোটবেলায় আমরা যখন স্বাধীন ছিলাম তখন সহজেই 'না' বলতে পারতাম। কিন্তু বড় হ‌ওয়ার সাথে সাথে সেই শক্তিটা গায়েব হয়ে গেছে। ধরুন আপনাকে কোনো একজন একটা কাজ করতে বলেছে যেটা খারাপ। তার মুখের উপর 'না' বললেন না। পরবর্তীতে সেই খারাপ কাজ করার দরুন মনের অশান্তি ডেকে আনলেন।
  • মেডিটেশন[1] : শরীর ও মনের শিথিলায়নের জন্য মেডিটেশনের বিকল্প আর নেই। তাই মন খারাপের সময় ছাড়াও ঘুমোতে যাওয়ার আগে ও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মেডিটেশন করুন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মেডিটেশনের যে নিয়মটা ফলো করি তার লিঙ্ক দিলাম আপনারাও অনুসরণ করতে পারেন।
  • নিজ নিজ ধর্মীয় বিধান মেনে চলুন : প্রত্যেক ধর্ম‌মত অনুসারে আমাদের শান্তির পথে ডাকে। তাই ধর্মীয় বিধান মেনে চলুন। এটা অধিক কার্যকরী।

আশা করা যায় উক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে মন খারাবী থেকে মুক্তি মিলবে। এবং আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রোএক্টিভ থাকতে পারবেন।

ফুটনোটগুলি

No comments:

Post a Comment