Thursday, December 10, 2020

ধন্যবাদ তাঁকে যিনি প্রশ্নটির উত্তরের অনুরোধ করেছেন।এবং খুবই আনন্দের বিষয় আমি নিজের ভেতরে কোন বদ অভ্যেস খুঁজে পাচ্ছি না।হা হা।এটা মনে হয় অতিরিক্ত আত্মপ্রেমের ফল।

যদিও আমি নিজেকে বদ গুণ মুক্ত ঘোষণা করছি তথাপি আমার পরিবার আমার মধ্যে অনেক বাজে অভ্যাস লক্ষ্য করেন এবং প্রতিনিয়তই সেগুলোর জন্য আমার জবাবদিহি করতে হয়। সেখান থেকে ৭টি পয়েন্ট উল্লেখ করছি—

১.রাত জাগা>>রাতে পড়ালেখা করার অভ্যেস আগে থেকেই।সকালে ঘুম ভাঙ্গে খুব বেলা করে।ফলে রোজ জোটে বকুনি। কিন্তু আমি রাতের কাজগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে করতে পারি,দিনের হৈচৈয়ে সেগুলো হয় না।যার যেটা কম্ফোর্ট টাইম জোন তার তো সেভাবেই রুটিন ঠিক করা উচিত তাই নয় কি?

২.অহংকারী >>কথা কম বলি বলে প্রতিবেশীরা ভাবে আমি ভয়ানক অহংকারী।প্রকৃতপক্ষে আমি বিনা প্রয়োজনে কথা বলতে পছন্দ করি না কিন্তু অকারণ আলাপ লিখতে পছন্দ করি।তাই তো এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে বসে গেছি।হা হা।

৩.বদরাগী >>এটা ঠিক আমার রাগ খুব বেশী।রেগে গেলে দরজা বন্ধ করে দিই আর কথাও!আম্মু এজন্য প্রায়ই বলে--"রাগলি তো ভাগ ফুরালি।"রাগ ভাঙানোর জন্যে কেউ তো আর তেল দিতে আসে না তাই নিজের স্বার্থেই রাগ বয়কট করে নিতে হয়!

৪.অলস>>শারীরিক পরিশ্রমের কাজ একদম করতে পারি না।যে কোন কাজই আমি রয়ে সয়ে ধীরে সুস্থে করতে ভালোবাসি।তাই বেশীরভাগ লোকের চোখে আমি অলস!

৫.শাড়ি পরতে ভালোবাসি>>এটা বদ গুণ নাকি ভালো গুণ কে জানে?কিন্তু বাড়ির লোকে শাড়ি পরা পছন্দ করে না।বলে,শাড়ি পরে রোজ রোজ ঢং করার কি আছে!হি হি।

৬.রাশভারী >>চুপচাপ গম্ভীর হয়ে থাকি তাই আমার খালা মণি বলে,আমি নাকি বুড়োদের মতো।কিন্তু আসলে তা নয়,সবসময় কথা বলতে আমার ভালো লাগে না!

৭.প্রশ্ন করা>>প্রশ্ন করেই তো রোজ বিপদে পড়ি।বাড়িতে বলে, এটা করো-ওটা করো না।আমি পাল্টা প্রশ্ন করি--কেন করব?কেন করব না? আর সবাই রেগে যায়।আমার তখন বেশ লাগে সবাইকে রাগিয়ে দিতে পেরে!

ব্যস, কত কষ্ট করে বদ অভ্যাস খুঁজে বের করেছি!

No comments:

Post a Comment