উদ্যোক্তা হতে চাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমত তুমুল আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। পড়াশোনা শেষ করে শুরু করবো এমন চিন্তা থাকলে মুশকিল। কারণ, একজন উদ্যোক্তা পড়াশোনাকালীন সময় থেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। তবে যে বিষয়গুলো অবশ্যই প্রয়োজন তার মধ্যে এগুলো গুরুত্বপূর্ণঃ
- মানসিক ভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে প্রস্তুত হওয়া কারণ উদ্যোক্তা হয়ে উঠা বেশ কঠিন!
- যদি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটা সময় কাজ করার ইচ্ছে থাকে (যেমনঃ ৯-৫টা) তাহলে উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা বাদ দেয়া উচিত। উদ্যোক্তাদের অনেক সময় ২৪ ঘন্টাই কাজে থাকতে হয়।
- শুরুতে উদ্যোক্তাকে সব ধরনের কাজেই যুক্ত থাকতে হয়। যেমন কারো উদ্যোগ যদি হয় ই-কমার্স তাহলে দেখা যাবে অর্ডার নেয়া থেকে গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত সব কাজই উদ্যোক্তাকে করতে হয়। সে প্রস্তুতি থাকতে হবে।
- কোন বিষয়ের উদ্যোগ হবে, সেটার পদ্ধতি কি হবে, ব্যবসায়িক মডেল কি হবে সে বিষয়গুলোত স্বচ্ছ ধারনা থাকতে হবে।
- ফান্ডিং কিভাবো আসবে? যদি ভেঞ্চার ক্যাপিটেল থেকে ফান্ড নেয়ার চিন্তা থাকে তাহলে কিভাবে সে পথে এগুতে হবে তার স্বচ্ছ ধারনা থাকাটা জরুরি।
- উদ্যোক্তাদের মেন্টরশিপ খুবই জরুরি। মেন্টর খুঁজে তার পরামর্শ নিয়মিত নেয়ার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
- হুট করেই বা শুরু করই সফলতা নাও আসতে পারে। তাই দীর্ঘ সময় লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে।
- উদ্যোগের শুরুতেই প্রয়োজনীয় কাগজাদি ঠিক করে ফেলতে হবে। যেমনঃ ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি। যদি পার্টনারশিপ হয় তাহলে চুক্তি করে ফেলাও জরুরি।
- বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা বিষয়ক গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং বাড়াতে উদ্যোক্তা সংক্রান্ত আয়োজনগুলোতে যুক্ত থাকা জরুরি।
- উদ্যোক্তাদের সব সময় সময়ের সাথে, প্রযুক্তির সাথে হালনাগাদ থাকাটা জরুরি।
- উদ্যোক্তা বিষয়ক বই পড়া যেতে পারে। সফল উদ্যেক্তাদের সম্পর্কে জানাশোনাটা জরুরি।
- একেবারে শুরুতে প্রয়োজন না হলে বড় অফিস কিংবা অফিন সাজসজ্জায় বেশি খরচ না করাটা ভালো।
- বিকল্প চিন্তা সবসময় রাখতে হবে।
- সর্বোপরি, নিজের উদ্যোগকে নিয়ে সবসময় চিন্তা ভাবনাটা যেমন জরুরি তেমনি সেটি নিয়ে গর্ববোধ করাটাও জরুরি। লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।
No comments:
Post a Comment