হিন্দুরা মুরগি, হাস, খাসী, পাঠা এসব জবাই করার আগে ঈশ্বরের নাম নেন না। মুসলমানেরা আল্লাহু আকবর বলে পশু-পাখি জবাই করে কারন আল্লাহর নাম না নিয়ে জবাই করা পশু-পাখির মাংস খাওয়া হারাম বা নিষেধ। তাই মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িতে মাংসের কোনো রান্না খেতে পারে না। অন্য সব আইটেম খায়।
হিন্দুরা মুরগি, হাঁস রান্না করতে প্রথমে এর গায়ের চামড়ায় হলুদ মাখিয়ে পরে মাংস কাটে। মুসলিমরা হলুদ না মাখিয়ে মাংস কাটে।
হিন্দুরা রান্নায় ফোড়ন বেশি দেয়। মুসলমানেরা কম দেয়।
হিন্দুরা রান্নায় সরষের তেল বেশি দেয় মুসলমানদের চাইতে। আগে মুসলমানেরাও সরষের তেল দিয়ে প্রায় সব রান্না করতো কিন্তু আধুনিক সময়ে এসে হিন্দু-মুসলিম দুই ঘরেই সরষের তেলের স্থানে সাদা তেল সয়াবিন স্থান করে নিয়েছে তবে এখনো হিন্দুদের বাসা-বাড়িতে সরষের তেল বেশি ব্যবহার হয়।
হিন্দুরা কাকঁড়া খায় কিন্তু মুসলমানেরা কাকড়া খেতে চায় না তবে তা হারাম নয়। শুধুমাত্র কাকড়া দেখতে কেমন কেমন লাগে এবং খেতে অভ্যস্ত না হওয়ায় মুসলমানরা কাকড়া তেমন খায় না। হিন্দুরা প্রায়ই কাকড়া খায়।
হিন্দুরা শূকরের মাংস তেমন খায় না তবে তা খেতে বারন নেই। মুসলমানদের জন্য শূকরের মাংস খাওয়া হারাম।
গোড়া হিন্দুরা অনেক সময় পেঁয়াজ-রসুন রান্নায় দেয় না। মুসলমানদের মধ্যে এমন কিছু নেই।
বাঙ্গালী হিন্দুরা আলু-পোস্ত নামের এক তরকারি মুসলমানদের চাইতে বেশি রান্না করে।
হিন্দুরা নারিকেলের নাড়ু বেশি খায় মুসলমানদের চাইতে। এর প্রধান কারন পূজা-পার্বনে প্রসাদ হিসেবে নারিকেলের নাড়ু বানানো হয়। হিন্দুরা মুসলমানদের চাইতে বেশি নাড়ু-সন্দেশ খায়।
হিন্দুরা রসগোল্লা মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। রসগোল্লার প্রতি মুসলমানদের মধ্যে তেমন কোনো 'বাঙ্গালী আবেগ' নেই।
হিন্দুরা দুধ-সেমাই খুব একটা খায় না। কেউ কেউ খায় তবে মুসলমানেরা দুধ-সেমাই অনেক খায়। বিশেষ করে ঈদ মানেই দুধ-সেমাই-জর্দার রেসিপি।
বিরিয়ানী ও মাংসের কাবাব প্রধানত মুসলিম মুঘলাই খাবার যা হিন্দুরাও খুব পছন্দ করে।
হিন্দুরা গরুর মাংস যেহেতু খায় না তাই গরুর বিকল্প হিসেবে মাংসের সব রেসিপি খাসীর মাংস দিয়ে চালিয়ে দেয়। মুসলমানরা গরু-খাসী সব মাংসই খায় তবে খাসীর চাইতে গরুর মাংস বেশি প্রিয় মুসলমানদের কাছে, বিশেষ করে বাঙ্গালী মুসলমানদের কাছে খাসীর চাইতে গরুর মাংস বেশি প্রিয়।
No comments:
Post a Comment