Monday, December 28, 2020

নামাজ না পরার শাস্তি কী?

আলহামদুলিল্লাহ ওয়াসসলাতু ওয়াসসালামু আ’লা-রসুলিল্লাহ ওয়া বা’দ।

যে বা যারা স্বলাত বা নামাজ ত্যাগ করবে তাদের ব্যাপারে কঠিন হুশিয়ারী এসেছে ,যা নিচের আয়াত গুলো তার প্রমাণ! ব্যাখ্যা ব্যতিত শুধু আয়াতগুলোর সরল অনুবাদ তুলে ধরা হলো—

১) কোন জিনিস (কাজ) তোমাদেরকে (সাকার) জাহান্নামে নিয়ে এল? তারা বলবে আমরা স্বলাত আদায়কারী (নামাজিদের) অন্তর্ভূক্ত ছিলাম না।

(সুরা আল-মুদ্দাচ্ছির : আয়াত ৪২-৪৩)

২) সুতরাং দুর্ভোগ (ওয়াইল নামক জাহান্নামের কঠিন শাস্তি) সেসব স্বলাত (নামাজ) আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের নামায সম্পর্কে উদাসিন।’

(সুরা মাউন : আয়াত ৪-৫)

৩) ‘(স্মরণ কর) সেই চরম সংকটময় কিয়ামত দিবসের কথা যেই দিন তাদেরকে আহবান করা হবে সেজদা করার জন্য কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি অবনত হবে, হীনতা তাদের আচ্ছন্ন করবে অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদের সেজদা করার আহ্বান করা হতো (কিন্তু তারা সেজদা করেনি)।’

(সুরা আল-কালাম : আয়াত ৪২-৪৩)

৪) ‘তাদের পরে যারা তাদের স্থলাভিষিক্ত হল, তারা স্বলাত (নামাজ) নষ্ট করল (একেবারে নামাজ পড়ে না কিংবা মন চাইলে ) এবং নফসের লালসা-বাসনার অনুসরণ করল। সুতরাং তারা অচিরেই এই কুকর্মের (স্বলাত নষ্টের ও প্রবৃত্তিপরায়ন হওয়ার) শাস্তি ভোগ করবে। অবশ্য যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্মশীল হয়েছে তারা ব্যতিত।

(সুরা মারইয়াম : আয়াত ৫৯)

৫) তোমরাও বিশুদ্ধচিত্তে তাঁরই অভিমুখী হও;তাঁকে ভয় করো,(স্বলাত) নামাজ কায়েম করো এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।

(সুরা রুম আয়াত-৩১)

রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘যে কেউ ইচ্ছাকৃত স্বলাত (নামাজ) ছেড়ে দেয় আল্লাহ পাক তার হতে তাঁর জিম্মাদায়িত্ব উঠিয়ে নেন’ (বুখারি-১৮, ইবনে মাজাহ-৪০৩৪, মুসনাদে আহমদ-২৭৩৬৪)। অর্থাৎ যে (স্বলাত) নামাজ ছেড়ে দিলো সে যেন আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছেদ করল।

আরো অনেক বর্ণনা রয়েছে যা বর্ণনা করলে টপিকস এর কলেবর বৃদ্ধি পাবে।

No comments:

Post a Comment