- নিজের মতামত অন্য কারুর উপর চাপিয়ে না দেওয়া। মতামত থাকার চেয়েও এইটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
- নিজের সাথে অন্য কারুর তুলনা না করা। প্রতিনিয়ত অন্যের সাথে নিজের নেতিবাচক তুলনা করলে, সন্তুষ্টি অধরা থেকে যাবে।
- ভালো বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা। বইয়ের থেকে ভালো সঙ্গী এই পৃথিবীতে হয় না। তাই বই পড়ার অভ্যাস কখনো কাউকে হতাশ করে না।
- সময় অপচয় না করা। সময়ের চাইতে মূল্যবান সম্পদ নেই। তাই সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন।
- প্রতিদিনের দিনলিপি এবং দৈনিক পরিকল্পনা লেখা। এর ফলে, সময়ের সদ্ব্যবহার করা সহজ হয়।
- পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ করা। স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
- ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে দু-বেলা সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত মাজা। এমন অনেকেই আছেন যারা এই ক্ষেত্রে মনোযোগ দেন না। অথচ দাঁতের যত্ন নেওয়া খুব জরুরী।
- ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। নিজস্ব পরিচ্ছন্নতার প্রতি ওয়াকিবহাল হলে, তবেই ব্যক্তিত্ব আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
- পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হওয়া। এই যুগে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব অনস্বীকার্য। তাই পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও দূরীকরণের চেষ্টা করতে হবে।
- অন্যায় দেখলে নিজের মতো করে প্রতিবাদ করা। অন্যায় করা এবং অন্যায় মুখ বুঁজে সহ্য করা — দুটোই সমান অপরাধ। তাই অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করাই কর্তব্য।
- অন্য কাউকে ওজন, বা গায়ের রং নিয়ে অপমান না করা। প্রত্যেকটি মানুষ তার নিজের মতো করে সুন্দর, ওজন এবং গায়ের রং কখনোই কোনো মানুষকে অপমান করার হাতিয়ার হতে পারে না।
- বয়স্ক মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। বরিষ্ঠ মানুষদের প্রতি নতুন প্রজন্মের কর্তব্য তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের সময় ও সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের সাহায্য করা।
- কমবয়সী হয়ে যানবাহনে কোনো বয়স্ক নাগরিকের স্থান দখল না করা, বরং পারলে, বরিষ্ঠ নাগরিককে নিজের স্থানে বসতে দেওয়া।
- কখনও কোনো মানুষকে হেনস্থা না করা। হেনস্থা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, তাই ক্ষমতা, লিঙ্গ, বা ধর্মকে হাতিয়ার করে কাউকে অপমান বা হেনস্থা করা কখনোই উচিত নয়।
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা। স্বাস্থ্য মানেই শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মানসিক সুস্থতাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি কখনোই উদাসীন হওয়া উচিত নয়।
- কোনোকিছু না জেনে, অন্যের জীবনযাত্রা বিচার না করা। অন্যের বিষয়ে কিছু বলার আগে, তার সম্পর্কে সবকিছু জানা জরুরি। তাই কোনো কিছু না জেনে, কারুর বিচার করার অভ্যাস নিন্দনীয়।
- আর সব শেষে, নিজের দোষ ত্রুটি নিজে সংশোধন করা। অন্যের দোষ ত্রুটি বিচার করার বা সেই নিয়ে সমালোচনা করার আগে, নিজেই নিজের ভুল ত্রুটি সংশোধন করা উচিত।
উপরিউক্ত অভ্যাসগুলো তৈরি করা সত্যিই কঠিন। মানুষ হিসেবে, আমরা কেউই ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। আমরা সকলেই কোনো না কোনো সময়ে এই ভুলগুলো করে থাকি, বা এখনো করি।
চিত্রে ইংরেজি ভাষার বঙ্গানুবাদ: যাঁরা আরো ভালো জীবনের আশা করেন, তাঁদের সবার আগে আরো ভালো মানুষ হয়ে উঠতে হবে।
আমরা মানুষ হওয়ার সুবাদে, অসীম বুদ্ধির অধিকারী। তাই সেই বুদ্ধি এবং সহানুভূতি দিয়ে বিবেচনা করলে বুঝতে পারব যে নিজের এই খারাপ অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। আর এই পরিবর্তন করার চেষ্টা করায় কোনো লজ্জা বা অপমান নেই। রয়েছে শুধু গর্ব আর অহংকার।
তাই নিজের শ্রেষ্ঠ রূপ ফুটিয়ে তুলতে এই অভ্যাসগুলো গড়ে তোলার চেষ্ঠা করলে মন্দ হয় না!
No comments:
Post a Comment